ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
এবার তামিম সেঞ্চুরি পাননি, জিতেছে মোহামেডান, আবাহনী ও গাজী
পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থেকে মোহামেডানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মোহামেডানের কাছে হেরে তারা নেমে গেছে চারে। আজ দিনের অন্য দুই ম্যাচে জয় পাওয়া আবাহনী ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স আছে এক ও দুই নম্বরে।
মোহামেডানের টানা চতুর্থ জয়
দলবদলের পরই ফেবারিটের তকমা জুটেছিল মোহামেডানের। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তারা হেরে যায় নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কাছে। এরপর অবশ্য নিজেদের ফিরে পেয়ে টানা চার ম্যাচ জিতেছে মোহামেডান। সর্বশেষ আজ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ম্যাচ খেলতে নামা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৯৪ রানে হারিয়েছে তারা। মিরপুরে মোহামেডান করেছিল ৯ উইকেটে ২৫৩ রান। রান তাড়ায় লিজেন্ডস অলআউট ১৫৯ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় মোহামেডান। আগের দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল আজ ফিরেছেন ২৫ বলে ২৮ রান করে। আরেক ওপেনার রনি তালুকদার করেন ৩৯ বলে ৩৬ রান। তিন ও চারে নামা মাহিদুল ইসলাম ও তাওহিদ হৃদয়ও রান পেয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
৬৭ বলে ৪২ রান করে মাহিদুল আউট হলেও হৃদয় (৭৬ বলে ৬৬ রান) ফিরেছেন ফিফটি করে শরীফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে। পরের দিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মোহামেডানের রান কোনোরকমে ২৫০ পেরোয়। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট লিজেন্ডসের পেসার শরীফুল।
রান তাড়ায় নেমে ৫৭ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে লিজেন্ডস। এরপর দলটির হয়ে কিছুক্ষণ লড়েন জাকের আলী ও মেহেদী হাসান। তারাও অবশ্য খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। তাদের ৫৮ রানের জুটি ভেঙে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর বলে আরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান জাকের আলী।
৪৯ বলে ৪৩ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান মেহেদীও। এরপর রূপগঞ্জের অলআউট হওয়া ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। ৩৭.২ ওভারে ১৫৯ রান করে অলআউট হয় তারা। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মিরাজ।
আবাহনীরও বড় জয়
প্রায় সাত বছর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি নেই মুমিনুল হকের। এবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৯২ রানে আউট হয়েছেন মুমিনুল। অবশ্য ৩১০ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে তাঁর দল আবাহনী ৮০ রানে জয় পেয়েছে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী। এরপর ১৪৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন ও মুমিনুল। ৭৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯২ রান করে আউট হন মুমিনুল। ৮৬ বলে ৭১ রান আসে মিঠুনের ব্যাট থেকে।
রান তাড়ায় নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ব্রাদার্স। পুরো ৫০ ওভার খেলেও ৭ উইকেটে ২৩০ রানে থামে দলটি। ৭৮ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন অধিনায়ক মাইশুকুর রহমান। ২টি উইকেট করে নেন আবাহনীর মোসাদ্দেক ও মেহরব হোসেন।
গাজী গ্রুপেরও চতুর্থ জয়
৪২২ রানের রেকর্ড সংগ্রহের পর টানা দুই ম্যাচ হারল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আজ বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৯৪ রানে হেরেছে তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ অলআউট ১৮৩ রানে। রান তাড়ায় প্রাইম ব্যাংক ২৩.২ ওভারেই অলআউট ৮৯ রানে।
গাজী গ্রুপের হয়ে ৪৪ বল খেলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন এনামুল হক। ৭১ বলে ৩৫ রান আসে আমিনুল ইসলামের ব্যাট থেকে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম ও আরাফাত সানি। ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও রিশাদ হোসেন।
রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই খেই হারায় প্রাইম ব্যাংক। দলটির কোনো ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি। ২২ বলে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন রিশাদ হোসেন। ২৭ বলে ১৫ রান আসে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে। গাজী গ্রুপের আবু হাশিম ৩ উইকেট নেন।