আমার ভাইবোনদের ওপর আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না: মুশফিক

অনুশীলনে মুশফিকুর রহিমপ্রথম আলো

কোটা সংস্কার আন্দোলনে আর কোনো সহিংসতা দেখতে চান না, এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা হওয়ার ব্যাপারটিকে ‘খুবই নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মুশফিক লিখেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে, আমি আমার ভাইবোনদের ওপর আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না। আমার শিক্ষকেরা, যাঁরা অতুলনীয় সাহস দেখিয়ে তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা। এটা কোনো ছাত্রের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন যে তাঁর শিক্ষক হেনেস্তা হয়েছেন। যা খুবই নিন্দনীয় বলে আমি বিশ্বাস করি।’

আরও পড়ুন

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা বের করতেও অনুরোধ করেছেন তিনি, ‘যেকোনো উপায়েই হোক এই রক্তপাত বন্ধ হোক। শান্তি আসুক। সংশ্লিষ্টরা সমাধানের শান্তিপূর্ণ রাস্তা বের করবেন এটাই অনুরোধ। আল্লাহ আমাদের ঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।’

দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে গতকাল সারা দেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হলেও পরে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

গত সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সেদিন দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা এসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান ফটক দিয়ে পালিয়ে যান।

এরপর গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ১৯টি কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে হলের কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক ছাত্র।
এর আগে দেশে চলমান এ আন্দোলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান তাওহিদ হৃদয়, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসানরা। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে শ্রীলঙ্কায় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় লিখেন, ‘সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি…আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আর রক্তাক্ত না হোক।’