২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘১০০’ মারার আরও কাছে উড, মনে করেন স্টোকস

গতির ঝড় তুলেছিলেন মার্ক উডফাইল ছবি

প্রথম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ঘণ্টায় ১০০ মাইল বা ১৬১ কিলোমিটার গতি তুলতে পারবেন ইংলিশ ফাস্ট বোলার মার্ক উড, এমন বিশ্বাস অধিনায়ক বেন স্টোকসের। ট্রেন্ট ব্রিজে ডারহাম-সতীর্থর গতির ঝড় তোলা দেখার পর এমন মন্তব্য করেন স্টোকস।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে উডের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৯৭.১ মাইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৪১ রানে হারিয়ে তিন টেস্টের সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। আজ এজবাস্টনে শুরু হবে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট।  

দ্বিতীয় টেস্টে ৩৪ বছর বয়সী উড নেন মাত্র দুটি উইকেট। তবে এক প্রান্তে গতির ঝড় তুলে অন্য প্রান্তে উইকেট নিতে অন্যদের সহায়তা করেন। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে অফ স্পিনার শোয়েব বশির নেন ৪১ রানে ৫ উইকেট।  

উডের গতির ঝড় ভালোভাবেই টের পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাউন্সার সামলাতে গিয়ে হাত ভেঙেই গেছে কেভিন সিনক্লেয়ারের। ফলে আজ শুরু তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন না তিনি।

এমনিতে টেস্টে সর্বোচ্চ গতি তোলার রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ডেলিভারিতে ঘণ্টায় ৯৯.৬ মাইল বা প্রায় ১৬০.৩ কিলোমিটার গতি তুলেছিলেন এ বাঁহাতি। রেকর্ড আছে, এমন ডেলিভারিগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম শোয়েব আখতারের। পাকিস্তানের ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৩ সালে তুলেছিলেন ঘণ্টায় ১০০.২ মাইল গতি।

সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদ্‌যাপনের মধ্যমণি মার্ক উড
ছবি : ইসিবি

স্টোকসের মতে, ঘণ্টায় ১০০ মাইলের মাইলফলক ছোঁয়ার সামর্থ্য এখনো আছে উডের। তবে এজবাস্টনে ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে স্টোকস এটিও বলেন, ‘আমার মনে হয় না সে এটি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত। (তবে) তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে এটার আরও বেশি কাছে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আসলে সে এখন যা করছে, সত্যি বলতে তা নিয়েই খুশি।’

আরও পড়ুন

স্টোকসের মতে, ‘এমন গতি ধরে রাখাটা দুর্দান্ত। সে যখনই টেস্ট ম্যাচ খেলে, তার গড় গতি ঘণ্টায় ৯০ মাইলের ওপর থাকে। একটা স্পেলে ৯০-এর বেশিতে করাটা ভালো কিন্তু সে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রতিটি স্পেলেই ঘণ্টায় ৯০ মাইলের বেশি গতি তোলে।’

আরও পড়ুন

উডের ৩৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে চোটের আঘাত কম আসেনি। তবে এই মুহূর্তে তাঁর বোলিং নিয়ে দারুণ খুশি স্টোকস, ‘আমাদের যা আছে, সেটি উদ্‌যাপন করা উচিত। তার সিংহ-হৃদয়। স্পেলের পর স্পেল, বলের পর বল করে যায়। সে যখন বোলিং করে, পুরো ম্যাচই বদলে যায়। তার নাম উচ্চারণ করার সঙ্গে দর্শকেরা উল্লাস করে ওঠে। আর বড় পর্দায় যখনই গতি দেখানো হয়, সবাই আরও উজ্জীবিত হয়।’

গতির দিকে খেয়াল রাখেন উডও, বলেছেন স্টোকস, ‘কত গতি তুলছে, সেটি সব সময়ই উড খেয়াল করে বড় পর্দায়। সে জানে, সে শুধু দক্ষতার সঙ্গে বোলিং করার জন্য নয় কিন্তু দ্রুতগতিতে বোলিং করার জন্যও দলে আছে।’