অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে ২০ বছর বয়সী কনোলি, আছেন ফ্রেজার-ম্যাগার্কও
যুক্তরাজ্য সফরে টি-টোয়েন্টি দলে ২০ বছর বয়সী কুপার কনোলিকে ডেকেছে অস্ট্রেলিয়া। জাতীয় দলে এবারই প্রথম ডাক পেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই দলেই ডাকা হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের উত্তরসূরি বলে বিবেচিত আলোচিত ওপেনার জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্ককে।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি, ইংল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টির সঙ্গে ওয়ানডেতেও অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন মিচেল মার্শ। ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে এ সফরে বিশ্রামে থাকবেন ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার এ সংস্করণের দলে পালাবদলের ইঙ্গিত আছে। ওয়ার্নার অবসরে যাওয়ার পর ফ্রেজার-ম্যাগার্কের দলে আসা একরকম নিশ্চিতই ছিল। সর্বশেষ বিশ্বকাপের দলে থাকা ম্যাথু ওয়েড ও অ্যাশটন অ্যাগারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই ৩৮ পূর্ণ করে ফেলবেন ওয়েড, এর ফলে এ সংস্করণে হয়তো আর দেখা যাবে না তাঁকে।
মূলত ওয়েডের ‘ফিনিশার’ ভূমিকাতেই মাত্র ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা কনোলিকে ভাবা হচ্ছে। ২০২২-২৩ মৌসুমের বিগ ব্যাশ ফাইনালে পার্থ স্কর্চার্সের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি, সে আসরে ব্যাটিং করেছিলেন ১৪৫.৮০ স্ট্রাইক রেটে। আর উইকেটকিপিংয়ে দেখা যাবে জশ ইংলিসকে।
কনোলিকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, ‘গত ১২ মাসে জেক, স্পেনসার, জাভিয়ে ও অ্যারনের পর এবার কুপারকে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ দিতে পেরে আমরা খুশি। সাদা বলের দলে ক্যামেরন গ্রিন, নাথান এলিস ও জশ ইংলিসের সঙ্গে তারা রোমাঞ্চকর সম্ভাবনা।’
টি-টোয়েন্টিতে মিচেল স্টার্ক ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বিশ্রামে থাকবেন। পেসার হিসেবে অভিজ্ঞ জশ হ্যাজলউডের সঙ্গে আছেন জাভিয়ের বারলেট, নাথান এলিস ও স্পেনসার জনসন। দুই সংস্করণেই রাখা হয়েছে অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যারন হার্ডিকে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল করা হয়েছে মূলত আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথা ভেবে। ওয়ানডে দলে ফিরেছেন উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের পর বাদ পড়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড (স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে)
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), জাভিয়ের বার্লেট, কুপার কনোলি, টিম ডেভিড, নাথান এলিস, জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার), স্পেনসার জনসন, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যাডাম জাম্পা
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে স্কোয়াড (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে)
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), ক্যামেরন গ্রিন, নাথান এলিস, জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার), ট্রাভিস হেড, মারনাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু শর্ট, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা।