- যেভাবে হারল বাংলাদেশ
- নিউইয়র্কে সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা
- আলোচনায় নিউইয়র্কের কন্ডিশন
- টস
- সৌম্যর জায়গায় জাকের আলী
- নাজমূল আবেদীনের বিশ্লেষণ
- ৪-০ নাকি ৩-১?
- ১১ রানের পর সফল তানজিম
- আরেক প্রান্তে তাসকিন
- ডি ককও তানজিমের শিকার
- নিউইয়র্কে শুরুর দাপট বাংলাদেশের
- ৩.৫ ওভারে, ২৩/৩!
- তানজিমের তৃতীয়, বাংলাদেশের চতুর্থ!
- যখন ৪ উইকেট নেই প্রোটিয়াদের
- ২৫/৪, ৬ ওভার
- আক্রমণে রিশাদ
- সাকিব এলেন
- রিশাদের ওপর চড়াও ক্লাসেন
- জীবন পেলেন মিলার
- নিস্ক্রিয় রিশাদ
- বুম!
- তানজিম—৩/১৮
- ১৭ ওভারে ১০০/৪
- ব্রেকথ্রু দিলেন তাসকিন
- রিশাদ, সাকিব নাকি মাহমুদউল্লাহ?
- মিলার বোল্ড রিশাদ
- দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৩/৬, ২০ ওভার
- বলছেন বোলিংয়ের নায়ক তানজিম
- ওপেনিংয়ে নাজমুল
- দুই চারের পর তানজিদ আউট
- ছক্কার পর পাঁচ ডট
- ইয়ানসেন বনাম লিটন
- ৬ ওভারে ২৯/১
- লিটন আউট
- এ পরিসংখ্যান স্রেফ মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর কিছু না….
- নর্কিয়ার শিকার সাকিব
- হৃদয়ের ছক্কা
- নাজমুলও গেলেন
- মাহমুদউল্লাহর চার
- বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ
- হৃদয়ের ছক্কা
- পুরোনো ভূমিকায় হৃদয়
- নর্কিয়ার শেষ
- মাহমুদউল্লাহর সফল রিভিউ
- আম্পায়ার্স কলে থামলেন হৃদয়
- ১৮তম ওভারে ২ রান
- বাকি এক ওভার, ১১ রান….
- ৪ রানে হারল বাংলাদেশ
- গতকাল পাকিস্তান, আজ বাংলাদেশ
- ম্যাচসেরা ক্লাসেন
- বলছেন নাজমুল
- মার্করামের উপলব্ধি
যেভাবে হারল বাংলাদেশ
১১৪ রানের লক্ষ্যে ম্যাচের মাঝপথে ফেবারিট ছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ার অনেকটা সময়ও তাই ছিল। কিন্তু গতকাল পাকিস্তান-ভারতের মতো নিউইয়র্কের এ ম্যাচটিও জিতেছে আগে ব্যাটিং করা দল। ৪ রানে বাংলাদেশ কীভাবে হারল, তার ঘটনাক্রম পড়ুন নিচে—
নিউইয়র্কে সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হার। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে বড় হার। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু করেছিল বেশ এলোমেলো অবস্থায়। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে সেই বাংলাদেশ দলই এখন উজ্জীবিত। সমর্থকদের অবস্থাও বোধহয় অমনই! এমনিতে কাগজে-কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন এক প্রতিপক্ষ। তবে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ‘লটারি’র মতো কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারলে নিশ্চিতভাবেই খুলে যাবে দুয়ার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
আলোচনায় নিউইয়র্কের কন্ডিশন
এ মাঠে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে এটি। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে এখানে তারা ভারতের বিপক্ষে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা এখানে খেলেছে দুটি ম্যাচ।
টস
টসে জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর মনে হচ্ছে, রান তাড়া এখানে বেশি কঠিন।
