শ্রীলঙ্কার ৬০২ রানের জবাবে ৮৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড
এমন নিউজিল্যান্ডের দেখা সব সময় মেলে না!
কিউই বোলাররা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে বোলিং করলেন প্রায় ১৬৪ ওভার। টিম সাউদিদের ক্লান্ত করে শ্রীলঙ্কা তুলল ৫ উইকেটে ৬০২। জবাবে কি না প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে মাত্র ৮৮ রানে। এটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
কিউইরা টিকতে পারেনি ৪০ ওভারও (৩৯.৫ ওভার)। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে যেখানে সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি, সেখানে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ২৯, সেটাও করেছেন ৯ নম্বরে নামা মিচেল স্যান্টনার। ৬ উইকেট নিয়েছেন প্রবাত জয়াসুরিয়া। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের লিড ৫১৪ রানের।
প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের লিড পাওয়ার তালিকায় শ্রীলঙ্কার ৫১৪ রান খুব ওপরের দিকে নেই। এ তালিকায় তারা পঞ্চম। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের লিড পাওয়ার রেকর্ড ইংল্যান্ডের।
১৯৩৮ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭০২ (টাইমলেস টেস্ট) রানের লিড পেয়েছিল তারা। তবে ২০০৬ সালের পর শ্রীলঙ্কার এই লিডই সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কলম্বোতে ৫৮৭ রানের লিড নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
২ উইকেটে ২২ রান নিয়ে দিন শুরু করা কিউইদের ব্যাট হাতে এমন দুর্দশার মূল কারণ জয়াসুরিয়া। ডেভন কনওয়ে, কেইন উলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল ও গ্লেন ফিলিপস—মূল পাঁচ ব্যাটসম্যানসহ মোট ৬ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দুই ইনিংসে মিলিয়ে জয়াসুরিয়া নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। মাত্র ১৬ টেস্টের ক্যারিয়ারের এরই মধ্যে ৯ বার ৫ উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৯ বারই অবশ্য দেশের মাটিতে।
জয়াসুরিয়ার নেওয়া ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিতে ক্যাচ নিয়েছেন অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে চারবার। সর্বশেষ ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা–ইংল্যান্ড টেস্টে।
শ্রীলঙ্কা ফলোঅন করানোয় প্রথম ইনিংসে ৪০ ওভারের মধ্যে অলআউট হয়ে যাওয়া কিউইরা দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাটিংয়ে নেমেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১৪ রানে টপকে এখন নিউজিল্যান্ডকে টার্গেট দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে শুরুটাও অবশ্য ভালো হয়নি।
লাঞ্চে যাওয়ার আগে দুই ওভারের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়েছে তারা। শূন্য রানে আউট হয়েছেন টম ল্যাথাম। গলে আজকের দিনে এখনো ৬০ ওভার বাকি আছে। স্পিন স্বর্গে জয়াসুরিয়াদের সামনে কিউইদের গুটিয়ে যেতে এত ওভার লাগবে কি না, সেটাও এখন প্রশ্ন!