পাকিস্তান দলে দুই টেস্টের মাঝেও ফিটনেস পরীক্ষা ক্রিকেটারদের
পাকিস্তানের ক্রিকেটে এসব হচ্ছেটা কী! এমন প্রশ্ন এখন প্রায়ই শোনা যায়। দল হেরেছে, কোচ বদলাও। দল হেরেছে, অধিনায়ককে সরিয়ে দাও। দল হেরেছে, নির্বাচক কমিটিতে পরিবর্তন নিয়ে এসো!
এসবই চলছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তারপরও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিবর্তনের পথেই হাঁটছে। এ নিয়ে দেশটির সাবেক ক্রিকেটার, সাংবাদিক ও ক্রিকেটপ্রেমীরা সমালোচনাও কম করছেন না। কিন্তু সেই সমালোচনা কি কানে তুলছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা!
এবার যে আরেকটি নতুন বিষয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে পিসিবি। দুই টেস্টের মধ্যের সময়টাতে নেওয়া হচ্ছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে দুই টেস্টের সিরিজ ধবলধোলাই হওয়ার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও হেরেছে পাকিস্তান।
এরপর চারদিক থেকে ধেয়ে যাচ্ছে সমালোচনার তির। বিশেষ করে সমালোচনা হচ্ছে বাবর আজমের ধারাবাহিক ছন্দহীনতা, শান মাসুদের নেতৃত্ব আর দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে। এর মধ্যেই পিসিবি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে চার ক্রিকেটারের ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম।
যে চার ক্রিকেটারের ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউ প্রথম টেস্টের দলে ছিলেন না। তার মানে, এই চার ক্রিকেটার ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে গেলে পরিবর্তন আসতে পারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে।
পিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেটের খবরবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, দ্বিতীয় টেস্টের আগে কামরান গুলাম, জাহিদ মেহমুদ, ইমাম-উল-হক ও নোমান আলীর ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া হবে। সিরিজ শুরুর আগে নোমান ও জাহিদ ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন।
১৫ অক্টোবর শুরু দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন না স্পিনার আবরার আহমেদ। প্রথম টেস্ট চলাকালে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাঁকে। এখনো তিনি হাসপাতালেই আছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে মুলতানে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করার পরও হেরেছে পাকিস্তান।
শুধু হারাই নয়, বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে প্রথম ইনিংসে ৫০০+ রান করার পরও ইনিংস ব্যবধানে হারার রেকর্ডও গড়েছে শান মাসুদের পাকিস্তান।