সৌম্যর জায়গায় জাকের আলী
শ্রীলঙ্কার ম্যাচ থেকে আছে একটিই পরিবর্তন। সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে এসেছেন জাকের আলী।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান।
অপরিবর্তিত আছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), রিজা হেনড্রিকস, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্কিয়া, ওটনিল বার্টম্যান
নাজমূল আবেদীনের বিশ্লেষণ
কাজটা সহজ হয় যদি বাংলাদেশ টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারে। এখন পর্যন্ত যা দেখলাম, নিউইয়র্কে ১২০ রানও তাড়া করা কঠিন। বাংলাদেশের ম্যাচেও যে একই উইকেট থাকবে, সে নিশ্চয়তা নেই। এ উইকেট নিয়ে আগে থেকে ধারণা করা খুব কঠিন। তাই কন্ডিশন বুঝে পরে ব্যাটিং করা বেশি নিরাপদ। বাংলাদেশ যদি টস জিতে পরে ব্যাটিং করে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে কম রানে থামাতে পারে, তাহলে সুযোগ থাকবে। বোলারদের চরম কৃপণ হতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে হয়নি। তারা নিজেরাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী, তা বোঝা যাবে আরও কিছুক্ষণ পর।
৪-০ নাকি ৩-১?
এ পর্যন্ত ৩ বার খেলে বাংলাদেশ জয়শূন্য। হারের ব্যবধানও তিনটিতেই বড়—৭ উইকেট, ৬ উইকেট, ১০৪ রান। কেপটাউন, আবুধাবি, সিডনির গল্পটা কি বদলাবে নিউইয়র্কে এসেছে?
১১ রানের পর সফল তানজিম
তানজিম হাসানের দ্বিতীয় বল। স্লটে পেয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। ভুল করেননি। ফ্লিক করে মেরেছেন ম্যাচের প্রথম বাউন্ডারি, প্রথম ছক্কা, সেটিই ম্যাচের প্রথম স্কোরিং শট। পরের বলে লেংথ একটু কম ছিল, লাইনও মিডল বরাবর ছিল। কিন্তু ডি কক টেনে সেটি মেরেছেন চার। ডটের পর সিঙ্গেল নিয়ে ডি কক গিয়েছিলেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে। হেনড্রিকস এরপর এলবিডব্লু। সিম আপ ডেলিভারি মিস করে গেছেন একেবারে, আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ তুলেছেন আঙুল। নিউইয়র্কে গর্জন করে উঠল যেন তাতে, মানে নাসাউ কাউন্টিতে বাংলাদেশি সমর্থকদের উল্লাস ছিল এমনই জোরাল। যে ওভারের প্রথম ৩ বলে ১০ রান দিয়েছিলেন তানজিম, সেটিই শেষ করলেন প্রথম ব্রেকথ্রু দিয়ে।
আরেক প্রান্তে তাসকিন
যেন প্রথম ওভারের পুনরাবৃত্তি! দ্বিতীয় বলে ঘুরিয়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা। তানজিমের পর তাসকিনকেও এই ট্রিটমেন্ট দিয়েছেন ডি কক। তাসকিন অবশ্য পরের ৫ বলে দিয়েছেন আর ১ রান। ২ ওভারে ১৮/০।
ডি ককও তানজিমের শিকার
বল নিচু হলো। ডি কক মিস করলেন। তানজিম এরপর লাইন আর লেংথ দুটিতেই গড়বড় করে দিলেন ওয়াইড। লাইন আর লেংথ দুটিই পারফেক্ট হলো এরপর। পড়ার পর একটু ভেতরে ঢুকেছিল বলটি, ডি কক পুল করতে গিয়ে মিস করেছেন একেবারে, হারিয়েছেন স্টাম্প। তানজিম সফল আবার। দুই ওপেনারই তাঁর শিকার। ১৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ডি কক থেমেছেন ১১ বলে ১৮ রান করে।
নিউইয়র্কে শুরুর দাপট বাংলাদেশের
৩.৫ ওভারে, ২৩/৩!
