প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য ১১ জনই হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া দলের
আইপিএল থেকে আগেভাগেই খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। টি–টোয়েন্টির বিশ্বকাপের আগে জশ বাটলারদের খেলানো হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে। তবে অস্ট্রেলিয়ার কোনো সিরিজ নেই, প্যাট কামিন্সদেরও তাই ডাকা হয়নি। আর সেটির প্রভাব—বিশ্বকাপের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ১১ জনের দলই পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া।
এরই মধ্যে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৫ সদস্যের দলের ৬ জনই এখনো দলের বাইরে। বাকি যে ৯ জন খেলার অবস্থায় আছেন, তাঁদের মধ্যে অধিনায়ক মিচেল মার্শ ব্যাটিং করলেও বোলিং করতে পারবেন না। বুধবার প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়াকে হয়তো সাপোর্ট স্টাফদেরই খেলায় নামিয়ে দিতে হবে।
এবারের আইপিএল শেষ হয়েছে রোববার। ফাইনালে কলকাতা দলে ছিলেন মিচেল স্টার্ক, হায়দরাবাদে প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেড। প্রায় আড়াই মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থাকায় তাঁদের তিনজনকেই দেশে সময় কাটানোর জন্য সংক্ষিপ্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। একই ছুটি পেয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিন এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মার্কাস স্টয়নিসও।
এই ছয়জনকে সংক্ষিপ্ত ছুটি দেওয়ার বিষয়ে অধিনায়ক মার্শ ক্রিকেটডটকম ডটএইউকে বলেন, ‘ওরা আইপিএলে ছিল। গত কিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছে। যে কারণে দেশে কয়েকটা দিন পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য, ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার জন্য তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা ১৫ জনকেই পাব, তবে ওদের বিশ্রাম দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেটা মাত্র কয়েক দিন হলেও।’
৬ জন খেলোয়াড় না থাকায় অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ার্মআপ ম্যাচের দল সাজাতে হবে কোচিং স্টাফের সদস্যদের নিয়ে। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে দলের সঙ্গে আছেন সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ব্রাড হজ, প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি, এবং সহকারী কোচ আন্দ্রে বোরোভিচরা। তাঁদের সবাই অস্ট্রেলিয়ান হওয়ায় আইসিসির অফিশিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচে খেলতে পারবেন। ড্যানিয়েল ভেট্টোরি অস্ট্রেলিয়া দলের সহকারী কোচ হলেও খেলার সুযোগ নেই। কারণ, তিনি অস্ট্রেলিয়ান নন।
গত এপ্রিলে চোটে না পড়লে অধিনায়ক মার্শও হয়তো শেষ পর্যন্ত আইপিএলে থেকে যেতেন। দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলার সময় পাওয়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে তিনি এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। তবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলার ব্যাপারে আশাবাদী, ‘আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হওয়ার শেষ ক্ষণ গুনছি। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলছে। উন্নতিটা কিছুটা ধীর, তবে টুর্নামেন্টে ঠিকঠাকমতো খেলার অপেক্ষায় আছি আমি।’
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকা কয়েকটি দল অফিশিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে না। তবে অ্যাডাম জাম্পা, জশ ইংলিস, জশ হ্যাজলউড, অ্যাস্টন অ্যাগার আর ম্যাথু ওয়েডদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতির সুযোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া তা এড়িয়ে যায়নি। নামিবিয়ার বাইরে অস্ট্রেলিয়ার অপর ওয়ার্মআপ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার অভিযান শুরু হবে ৬ জুন ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অপর তিন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড।