আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচও যে কারণে জিততে চাইবে পাকিস্তান
ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বশেষ দুবারই প্রথম পর্বটা হয়েছে লিগ পদ্ধতিতে। ১০ দলের বিশ্বকাপে যেহেতু চারটি দল ওঠে সেমিফাইনালে, তাই আগেভাগেই বাদ পড়া কয়েকটি দলের জন্য শেষ কয়েকটি ম্যাচ নিছকই আনুষ্ঠানিকতার হয়ে যায়। সেই দুই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আগে বাদ পড়লেও কোনো ম্যাচই আনুষ্ঠানিকতার হয়ে যায়নি পাকিস্তানের জন্য। কিন্তু এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ম্যাচের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচটা পাকিস্তানের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের লডারহিলে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের জন্যও আজকের ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতা রক্ষারই। আইরিশরাও যে বাদ পড়ে গেছে শেষ ম্যাচের আগেই। তবে ‘এ’ গ্রুপের সেই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার ম্যাচটিও মাঠে গড়াতে পারে কি না সন্দেহ! বৃষ্টিতে এই মাঠের প্রথম দুই ম্যাচে একটি বলও হতে পারেনি।
আনুষ্ঠানিকতা হলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হলে আইসিসির টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এই ম্যাচের প্রভাব পড়তে পারে। সুপার এইটে সুযোগ পেলে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে দুদলের। তবে এখনো দুদলেরই র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ম্যাচটি জিতে রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তাদের।
ভাগ্য হাতে নেই ডাচদের
বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলা নেদারল্যান্ডসের সম্ভাবনা আছে সুপার এইটে ওঠার। তবে ভাগ্য নিজেদের হাতে নেই ডাচদের। আগামীকাল ডাচ-লঙ্কা ম্যাচ শুরুর এক ঘণ্টা আগে মাঠে নামা বাংলাদেশ নেপালকে হারালেই ‘ডি’ গ্রুপ থেকে উঠে যাবে সুপার এইটে। তখন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েও লাভ নেই প্রথম তিন ম্যাচে একটি জয় পাওয়া ডাচদের।
নেপালের কাছে বাংলাদেশ অঘটনের শিকার হলে লঙ্কানদের হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে নেদারল্যান্ডসের। ডাচদের সেই সমীকরণ মিলতে অবশ্য বাংলাদেশকে বাজেভাবেই হারতে হবে।
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটি অবশ্য একটু সান্ত্বনা নিয়ে দেশে ফেরার উপলক্ষ। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর লডারহিলে শ্রীলঙ্কাকে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামতে দেয়নি বৃষ্টি। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা তাই কোনো ম্যাচ না জিতেই দেশে ফেরার শঙ্কায় আছে। শ্রীলঙ্কা প্রথম আটটি বিশ্বকাপের সাতটিতেই কমপক্ষে ৩টি করে ম্যাচ জিতেছে। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপ ধরে রাখতে গিয়ে সবচেয়ে বাজে ফল করেছিল দলটি, ভারতে চারটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতেই জিতেছিল তারা। সেই ‘রেকর্ড’ এবার ভেঙে যায় কি না, কে জানে!
ডাচ-লঙ্কা টি-টোয়েন্টি ইতিহাস অবশ্য হাসারাঙ্গাদের পক্ষেই কথা বলছে। এ পর্যন্ত তিনবার খেলে তিনবারই জিতেছে শ্রীলঙ্কা।