এবার তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড এইডেন মার্করাম। আবার সিম আপ ডেলিভারি। দারুণ লেংথ আর লাইন। ব্যাট চালিয়ে নাগাল পাননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। ২৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা—দুটি বোল্ড, একটি এলবিডব্লু।
তানজিমের তৃতীয়, বাংলাদেশের চতুর্থ!
২৬ বল, এর মধ্যে ৪ উইকেট নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। নিজের ১৪তম বলে তৃতীয় উইকেট নিলেন তানজিম হাসান। লেংথ থেকে বল উঠেছিল একটু বেশি। সেটিতেই ভড়কে গেছেন ট্রিস্টান স্টাবস। আগবাড়িয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন কাভারে, সামনে নিচু হয়ে দারুণভাবে সেটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা!
যখন ৪ উইকেট নেই প্রোটিয়াদের
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচে অবশ্য পরে ব্যাটিং করেছে তারা। আজ মার্করামের আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত একটু চমক হয়েই এসেছে। সে সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত বুমেরাং।
২৫/৪, ৬ ওভার
স্কোরটিই আসলে বলে দিচ্ছে অনেক কিছু। তানজিম হাসানের ওপর শুরুতে চড়াও হয়েছিলেন ডি কক। কিন্তু নিউইয়র্কে সেটিকে মনে হচ্ছে অনেক্ষণ আগের ঘটনা। টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরেছেন বাংলাদেশ পেসাররা। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মোস্তাফিজকে এনেছিলেন নাজমুল। তিনি দিয়েছেন ১ রান।
আক্রমণে রিশাদ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসেরা রিশাদের দ্বিতীয় বলে টেনে মিডউইকেট দিয়ে চার ডেভিড মিলারের—নেদারল্যান্ডস ম্যাচের মতো এবারও দক্ষিণ আফ্রিকার আশা তিনিই। রিশাদ অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ভালোভাবেই। পরের ৫ বলে দিয়েছেন ২ রান। ৭ ওভারে ৩১/৪।
সাকিব এলেন
প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতেই এসেছিলেন সাকিব। তবে সুবিধা করতে পারেননি। আজ তাঁকে নবম ওভারে প্রথমবারের মতো আনলেন নাজমুল। প্রথম ওভারে তিনি দিয়েছেন চারটি সিঙ্গেলের সঙ্গে একটি ডাবলস। মিলার ও ক্লাসেন ঝুঁকি নিচ্ছেন না এখন, ক্রিজে থিতু হওয়াই লক্ষ্য তাঁদের। এমন উইকেটে ক্রিজে সময় কাটাতে পারলে যে পরে কাজে দেবে তা, সেটি নিশ্চিতই। ৯ ওভারে ৪৩/৪, মিলার-ক্লাসেনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ২০ রানে।
রিশাদের ওপর চড়াও ক্লাসেন
আগের বলে বড় টার্নে ক্লাসেনকে পরাস্ত করেছিলেন রিশাদ। এরপর একটু উচ্চাভিলাষী হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার। ঝুলিয়ে দিলেন, স্লটে পেয়ে ক্লাসেন মারলেন প্রথম ছক্কা। এরপর লেংথ কমিয়ে আনেন রিশাদ, সেটিকে ঘুরিয়ে দ্বিতীয় ছক্কাটি মেরেছেন ক্লাসেন। ১৭ বলে ৮ রান ছিল তাঁর, এখন ২০ বলে ২১ রান।
জীবন পেলেন মিলার
১১তম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে এনেছেন নাজমুল। সে সিদ্ধান্ত পরিণত হতে পারত ‘মাস্টারস্ট্রোক’-এ। প্রথম বলেই মিলারের ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে গিয়েছিলেন ক্যাচ। কিন্তু সেটির লাইনে যেতে পারেননি উইকেটকিপার লিটন। পায়ে গিয়ে লাগে তাঁর। ১৩ রানে জীবন পেয়েছেন মিলার। ১১ ওভারে ৬১/৪।
নিস্ক্রিয় রিশাদ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসেরা। তবে রিশাদ হোসেনকে এখন পর্যন্ত নিস্ক্রিয় করে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্পিনের বিপক্ষে ক্লাসেন দারুণ, রিশাদের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে চার মেরেছেন তিনি। আরেক প্রান্তে তাসকিনকে ফিরিয়েছেন নাজমুল। মিলার-ক্লাসেনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩ ওভারে ৭২/৪।
বুম!
