ব্রিসবেনে কাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ সামনে রেখে আজ সংবাদ সম্মেলনে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসাল্ট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। তাঁর বিশ্বাস, বাংলাদেশকে ‘ভবিষ্যতে খুব ভালো টি–টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে মাত্র একটি জয় নিয়ে এবারের সংস্করণে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। সেই একমাত্র জয়টিও এসেছিল ২০০৭ প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এবার সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
কিন্তু গত পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। গ্রুপ ২–তে পয়েন্ট তালিকায় চারে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচে সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে বাকি ম্যাচগুলো জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। জিম্বাবুয়ে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে শেষ বলে ১ রানে হারিয়ে চনমনে মেজাজে আছে।
এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের জন্য লড়াই করতে হলে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাসের। সর্বশেষ ম্যাচে হারের গ্লানি মাথায় থাকলে কাজটা কঠিন হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক।
শ্রীরাম জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় হার পেছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশ দল, ‘আমরা পয়েন্ট তালিকায় তাকাচ্ছি না, যা ঘটেছে, তা ঠিক করতে পারব না। শান্ত থাকতে হবে, নিজেদের পরিকল্পনা সমন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে এবং ম্যাচের দিন শুধু ম্যাচ নিয়েই ভাবতে হবে। টুর্নামেন্টের খেলায় আবেগের কোনো জায়গা নেই। একটা দিন খারাপ যেতেই পারে কিন্তু তারপরই ঘুরে দাঁড়াতে হয়। আমরা বড় ব্যবধানে জিতি কিংবা হারি, পরের দিন তো এর কোনো দাম নেই। আবারও ঘুম থেকে উঠে অনুশীলন করে (নতুন ম্যাচ) খেলতে হয়। তাই আমাদের দল (আগের ম্যাচে বড় হার) এটা নিয়ে ভাবছে না, সব আগের মতোই আছে।’
শ্রীরাম মনে করেন, সুপার টুয়েলভে কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় তুলে নিতে পারলে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সুপার টুয়েলভের শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তা কাজে লাগবে বলে মনে করেন সাবেক এই ভারতীয় অলরাউন্ডার। কাল বরাবরের মতোই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে লিটন দাস, আফিফ হোসেন, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। বোলিংয়ে একই দায়িত্বে থাকবেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ দলের এই টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট জানালেন, এখন তিনি দলটা গড়ছেন, ‘আমরা দল এবং খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস ঠিক করার চেষ্টা করছি। খেলোয়াড়েরা জানে বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের অবস্থান কোথায় এবং কোথায় যেতে চায়। আমার মনে হয় ভিতটা গড়া হয়েছে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারি, আমরা ভবিষ্যতের জন্য দলটা গড়ার চেষ্টা করছি, যেখানে দক্ষতাসম্পন্ন খেলোয়াড়েরা আছে। এখন আরও কিছু দক্ষতা যোগ করতে পারলে আমার মনে হয় ভবিষ্যতের জন্য আমরা খুব ভালো একটা টি–টোয়েন্টি দল গড়তে পারব।’