২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যে রেকর্ডে কানাডার পাশে শ্রীলঙ্কা

মোহাম্মদ সিরাজের তোপে ধসে গেছে শ্রীলঙ্কার টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটিংছবি: এএফপি

শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপে যেন ঝড়ই বইয়ে দিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। এশিয়া কাপ ফাইনালে ইনিংসের চতুর্থ ওভার করতে এসে ছয় বলের মধ্যে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। পরের ওভার করতে এসে তুলে নিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকার উইকেট। তাতে সিরাজের অর্জনে যোগ হলো ৫ উইকেট, আর শ্রীলঙ্কার হয়েছে বড় ‘বিসর্জন’।

সিরাজের বোলিং তোপে শ্রীলঙ্কা যখন ষষ্ঠ উইকেট হারায়, স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ১২ রান। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম রানে ৬ উইকেট হারানোর ঘটনা। শ্রীলঙ্কা অবশ্য নিজেদের ‘রেকর্ড’ই ভেঙেছে। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল তিলকারত্নে দিলশানের দল।

তবে শ্রীলঙ্কার ম্যাচে ১৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার ঘটনা কিন্তু আরও আছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার ১২ রানেই ৬ উইকেট তুলে ফেলেছিল সনাৎ জয়াসুরিয়ার শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে যা কম রানে প্রথম ৬ উইকেট হারানোর দিক থেকে দ্বিতীয়।

এক নম্বরেও আছে কানাডার নাম। ২০১৩ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাত্র ১০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল কানাডা। ম্যাচটি ছিল ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের। তবে একটা জায়গায় কানাডার সঙ্গে জুড়ে গেল শ্রীলঙ্কার নাম। দুই দলই ১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে, এবং ১৫ রানের কমে এমনটা ঘটেছে দুবার।

আরও পড়ুন

শ্রীলঙ্কা বা কানাডা, ১৩ বা তার কম রানে ৬ উইকেট হারানো কোনো দলই কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি। ডাচদের কাছে ১০ রানে ৬ উইকেট হারানো ম্যাচে ৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল কানাডা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছিল ৯ উইকেটে। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার কাছে ১২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ৩৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল কানাডার ইনিংস। এই ম্যাচটিও তারা ৯ উইকেটে হারে।

আর ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কা যে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩ রানে ৬ উইকেট হারায়, সেটি ছিল রান তাড়ায়। এবি ডি ভিলিয়ার্সদের তোলা ৩০১ রান তাড়া করতে নেমে মাহেলা জয়াবর্ধনে–কুমার সাঙ্গাকারারা অলআউট হন ৪৩ রানে।