এ উইকেটে বল গ্রিপ করবে। মোস্তাফিজও তাই ঝুঁকেছেন কাটারের দিকে। কিন্তু ডেভিড মিলারের কাছে জবাব আছে সেটির। মোস্তাফিজ বেশি ফুললেংথে করে ফেলেছিলেন। মিলার সেটিকে পাঠিয়েছেন মাথার ওপর দিয়ে। দশম ওভারের পর প্রথম ছক্কার দেখা পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। মিলার-ক্লাসেনের জুটি ৫০ পেরিয়েছে আগেই। আরেক প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ অবশ্য আঁটসাঁট করেছেন। ১৫ ওভারে ৮৪/৪।
তানজিম—৩/১৮
১৬তম ওভারে শেষ করলেন তানজিম। ৪ ওভার এ পেসার ৩ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৮ রান দিয়ে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেসারদের মধ্যে এর চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে আর ৩টি। ১৬ ওভারে ৯০/৪।
১৭ ওভারে ১০০/৪
সাকিব করেছেন ১ ওভার। মাহমুদউল্লাহ করলেন তৃতীয়। পেসারদের মতো তিনিও লেংথ বরাবর করছিলেন, এর মাঝেই ভুল করে ফেলেছেন একটি। স্লটে পেয়ে ভুল করেননি ক্লাসেন। ১৭তম ওভারে ১০০ ছুঁয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্রেকথ্রু দিলেন তাসকিন
যাওয়ার পথে মিলারের সান্ত্বনা পেলেন ক্লাসেন। অবশেষে ভাঙল তাঁদের জুটি। তাসকিনকে জোরের ওপর খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড ৪৪ বলে ৪৬ রান করা ক্লাসেন। মিলারের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৭৯ বলে ৭৯ রান। ম্যাচের প্রেক্ষিতে যেটি দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।
রিশাদ, সাকিব নাকি মাহমুদউল্লাহ?
তাসকিন ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট। তাঁর বোলিংয়ে দায়িত্ব শেষ আজ। এখন মোস্তাফিজের বাকি ১ ওভার, ইনিংসে বাকি ২ ওভার। বাকি ১ ওভারের জন্য একজন স্পিনারকে আনতে হবে নাজমুলকে। তাঁর হাতে অপশন ১ ওভারে ৬ রান দেওয়া সাকিব, ৩ ওভারে ২৮ রান দেওয়া রিশাদ ও ৩ ওভারে ১৭ রান দেওয়া মাহমুদউল্লাহ। ১৮ ওভারে ১০৫/৫।
মিলার বোল্ড রিশাদ
ক্রিজে বাঁহাতি মিলার থাকার পরও ১৯তম ওভারে রিশাদকেই এনেছেন নাজমুল। এবং সে সিদ্ধান্ত পরিণত হলো দুর্দান্ত একটিতে! রিশাদ টপ স্পিনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মিলারকে। তিনি বড় শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, তবে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। সাহসী অধিনায়কত্ব, সাহসী বোলিং, বাংলাদেশের জন্য দুর্দান্ত ফল। ইনিংসে চতুর্থ দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হিসেবে বোল্ড হয়েছেন মিলার। ৩৮ বলে ৩৯ রান তাঁর, ১০৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৩/৬, ২০ ওভার
ডট, ডট, ডট, ডট। শেষ ওভারের প্রথম ৪ বল। মোস্তাফিজুর রহমানের কোনো জবাব ছিল না কেশব মহারাজের কাছে। শেষ ২ বলে এসেছে ৩ রান। একটি ওয়াইডসহ শেষ ওভারে ৪ রান। শেষ ২ ওভারে ৮ রান, শেষ ৩ ওভারে ১৩ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেছে ১১৩ রানে।
