বোল্টের ব্যাট ভাঙতে চান রাবাদা
নিজের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেওয়া কাগিসো রাবাদার জন্য কঠিন কিছু নয়। গতিময় বোলিংয়ে বিপক্ষ দলের ব্যাট ভাঙারও সুখস্মৃতি আছে দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলারের। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটারের এক লো ফুল টসে শিখর ধাওয়ানের ব্যাট ভেঙেছিলেন।
এবারের বিশ্বকাপেও রাবাদা গতির ঝড় তুলছেন। ৫ ম্যাচে ২১.৯০ গড়ে, ৫.৩৬ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। যদিও এখন পর্যন্ত কারও ব্যাট ভাঙেননি। তবে সেই ইচ্ছে আজই পূরণ করতে চান।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দুপুরে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে দুইয়ে, ৮ পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ড তিনে। আজ জিতলেই রাবাদাদের সেমিফাইনালে খেলা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর এ ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের একজনের ব্যাট ভাঙতে চান।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, রাবাদা আজ কার ব্যাট ভাঙতে চান? তাহলে নিশ্চয় নিউজিল্যান্ডের স্বীকৃত কোনো ব্যাটসম্যানের নামই বলবেন। কিন্তু রাবাদা যাঁর নাম বলেছেন, শোনার পর একটু অবাক লাগারই কথা। এত ব্যাটসম্যান থাকতেও কিউইদের ব্যাটিং লাইনআপের ১১ নম্বর ট্রেন্ট বোল্টের ব্যাট ভাঙার ‘হুমকি’ দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার।
আজ সকালে আইসিসি ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) নিজেদের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাবাদাকে ২০১৯ বিশ্বকাপে ধাওয়ানের ব্যাট ভাঙার মুহূর্তটা দেখাচ্ছেন এক উপস্থাপিকা। সেটা দেখে রাবাদা বলেছেন, ‘ওই স্মৃতি খুব সুন্দর ছিল।’ এরপর উপস্থাপিকা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, এবার কারও ব্যাট ভাঙতে চান কি না। জবাবে প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে আমি যদি কারও ব্যাট ভাঙতে চাই, সেটা অবশ্যই ট্রেন্ট বোল্টের।’
রাবাদা হুমকিটা যে আসলে মজার ছলেই দিয়েছেন, সেটা বোঝা গেল একটু পরেই। রাবাদার এ হুমকির কথা বোল্টকেও জানানো হয় এবং তাঁর হাতে হলোগ্রাফির মাধ্যমে তৈরি করা রাবাদার ভিডিও তুলে দেওয়া হয়। বোল্ট হুমকির কথা শুনে হাসতে হাসতে বলেন, ‘এটা ভালো লক্ষণ নয়। আমার মনে হয় না, এ ধরনের হুমকি দেওয়ার কোনো দরকার ছিল। এটা হিংসা ছাড়া আর কিছু নয়।’
হিংসাটা কী কারণে, রাবাদা নিজেই জানালেন, ‘ট্রেন্টের (বোল্টের) ও আমার একে-অপরের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। মনে আছে, আমি তোমার ব্যাট চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে দাওনি।’
এরপর বোল্ট বললেন, ‘হ্যাঁ, ও ঠিকই বলেছে। ওর ধারণা, আমার কাছে বেশ কিছু ভালো ব্যাট আছে। এর মধ্য থেকে ও একটা ব্যাট চেয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই যখন কোনো ১১ নম্বরের হাতে ব্যাট যায়, তখন কিছুটা হলেও উদ্বেগ কাজ করে। আর কেজির (কাগিসো রাবাদা) হাতে ব্যাট তুলে দেওয়া মানে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যাওয়া।’
বোল্টও রাবাদাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছেন, ‘ঠিক আছে, ও কী করতে পারে মাঠেই দেখা যাবে।’
এবারের বিশ্বকাপে দুবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়েছে বোল্টের। সেই দুই ম্যাচেই হেরেছে নিউজিল্যান্ড। ৩৪ বছর বয়সী তারকা মনে মনে নিশ্চয় চাইবেন, আজ যেন তাঁকে ব্যাটিংয়ে নামতে না হয়। আর যাই হোক, ব্যাটিংটা তো তাঁর আসল কাজ নয়।