দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে দিল না বৃষ্টি
নিশ্চিত জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা যদি বিরূপ প্রকৃতি গিলে খায়, পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়; এর চেয়ে বড় পোড়া কপাল আর কী হতে পারে? প্রোটিয়াদের দুর্ভাগ্য। সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকা সে ম্যাচটা শেষ হয়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে।
অথচ বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৭ ওভারে ৬৪ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল এমন - ৪, ৪, ৪, ৬, ৪, ১। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টেন্ডাই চাতারার ওপরে রীতিমতো মহাপ্রলয় বইয়ে দিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। ঘুরেফিরে সেই শর্ট বল। আর ডি ককের অমন ‘ট্রিটমেন্ট’। বেদম পিটুনি খেয়ে চাতারা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন বল কোথায় ফেলবেন!
২৩ রান দিয়েও অবশ্য নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতে পারেন চাতারা। শেষ বলে যে মাত্র ১ রান দিয়েছেন, সেটাই করেছেন লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে। একদম ডি ককের ছক্কা মারার সীমানায়। ওই বলকে ছক্কায় ওড়াতে না পারলেও আফসোস নয়; বরং খুশিই হওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের। সেই বল থেকে ১ রান নেওয়ায় পরের ওভারে আবার যে স্ট্রাইক তিনিই পেয়েছেন!
সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দ্বিতীয় ওভারে ডি কক নিয়েছেন চার চারে ১৬ রান, ওয়াইড একটি। এবার বোলারের নাম রিচার্ড এনগারাভা। শেষ বলটা করার পরেই হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছে তাঁর। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়েছেন। মনে মনে হয়তো বলেছেন, ‘যাক বাবা, ভালোই হয়েছে। ডি ককের সামনে আর পড়তে হচ্ছে না।’ সিকান্দার রাজার করা পরে ওভারে এসেছে আরও ১১ রান।
ডি কক আসলে শুধু জিম্বাবুয়ের বোলারদের নিয়েই ছেলেখেলায় মাতেননি, প্রতিটি মুহূর্তে মাথায় রাখতে হয়েছে বৃষ্টির শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সে শঙ্কাই সত্যি হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার রান যখন ৩ ওভারে ৫১ রান, তখন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। এরপর ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৫ ওভার মাঠে না গড়ালে ফল না হওয়ায় নিয়মটাই কাল হয়ে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকার।
এর আগে ঘণ্টা দুয়েকের অঝোর বর্ষণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এসেছিল ৯ ওভারে। আগে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৭৯ রান। দফায় দফায় বৃষ্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৬৪।
দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে ৫জি গতিতে রান তুলছিল, তাতে আর একটি ওভার পেলেই হয়তো বাকি ১৩ রান তুলে ফেলতে পারত। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো তাদের।