ম্যাচের শুরুর দিকে ফিরে তাকান। দেখবেন প্রথম ৫ বলে ১১ রান। নিউইয়র্কে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে তখন মনে হচ্ছিল দারুণ। শেষ বলে তানজিম এলবিডব্লু করলেন হেনড্রিকসকে। নিউইয়র্ককে এরপর যেন নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। তানজিমের পর তাসকিনের তোপে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেই প্রোটিয়াদের। সেখান থেকে মিলার ও ক্লাসেনের ৭৯ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গিয়েছিল কাঙ্ক্ষিত ১৩০ বা এর আশেপাশের স্কোরের দিকে। কিন্তু তাসকিনের বলে ক্লাসেন আর ১৯তম ওভারে রিশাদের বলে মিলার বোল্ড হওয়াতে দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেছে আগেভাগেই।
বলছেন বোলিংয়ের নায়ক তানজিম
নিউইয়র্কে সব ম্যাচই লো স্কোরিং হচ্ছিল, পেসারদের সহায়তা ছিল। মৌলিক বিষয় ঠিক রাখতে চেয়েছি। কাজে দিয়েছে। ডি ককের উইকেটটিই প্রিয়, ছক্কা মেরেছিল। তার উইকেট পেয়েছি, আমি খুশি।
ওপেনিংয়ে নাজমুল
ফর্ম খুঁজে ফিরছেন অধিনায়ক নিজেও। তবে তানজিদ হাসানের সঙ্গে তিনিই এসেছেন ওপেনিংয়ে। সৌম্য সরকার নেই বলে নতুন ওপেনিং জুটি লাগত বাংলাদেশের। ক্যারিয়ারে এর আগে ১১ ম্যাচ ওপেন করেছেন নাজমুল। সর্বশেষ করেছিলেন বিশ্বকাপেই। ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে। সে ম্যাচে ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাংলাদেশের এখনকার অধিনায়ক। ১ ওভারে ১/০।
দুই চারের পর তানজিদ আউট
কাভারের পর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট—কাগিসো রাবাদার ওপর চড়াও তানজিদ। শেষ বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ। নিজে অবশ্য নিশ্চিত ছিলেন না বলে মনে হচ্ছিল। নাজমুলের সঙ্গে আলোচনার পর অবশ্য রিভিউ না করার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। স্টাম্প মাইক্রোফোনে শব্দ ছিল স্পষ্ট। পরে আল্ট্রা-এজও নিশ্চিত করেছে সেটি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। স্কোর ৯/১।
ছক্কার পর পাঁচ ডট
ওটনিল বার্টম্যানকে সামনে এসে ছক্কা মেরে স্বাগত জানিয়েছেন নাজমুল। পরের ৫ বলে অবশ্য রান নিতে পারেননি কোনো। তবে ৬ রান উঠে গেছে, ওভারপ্রতি এর বেশি লাগেওনা। ৪ ওভারে ১৯/১।
ইয়ানসেন বনাম লিটন
লেগ স্লিপ রেখে শর্ট বল—লিটনের বিপক্ষে মার্কো ইয়ানসেনের কৌশল ছিল এমন। লিটন তাতে হতাশও হয়েছেন। নতুন ওভারের প্রথম বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে মিসও করেন পুরোপুরি। যদিও বিপদ ঘটেনি। এরপর পুল করতে পেরেছেন। তাতে এসেছে চার। ৫ ওভারে ২৪/১।
৬ ওভারে ২৯/১
তানজিদের উইকেট হারালেও শুরুটা ভালোই বলতে হবে। নাজমুল ও লিটন ঝুলে আছেন। পাওয়ারপ্লেতে ২৫ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
লিটন আউট
লিটন হতাশ হচ্ছিলেন। সেটির মাশুল দিলেন। কেশব মহারাজের ইনিংসের প্রথম বল। ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে জায়গা বানিয়ে ইনসাইড আউট করতে গিয়ে কাভারে মিলারের হাতে ধরা পড়েছেন লিটন। ১৩ বলে ৯ রান তাঁর। ৬.১ ওভারে ২৯/২।
এ পরিসংখ্যান স্রেফ মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর কিছু না….
