শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেয়েছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। আজ বিতর্কিত ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের করা ১৫৮ রান ৬ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে টপকে গেছে বরিশাল। ইব্রাহিম জাদরান ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন।এ ছাড়া ২৯ বলে ৪৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুজনের যুগলবন্দীতেই ঘুরেছে ম্যাচের ভাগ্য। দুই ডানহাতি মিলে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ বলে যোগ করেছেন ৮৪ রান। রান তাড়ায় জয়ের মঞ্চটা গড়ে দিয়েছেন এই দুজনই। এরপর বাকি কাজটা করেছেন ইফতিখার আহমেদ (১৮ বলে অপরাজিত ২৫) ও করিম জানাত (১৪ বলে অপরাজিত ২১)।
সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ে নামেননি। তবে রংপুরের রান তাড়ার শুরুতে তিনি নিয়ম ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেছেন। আম্পায়ার গাজী সোহেলের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত রংপুর ইনিংসের প্রথম বলটি হওয়ার আগেই। বরিশালের ওপেনার চতুরঙ্গা ডি সিলভা স্ট্রাইকে, রংপুরের বোলার রকিবুল হাসান বোলিং প্রান্তে। কিন্তু স্ট্রাইকে বাঁহাতি চতুরঙ্গাকে দেখে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান বল তুলে দেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের হাতে।
এ পরিবর্তন দেখে অন্য প্রান্তে থাকা এনামুল হক স্ট্রাইকে আসেন। তখন রংপুর আরও একবার বোলার পাল্টে ফেলে। ডানহাতি এনামুলের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার রকিবুলকে বোলিং দিতে চাচ্ছিল রংপুর। মাঝ মাঠে যখন এই নাটক চলছিল, তখন ডাগআউট থেকে উঠে আসে বরিশালের অধিনায়ক সাকিব।
স্কয়ার লেগ আম্পায়ার গাজি সোহেলের দিকে তেড়েফুঁড়ে আসেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী সাকিবের মাঠে ঢোকার কথা নয়। কিন্তু তিনি নিয়ম ভেঙে মাঠে ঢুকেছেন, এরপর আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন। সেটি চলতে থাকে প্রায় মিনিট পাঁচেক। এরপর সাকিব মাঠ ছাড়লে বাঁহাতি চতুরঙ্গাকে বাঁহাতি রকিবুলকে দিয়েই বোলিং করানো হয়।
এর আগে রংপুর রাইডার্সকে আজও বিস্ফোরক শুরু এনে দিয়েছেন রনি তালুকদার। ২৮ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারালেও রনির ইনিংসের সৌজন্যে রানের গতি কমেনি রংপুরের। তবে রনির ইনিংস দীর্ঘ হতে দেননি চতুরঙ্গা ডি সিলভা। নবম ওভারে দারুণ এক আর্ম ডেলিভারিতে রনিকে বোল্ড করেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
সে বলটিতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন উইকেটকিপার এনামুল হক। বল স্টাম্প ভেঙে সরাসরি আঘাত করে এনামুলের মুখে। সিমের আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে এনামুলের চোখের নিচের অংশ কেটে যায়, ঝরতে থাকে রক্ত। পরে আঘাত পাওয়া জায়গায় ব্যান্ডেজ করে উইকেটকিপিং করেছেন এনামুল।
রংপুরের ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে দাপট দেখিয়েছেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। শেষদিকে ঝড় তুলে ৩৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন, শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। পেসার রবিউল হকও ১৫ বলে ১৮ রান করলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে রংপুর। বরিশালের হয় মিরাজ ও চতুরঙ্গা নেন ২টি করে উইকেট।