তানভীর, মুকিদুল ও জাকেরে ভবিষ্যৎ দেখছেন রিজওয়ান
‘কেমন আছ? ভালো?’
সংবাদ সম্মেলনে এসেই সবার উদ্দেশে মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রশ্নটা করেন ভাঙা ভাঙা বাংলায়। রিজওয়ানের এই ভাষাপ্রীতি সবার জানা। যে দেশেই তিনি সফর করেন, সে দেশের ভাষা শেখার চেষ্টা করেন। এর আগে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে সিংহলি ভাষায় দু-চার লাইন কথা বলতে দেখা গেছে।
ভাষার মাস উপলক্ষে আজ বিপিএলে বিশেষ আয়োজন করেছে বিসিবি। ভাষার মাসকে শ্রদ্ধা জানাতে বিপিএলের ধারাভাষ্যকারেরা বাংলা বর্ণমালা লেখা পাঞ্জাবি পরেছেন। খেলোয়াড়েরা পরেছেন বাংলায় লেখা আর্মব্যান্ড। রিজওয়ান অবশ্য ভাষার মাসের ইতিহাসটা জানতেন না। সংবাদ সম্মেলনে এসে এ ব্যাপারে জানলেন। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন।
রিজওয়ানের বিপিএল মিশন শেষ হলো আজই। পিএসএল খেলতে আজই তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা। কুমিল্লার হয়ে তিনি ১০ ম্যাচ খেলেছেন। তাতে ৫০ গড়ে ৩৫১ রান করেছেন। ১২৬ ছিল রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেট, ফিফটি চারটি। কুমিল্লাকে প্লে–অফের শীর্ষ দুইয়ে রেখে যাচ্ছেন এই পাকিস্তানি। দল এখান থেকে ফাইনাল খেলবে, শিরোপাও জিতবে, এমনই আশা রিজওয়ানের, ‘এখানে আমার সময়টা ভালো কেটেছে। কারণ, আমি যখন আসি, তখন দল চাপে ছিল। টানা তিন ম্যাচে তিনটি হেরেছে। এরপর ভালো করা শুরু করি। আশা করি, আমরা পরের দুটি ম্যাচ জিতব। শিরোপাও জিতব।’
তবে তিনবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের কাছে যে শিরোপা জয়ই সব নয়, সে বিষয়টি মনে ধরেছে রিজওয়ানের। জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটার গড়ার মঞ্চও এটি। মুকিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম, জাকের আলীদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ টেনে রিজওয়ান বললেন, ‘আমি এখানে আসার পর মালিক, ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কদের দেখেছি বাংলাদেশ দলের জন্য ক্রিকেটার তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের জন্য ট্রফি জেতা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য ক্রিকেটারও তৈরি করতে পারছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। তানভীর, মুকিদ, জাকের—যাদের দেখেছি, তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হয়ে ভালো করবে।’
রিজওয়ানের প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের স্থানীয় ক্রিকেটারদের সমালোচনার বিষয়টিও উঠে এসেছে রিজওয়ানের সংবাদ সম্মেলনে। তাঁর দৃষ্টিতে স্থানীয় ক্রিকেটারদের মান কেমন, এ প্রশ্নটা তিনি এড়িয়ে গেছেন কৌশলে, ‘যে কেউই তাঁর মতো করে মন্তব্য করতে পারে। আমি এখানে সালাউদ্দিন ভাইকে সাহায্য করতে এসেছি, আমি যেহেতু আইকন ক্রিকেটার—কুমিল্লা আমার কাছে যা চাইবে, সেটা আমি ১০০ ভাগ দিয়ে যেন করতে পারি। কিন্তু আপনি সারা বছর খেলে যান, কিন্তু যদি কিছু না শেখেন, তাহলে অবসর নেওয়ার সময়ও কিছু শেখা হবে না। যদি শুরু থেকেই শেখা শুরু করে, তাহলে ক্রিকেটজ্ঞান বাড়বে। যে কেউই সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু আপনি শিখতে পারলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।’