সর্বনিম্ন ১২৯ রানের লক্ষ্য, ২০২১ সালে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
নর্কিয়ার শিকার সাকিব
আনরিখ নর্কিয়া বিভিষীকা হয়ে উঠেছিলেন শ্রীলঙ্কার জন্য। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই কাজে দিল তাঁর শর্ট বল কৌশল। সাকিব নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। মিড অনে গেছে সহজ ক্যাচ। বোলিংয়ে ১ ওভারের পর আসেননি, ব্যাটিংয়েও কিছু করতে পারলেন না আইসিসি র্য্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব। অষ্টম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ১১৩ রানের সম্বল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার উইকেট। সেটিই পাচ্ছে তারা। বাংলাদেশের দরকার জুটি। আপাতত সেটির দেখা নেই সেভাবে।
হৃদয়ের ছক্কা
এখনকার ক্রিকেটারদের মধ্যে মার্কো ইয়ানসেনের চেয়ে উচ্চতা কার বেশি, সেটি তর্কসাপেক্ষ। তবে তিনিও নাগাল পাননি তাওহিদ হৃদয়ের শটের। কেশব মহারাজকে টেনে সাইটস্ক্রিন বরাবর মেরেছেন হৃদয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কম রানের লক্ষ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি বলতে গেলে খেলেছিলেন তিনিই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও নেমেছেন দল যখন নড়বড়ে অবস্থায়। ৯ ওভারে ৪৯/৩।
নাজমুলও গেলেন
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ওভারটি ছিল দশম। রিশাদের সে ওভারে এসেছিল ১৪ রান। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হলো বিপরীত। নর্কিয়ার আরেকটি শর্ট বলে ধরা পড়লেন আরেকজন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। এবার অধিনায়ক নাজমুল নিজে। তিনিও খাড়া ওপরে তুলেছেন ক্যাচ। আবার ধরেছেন মার্করাম। ১০ ওভারে ৫০/৪। এ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ৫৭/৪।
মাহমুদউল্লাহর চার
বড় আউটসাইড-এজে মাহমুদউল্লাহর চার। এরপর ডাবলস। সব মিলিয়ে বার্টম্যানের করা ১১তম ওভারে এসেছে ৭ রান। স্কোর ৫৭/৪।
বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ
অন্য কোনো ফিল্ডার হলে হয়তো নাগালই পেতেন না। কিন্তু ইয়ানসেনের ক্ষেত্রে এটিই গণ্য হবে সুযোগ হাতছাড়া হিসেবে। যাই হোক, মাহমুদউল্লাহ বেঁচে গেছেন। নর্কিয়ার শর্ট বলে ব্যাট চালানো ছাড়া কিছু যেন করারও ছিল না তাঁর। নর্কিয়ার করা ১২তম ওভারেও এসেছে ৭ রান। মানে শেষ ২ ওভারে এল ১৪ রান। বাংলাদেশকে নিশ্চিতভাবেই সহায়তা করবে যা। স্কোর ৬৪/৪।
হৃদয়ের ছক্কা
