২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বাবর-আফ্রিদিদের সেরাটা দেখতে চান কারস্টেন

পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেনএএফপি

কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছেন গ্যারি কারস্টেন। ভারতকে তিনি টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর দল বানিয়েছিলেন। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ভারতের কোচ ছিলেন তিনি। নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাও কারস্টেনের কোচিংয়ে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছিল।

জেসন গিলেস্পির সাফল্য ঘরোয়া পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার, সাসেক্সে কাজ করার পর সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সাবেক এই ফাস্ট বোলার। গিলেস্পি এখন পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন, কারস্টেন পেয়েছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব। দুই বছরের চুক্তিতে পাকিস্তান ক্রিকেটে বদলের ছাপ রাখার লক্ষ্য দুজনের।

আরও পড়ুন

কারস্টেন গত কয়েক বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে কাজ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের একাডেমিও দেখাশোনা করতেন। নতুন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন কারস্টেন।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পডকাস্টে তিনি কোচিংয়ের প্রতি ভালোবাসার কথা বলেন তিনি, ‘প্রথমত, আমি কোচিং ভালোবাসি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি অনেক বছর ধরেই ছোট সংস্করণের ক্রিকেটে কোচিং করাচ্ছি। এখানে প্রতিটি ম্যাচ ঘিরে যে উত্তেজনা থাকে সেটি সত্যিই রোমাঞ্চকর। কোচিংয়ের দিক থেকে ছোট সংস্করণটা একটু অন্য রকম। এখানে কোচদের ভিন্ন কিছু করার বড় সুযোগ। সেদিক থেকে আমি বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটের কোচিংটা খুব পছন্দ করি।’

বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদির মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ— ওদের নাম এখন সবার মুখে মুখে। ওরা অনেক দিন ধরেই ক্রিকেট খেলছে। আমি ওদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। দেখতে চাই কী করলে ওরা ভালো পারফর্ম করে। ওরা যেন ওদের সেরাটা দিতে পারে, সে চেষ্টা করব। তাহলে জাতীয় দলে উপকৃত হবে।’

আরও পড়ুন

গিলেস্পি সেরাটা বের করে আনতে চান আরেকটু অন্যভাবে। তাঁর কোচিং–দর্শনটা বোঝা যায় এই কথায়, ‘আপনি যা তাই থাকতে হবে। আমি বলব, ইতিবাচক হও, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলো। মুখে হাসি নিয়ে দর্শকদের বিনোদন দাও। আবার এমন সময়ও আসবে, যখন লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। আর এটাই টেস্ট ক্রিকেট। দক্ষতা, মানসিকতা ও ধৈর্যের পরীক্ষা। কখনো আক্রমণ করতে হবে, আবার কখনো চাপ নিতে হবে। যদি এসব ক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিক হতে পারি, তাহলে স্কোরবোর্ড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আর আমরাও কিছু জয়ের মুখ দেখতে পারব।’