ইংল্যান্ডকে বিদায় করতে ‘কারসাজি’ করবে না অস্ট্রেলিয়া: কামিন্স
ব্যাপারটা বেশ মজার।
অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজলউড ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে দিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফলের ব্যবধানে প্রভাব রাখতে পারে অস্ট্রেলিয়া। এরপর আলোচনায় আসে আইসিসি আচরণবিধির এক ধারা, যেখানে বলা আছে, তৃতীয় একটি দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ভাবনায় উদ্দেশ্যমূলক ক্রিকেট খেললে নিষিদ্ধ হবেন অধিনায়ক। এবার বিষয়টিতে ‘আক্রমণাত্মক’ অবস্থান বদলে ‘রক্ষণাত্মক’ খেলা শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া!
অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্সের কথায় তেমনই ইঙ্গিত। বলেছেন, ইংল্যান্ডকে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করতে অস্ট্রেলিয়া কখনোই নিজেদের রান রেটের ওপর প্রভাব ফেলার চেষ্টার কথা ভাববে না। কামিন্স বিশ্বাস করেন, এমন কৌশল খেলার চেতনাবিরোধী।
অ্যান্টিগায় গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ১০১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের আগে হিসাবটা ছিল এমন, অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে কম ব্যবধানে জিতলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়তে পারে ইংল্যান্ড। কিন্তু ওমানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়ের পর ইংল্যান্ডের সেই শঙ্কা কেটেছে। এখন সমীকরণ উল্টে গেছে। ইংল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচে যদি নামিবিয়াকে হারাতে পারে, তাহলে স্কটল্যান্ডকে সুপার এইটে উঠতে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হবে।
কামিন্সের দাবি, হ্যাজলউডের কথাটা সিরিয়াস ছিল না। যদিও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক কামিন্স নিজেই গত বছর অ্যাশেজে লর্ডস টেস্টে জনি বেয়ারস্টোর স্টাম্পিং নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। ইংল্যান্ড–ওমান ম্যাচের আগে সেন্ট লুসিয়ায় সংবাদকর্মীদের কামিন্স বলেছেন, ‘মাঠে খেলার জন্য নেমে সব সময় নিজের সেরাটাই দিতে হয়। তা না হলে সেটা সম্ভবত খেলার চেতনাবিরোধী। এটা নিয়ে (ইংল্যান্ডকে বিদায়ের চেষ্টা) খুব বেশি ভাবিনি, কারণ ব্যাপারটা মাথায় আসেনি।’
কামিন্স এরপর বলেছেন, ‘জশির (হ্যাজলউড) সঙ্গে কথা হলো। সেদিন সে মজা করেছে। ব্যাপারটা একটু অপ্রাসঙ্গিকও হয়েছে। আমরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার চেষ্টাই করব, যারা এখন পর্যন্ত ভালো একটি টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছে এবং কাজটা কঠিনও হবে। দলের অংশ হিসেবে আপনি এটা (রান রেট) নিয়ে মজা করতে পারেন। কিন্তু যদি বলেন তাতে আমাদের খেলার ধারা বদলাবে কি না, সেটা অবশ্যই নয়। (দলের) অন্যদের মতো আমিও কখনো জেতার লক্ষ্য এবং আক্রমণাত্মক মানসিকতা ছাড়া মাঠে নামিনি।’
এর আগে নামিবিয়াকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সুপার এইট নিশ্চিতের পর হ্যাজলউড বলেছিলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের কোনো না কোনো পর্যায়ে হয়তো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে...নিজেদের দিনে তারা সেরা দলগুলোর একটি। টি–টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগেছিও। তাই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করাটা আমাদের জন্য তো ভালো বটেই, সম্ভবত অন্যদের জন্যও।’
রোববার গ্রোস আইলে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচে কিছু খেলোয়াড়কে তারা বিশ্রাম দিতে পারে। ক্যামেরন গ্রিন, জস ইংলিশ ও অ্যাশটন অ্যাগার এখনো মাঠে নামার সুযোগ পাননি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁদের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হালকা চোট পাওয়া পেসার মিচেল স্টার্ক নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলেননি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ফিরতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার একাদশে। ওমানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছিলেন কামিন্সও।