রোহিতকে ‘নো হিট’ ডাকার কথা বলে সমালোচিত শ্রীকান্ত
আইপিএলে এত বাজে রোহিত শর্মা এর আগে কবে খেলেছেন?
এবারের আইপিএলে ভারত ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়কের ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স এমন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আইপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৮৪ রান। গড় ১৮.৪০, স্ট্রাইক রেট ১২৬.৯০। ২০০৮ সাল শুরু করে আইপিএলের মৌসুম ধরে তুলনা করলে এটা রোহিতের সবচেয়ে বাজে মৌসুমগুলোর মধ্যে একটা। এর আগে গত বছর ১৪ ম্যাচ খেলে ১৯.১৪ গড়ে ২৬৮ রান করেছিলেন রোহিত, স্ট্রাইক রেট ছিল ১২০.১৮। এত দিন ওটাই ছিল আইপিএলে রোহিতের সবচেয়ে বাজে মৌসুম। এবার বোধ হয় এর চেয়েও খারাপভাবে শেষ হতে যাচ্ছে ভারত অধিনায়কের আইপিএল মৌসুম।
পাঞ্জাব ও চেন্নাইয়ের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৬ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডও এখন রোহিতের। তাঁর এমন বাজে ফর্ম দেখে বেশ কিছুদিন ধরেই সুনীল গাভাস্কার বলে যাচ্ছেন, রোহিতের বিশ্রাম দরকার। সেটা রোহিতের জন্য তো বটেই, ভারতের জন্যও ভালো হবে বলে মনে করেন গাভাস্কার।
তবে সবাই তো আর এমন গঠনমূলক কথা বলছেন না, কেউ কেউ কঠোর সমালোচনাও করছেন তাঁর, দিচ্ছেন তীব্র খোঁচাও। ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারত দলে গাভাস্কারের সতীর্থ কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তই যেমন ধারাভাষ্যে বলেছেন, এখন রোহিতকে ‘নো হিট’ নামে ডাকা উচিত। ক্রিকেট মহলে ‘রসিক’ হিসেবে পরিচিত ভারতের সাবেক ওপেনার এটাও বলেছেন, তিনি যদি মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হতেন, তাহলে রোহিত নাকি একাদশেই সুযোগ পেতেন না।
নো হিট নামটা হয়তো রসিকতা করেই বলেছেন। তবে শ্রীকান্তের এই রসিকতা মোটেও ভালোভাবে নেননি অনেকেই। রোহিত-ভক্তরা তো বটেই, সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে কেউ কেউও। ভারতেরই আরেক সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া যেমন শ্রীকান্তের এই রসিকতা নিয়ে টুইট করেছেন, ‘সাবেক ক্রিকেটাররা যখন ট্রলকারীদের ভূমিকা নেন, বুঝতে হবে অবক্ষয় সর্বনিম্ন পর্যায়ে। তলানিতে।’
রোহিত অবশ্য এসব সমালোচনা বা রসিকতার জবাবে কিছু বলেননি এখনো। তাঁকে যে জবাবটা ব্যাট হাতেই দিতে হবে!