দুজনই ৭০ পেরোলেও সেঞ্চুরি পাননি কেউই। তবে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ৮৬ ও ওপেনার টনি ডি জর্জির ৭৮ রানের ইনিংসে বৃষ্টিবিঘ্নিত ত্রিনিদাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩৪৪ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। অবশ্য আউটের ধরন নিয়ে দিন শেষে আক্ষেপটা বাড়ারই কথা দক্ষিণ আফ্রিকার, সেটি না হলে যে আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারত তারা।
প্রথম দিন মাত্র ১৫ ওভার খেলা হওয়ার পর ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ত্রিনিদাদের এ উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন সহায়তা নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল জোমেল ওয়ারিকান, এ বাঁহাতি স্পিনার ৩ উইকেট নিয়েছেন ৬৬ রানে। দিনের শেষে গিয়ে পরপর দুই বলে কাইল ভেরেইনা ও কেশব মহারাজকে আউট করেন তিনি। কেমার রোচ ও জেইডেন সিলস নেন ২টি করে উইকেট।
দিনের খেলা শেষে ওয়ারিকান বলেছেন, ‘পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ সহজ। ফলে আজ সাত উইকেট পাওয়াটা দারুণ একটা কাজ হয়েছে। তাপমাত্রার ব্যাপারও ছিল।’
সকালে ডি জর্জির সঙ্গী ট্রিস্টান স্টাবসকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন রোচ। ডি জর্জি অবশ্য ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পথে ভালোভাবেই ছিলেন। তবে মধ্যাহ্নবিরতির ঠিক আগে ওয়ারিকানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির পথে তিনি মারেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কা।
অন্যদিকে অধিনায়ক বাভুমা আউট হন সিলসের ফুলটস মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে। ১৮২ বলের ইনিংসে বাভুমা মারেন ৭টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা। শেষ সেশনে ৪ উইকেট নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবীয়রা। মাঝে অবশ্য সপ্তম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ভেরেইনা ও উইয়ান মুল্ডার।
দিনের খেলা শেষে ৩৭ রানে অপরাজিত মুল্ডার, ১২ রানে ব্যাটিং করছিলেন কাগিসো রাবাদা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১১৩ ওভারে ৩৪৪/৮ (বাভুমা ৮৬, ডি জর্জি ৭৮, ভেরেইনা ৩৯, মুল্ডার ৩৭*; ওয়ারিকান ৩/৬৬, রোচ ২/৫৩, সিলস ২/৫৭)