কেশব মহারাজকে স্লগ সুইপে মারা হৃদয়ের ছক্কা এ ওভারের হাইলাইটস। ঠিক হাসারাঙ্গাকে মারা ৩ ছক্কা নয়, তবে এ ছক্কার গুরুত্বও কম নয়। হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর জুটি ম্যাচ আবার নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। ৩৬ বলে দরকার ৩৯ রান।
পুরোনো ভূমিকায় হৃদয়
এ উইকেটে ওভারপিচড করলে শাস্তি পেতে হবে বোলারকে। আর এমন ডেলিভারি মিস করলে আক্ষেপ করতে হবে ব্যাটসম্যানকে। ব্যাপারটি এমন। ইয়ানসেনের এমন বলে পাঞ্চ করে হৃদয় মেরেছেন তাঁর প্রথম চার। এর আগের বাউন্ডারি দুটি ছিল ছক্কা। ১৫তম ওভারে এসেছে ৮ রান। ৩০ বলে দরকার ৩১ রান।
নর্কিয়ার শেষ
সেটি নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। শেষ ওভারে প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার দিয়েছেন ৪ রান, ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান। সাকিব-নাজমুল তাঁর শিকার। ২৪ বলে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭ রান।
মাহমুদউল্লাহর সফল রিভিউ
বার্টম্যানের ফুললেংথের বল খেলতে গিয়েছিলেন অনেকটাই আড়াআড়ি ভাবে। আম্পায়ার এলবিডব্লুও দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহকে। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন তিনি। তবে লেগবাইয়ে যে চার হয়েছিল, সেটি আর পাবে না বাংলাদেশ। আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন বলে সেটি গণ্য হবে ডেড বল হিসেবে। তবে হৃদয় সে সব কিছু ভাবার মতো অবস্থায় নেই। স্লটে পেয়ে দারুণ কাভার ড্রাইভে মেরেছেন চার। মাহমুদউল্লাহ পরে অবশ্য জায়গামতো পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ১৮ বলে দরকার ২০ রান।
আম্পায়ার্স কলে থামলেন হৃদয়
আবেদন জোরাল ছিল না। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ দেন এলবিডব্লু। বোলার কাগিসো রাবাদা, ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। এবার হয়েছে আম্পায়ার্স কল। লেগ স্টাম্পের চূড়ায় শুধু ছুঁয়ে যেত রাবাদার বলটি। ৩৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরলেন হৃদয়। শেষে এসে আবার একটু চাপ বাড়ল বাংলাদেশের।
১৮তম ওভারে ২ রান
প্রথম বলে উইকেটের পর টানা তিনটি ডট। নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলীকে চাপে রেখেছিলেন রাবাদা। ওভারের পঞ্চম বলে গিয়ে এসেছে প্রথম রান। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১২ বলে দরকার ১৮ রান। যে কারও ম্যাচ নাকি বাংলাদেশই ফেবারিট নাকি উল্টোটা?
বাকি এক ওভার, ১১ রান….
ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মিস। এরপর লেগ সাইডে খেলে ডাবলস চুরি করতে চাইলেও এক রানের বেশি নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। জাকের অবশ্য তৃতীয় বলে নিতে পেরেছেন দুই। চতুর্থ বল গেছে মিডউইকেটে, তাতে এক রানের বেশি আসেনি। শর্ট ফাইন লেগ ওপরে ছিল, পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহ তাঁকে পার করাতে পারেননি। শেষ বলে জাকের নিয়েছেন ২ রান। তাতে ভেঙেও গেছে ব্যাট। বাংলাদেশের জয়ের জন্য ৬ বলে দরকার ১১ রান।
৪ রানে হারল বাংলাদেশ
শেষ ওভার। বোলার কেশব মহারাজ। লেগ সাইডে ওয়াইডে শুরু। পরের বলে সিঙ্গেল। এরপর ফুলটস পেয়ে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে মেরেছিলেন জাকের। চার পাননি। তবে ডাবলস নিতে যাওয়া মাহমুদউল্লাহকে রানআউটের সুযোগ হারান মহারাজ। তৃতীয় বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে গিয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন জাকের। রিশাদ স্লগ করতে গিয়ে মিস করেছেন, তাতে হয়েছে এলবিডব্লুর আবেদন। এবার ইলিংওর্থ আউট দেননি, দক্ষিণ আফ্রিকা নেয় রিভিউ। ইমপ্যাক্ট ছিল বাইরে। আম্পায়ার আউট দেননি বলে লেগবাইয়ে রানটি অবশ্য হয়েছে। ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান, স্ট্রাইকে মাহমুদউল্লাহ… ফুলটস ছিল, সেকেন্ডের জন্য বাংলাদেশ সমর্থকদের আশা দিয়েছিল মাহমুদউল্লাহর শট। একেবারে সীমানার ওপর সে ক্যাচ নিয়েছেন এইডেন মার্করাম। মাহমুদউল্লাহর মাথায় হাত, যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না কীভাবে এটি ক্যাচ হলো। এরপর শেষ বলে দরকার ৬ রান। স্ট্রাইকে তাসকিন, তিনিও পেয়েছিলেন ফুলটস। তবে সেটি কাজে লাগাতে পারেননি তিনিও। ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
গতকাল পাকিস্তান, আজ বাংলাদেশ
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল জেতা উচিত ছিল পাকিস্তানের। আজ বাংলাদেশের। তবে দুই দলের কেউই পারল না সেটি। গতকাল ভারত নিজেদের সর্বনিম্ন রান ডিফেন্ড করেছিল। আজ সেটি করল দক্ষিণ আফ্রিকা। গতকাল পাকিস্তান হেরেছিল সর্বনিম্ন লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়ে। আজ বাংলাদেশও সেটিই।
শেষ ওভারে কেশব মহারাজ যে ভালো বোলিং করেছেন, তা নয়। শেষ দুই বলও ছিল ফুলটস। কিন্তু দিনটি বাংলাদেশের নয়। মাহমুদউল্লাহ তাই পার করাতে পারেননি লং অনে থাকা মার্করামকে। তাসকিন বৃত্তই পার করাতে পারেননি বলতে গেলে।
ম্যাচসেরা ক্লাসেন
হতে পারতেন তানজিম হাসান। অথবা তাওহিদ হৃদয়। তবে দিনটি বাংলাদেশের নয়। নিউইয়র্কে ম্যাচসেরা হাইনরিখ ক্লাসেন। ৪৪ বলে ৪৬ রান করেছিলেন, মিলারের সঙ্গে জুটিতে তুলেছিলেন ৭৯ রান।
ভালো একটা স্কোর গড়েছি, তবে ১০ রান কম করেছি। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে এবং ১৫ ওভার পর্যন্ত ওয়ানডের মানসিকতা ছিল।
বলছেন নাজমুল
আমাদের ম্যাচটি জেতা উচিৎ ছিল।
তাঁর কথার সঙ্গে দ্বিমত হয়তো পোষণ করবেন না কেউ।
মার্করামের উপলব্ধি
২০তম ওভারের পঞ্চম বলটি যে কোনো জায়গায় যেতে পারত, আরও দুই মিটার যেতে পারত।
মাহমুদউল্লাহকে আম্পায়ার ভুল আউট না দিলে লেগবাইয়ে চার রান পেতে পারত বাংলাদেশ। হৃদয়কে দেওয়া সিদ্ধান্ত হতে পারত অন্যরকম। এরপর মাহমুদউল্লাহর ওই শট হতে পারত ছক্কা। তবে সে শট গেছে মার্করামের হাতে। ওই চার রান বাংলাদেশ পায়নি। হৃদয়ও আউট হয়েছেন অসময়ে। যে ম্যাচে দুই দলের ব্যবধান ৪ রান, তাতে এমন সূক্ষ্ম ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই গড়বে পার্থক্য। নিউইয়র্কে হয়েছে সেটিই।