‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ হয়ে মুশফিককে মনে করালেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান
‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ (আগের ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’) আউট হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যান হামজা শেখ। গতকাল পচেফস্ট্রুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের ম্যাচে হাত দিয়ে বল ধরে আউট হন হামজা।
১৭তম ওভারে রায়ান সিম্বির বলটি ডিফেন্ড করেছিলেন হামজা। বল এরপর তাঁর পায়ের কাছে পড়ে ছিল। বল যে নড়ছিল, তা নয়। সেটি নিচু হয়ে ধরে উইকেটকিপারের হাতে তুলে দেন হামজা, যেমনটি ব্যাটসম্যানরা প্রায়ই করে থাকেন। তবে এর আগেই বলের দিকে আসতে উদ্যত উইকেটকিপার রায়ান কাময়েম্বা, বোলারসহ অন্য ফিল্ডাররা আবেদন শুরু করেন।
অন ফিল্ড আম্পায়ার ডনোভান কখ ও বাংলাদেশের মাসুদুর রহমান সে সিদ্ধান্ত পাঠান টেলিভিশন আম্পায়ার নাইজেল ডুগুইডের কাছে, যিনি হামজাকে আউট দেন। ক্রিকেটের আইনের এ–সম্পর্কিত ৩৭.৪ নম্বর ধারাটি বলে, ‘বল যখন খেলার মধ্যে আছে, ফিল্ডারের অনুমতি ছাড়া যদি তিনি ব্যাট অথবা শরীরের যেকোনো অংশ ব্যবহার করে বল ফিল্ডারের কাছে ফিরিয়ে দেন, তাহলে তিনি অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হবেন।’
২০১৭ সালের আগে হাত দিয়ে বল ধরলে আউটটি হ্যান্ডলড দ্য বল হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে সে বছর ওই আউট বিলুপ্ত করে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে হাত দিয়ে বল ঠেলে দিয়ে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এমন আউট হয়েছিলেন সাবেক এ অধিনায়ক।
অবশ্য হামজার এমন আউটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনাও শুরু হয়েছে। সাবেক ইংল্যান্ড পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড এক্সে লিখেছেন, ‘ওহ, একটু বুঝেশুনে! সে স্থির একটা বল ফিল্ডারের কাছে ফেরাচ্ছিল না? দয়া করুন তাকে! এটি আউট দেওয়া যায় না!’ আরেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার স্যাম বিলিংস আউটের ভিডিও শেয়ার করে শুধু লিখেছেন, ‘ওয়াও।’
এমনভাবে হামজাকে আউট করেও অবশ্য ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৩৮ রানের লক্ষ্যে তারা অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৯১ রানেই। ইংলিশ লেগ স্পিনার তাজনিন চৌধুরী আলী নেন ২৯ রানে ৭ উইকেট। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের কোনো বোলারের এটিই সেরা ফিগার।
ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে—দুই দলেরই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই।