সেঞ্চুরির সঙ্গে কফি বানানোর এক শ উপায়ও জানেন লাবুশেন
অস্ট্রেলিয়া দলে মার্নাস লাবুশেনের ‘কফিপ্রীতি’র কথা সবাই জানে। কফি নিয়ে তাঁর আগ্রহটা এমন পর্যায়ে যে তাঁকে দলের সবাই ‘হেড বারিস্তা’ বলে ডাকেন। ডাকটা এমনি এমনি প্রচলিত হয়নি। তিনি কফি তৈরির বিশেষ কোর্সও করেছেন। দলের খেলোয়াড়দের নানা স্বাদ, গন্ধ ও প্রকারের কফি বানিয়ে খাওয়ান লাবুশেন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের ভারত সফরেও লাবুশেনের এই কফিপ্রীতি জারি থাকবে। তিনি কিট ব্যাগে করে প্রচুর কফি বিনের প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছেন।
ইনস্টাগ্রামে কফি বিনের প্যাকেট ভর্তি কিট ব্যাগের ছবি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এখনকার অন্যতম সেরা এই টেস্ট ব্যাটসম্যান। ছবি দিয়ে তিনি ভক্তদের জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘বন্ধুরা ধারণা করুন তো ভারত সফরে আমি কয় প্যাকেট কফি নিয়ে যাচ্ছি!’
লাবুশেন নিজেই অনেকবারই বলেছেন, তিনি ক্রিকেটের মতোই কফিতে বুঁদ। তিনি কফি পান করতে যেমন ভালোবাসেন, ঠিক তেমনি নানাভাবে, নানা স্বাদে কফি বানিয়ে অন্যকে খাওয়াতে পছন্দ করেন। কফির প্রতি তাঁর ভালোবাসা জন্মেছিল ২১ বছর বয়সে, ‘সেই ২১ বছর বয়সের জন্মদিনে আমি একটা কফি বানানোর যন্ত্র উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম। কফির প্রতি আমার ভালোবাসার জন্ম সেদিন থেকে। এরপর, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে এই বিষয়টা নিয়ে অনেক গভীরে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করেছি।’
আগেই বলা হয়েছে, কফি তৈরি করার বিষয়ে বিশেষ কোর্স করেছেন লাবুশেন, ‘আমি কফি তৈরির বিভিন্ন উপায় নিয়ে কোর্স করেছি। এরপর আমি কফি তৈরির শতাধিক উপায় নিজে নিজেই বের করেছি। কফির বিভিন্ন বিন দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে কীভাবে সুস্বাদু কফি তৈরি করা যায়, সেটি আমি জানি।’
শুধু কফি বানানোর কোর্স করেই বসে থাকেননি লাবুশেন, তিনি নিজের একটি ব্র্যান্ডের কফিও বাজারে ছেড়েছেন। ‘দ্য রান ক্লাব কফি’ নামে লাবুশেনের কফি ব্র্যান্ড ২০২২ সালে বাজারে আসে।
২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান লাবুশেন অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম আমুদে ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত। সাবেক কোচ ড্যারেন লেম্যান তাঁর কফিপ্রীতির কথা বলেছিলেন কিছুদিন আগে, ‘লাবুশেন দিনে ২০–২৫ কাপ কফি খায়।’
লাবুশেন কফির পাশাপাশি সম্প্রতি টোস্টেড স্যান্ডউইচের প্রতি নিজের ভালোবাসাও ব্যাপকহারে প্রকাশ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল নিয়ে আমাজনের তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় সিজনে লাবুশেনের এই টোস্টেড স্যান্ডউইচের প্রতি ভালোবাসা উঠে এসেছে। আমাজনের তথ্যচিত্রে স্যান্ডউইচ তৈরিতেও লাবুশেনের দক্ষতা দেখতে পেয়েছেন দর্শকেরা।