পাকিস্তানের ফিটনেস–সংস্কৃতি ধ্বংসে বাবর, আর্থার ও ব্র্যাডবার্নকে দুষলেন হাফিজ
বিশ্বকাপের পর মোহাম্মদ হাফিজকে পাকিস্তান ক্রিকেটের পরিচালক ও অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই মাস যেতে না যেতেই হাফিজকে ধন্যবাদ জানিয়ে দুই পদ থেকেই সরিয়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ছাঁটাই হওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করে হাফিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি দায়িত্বে থাকাকালে যেসব কারণে দলের পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে, তা শিগগিরই প্রকাশ করবেন। এ জন্য পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে নিয়মিত নজর রাখতেও বলেছিলেন।
পাকিস্তান দলের সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন হাফিজ। তবে এবার এক্সে নয়, পাকিস্তানের ক্রীড়াভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এ স্পোর্টস–এ তাঁর দাবিটা বিস্ফোরক।
চ্যানেলটির ক্রিকেট শো দ্য প্যাভিলিয়ন–এ হাফিজ পাকিস্তান দলের ফিটনেস–সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য সরাসরি দোষারোপ করেন সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম, সাবেক প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন ও সাবেক টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারকে।
হাফিজ বলেন, ‘আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় গেলাম (গত ডিসেম্বরে), খেলোয়াড়দের বললাম নিজেদের ফিটনেসের যত্ন নিতে। আমি প্রশিক্ষকের কাছেও খেলোয়াড়দের ফিটনেস সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি আমাকে একটি বিস্ময়কর কথা শোনালেন। জানালেন, ছয় মাস আগে ক্রিকেট পরিচালক (মিকি আর্থার), প্রধান কোচ (গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন) ও অধিনায়ক (বাবর আজম) তাঁকে বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের ফিটনেসকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখার দরকার নেই। (সে সময়) ফিটনেস পরীক্ষা বন্ধ করতেও বলা হয়েছিল এবং তাঁরা যেভাবে চান, সেভাবে খেলতে দিতে বলেছিলেন।’
৪৩ বছর বয়সী হাফিজ আরও বলেন, ‘(অস্ট্রেলিয়া সফরে) যখন খেলোয়াড়দের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তখন তাদের সবার ত্বকের ভাঁজ স্বাভাবিক সীমার চেয়ে দেড় থেকে পৌনে দুই গুণ বেশি ছিল। তারা খেলার অযোগ্য ছিল এবং স্ট্যামিনা পরীক্ষার জন্য যখন তাদের ট্রায়াল দিতে বলা হতো, কেউ কেউ ২ কিলোমিটারও দৌড়াতে পারেনি। ৬ মাস আগে নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত ফিটনেসের জন্য নির্ধারিত সব মানদণ্ডকে ধ্বংস করেছিল। ফিটনেস যদি এমন হয়, তাহলে আপনি পরাজয়ের মুখোমুখি হবেনই।’
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ৩ অধিনায়ক—ওয়াসিম আকরাম, মিসবাহ–উল–হক ও আজহার আলী। তাঁরা হাফিজের কথা শুনে হতবাক হয়ে যান।
বিশ্বকাপ–ব্যর্থতার পর হাফিজের অধীনে দুটি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে, নিউজিল্যান্ড সফরে টি–টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ৪–১ ব্যবধানে।