সর্বশেষ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের কথা। বাংলাদেশ নারী দলকে হারিয়ে চমকের জন্ম দেয় থাইল্যান্ড নারী দল। কয় দিন আগে শেষ হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সেই থাইল্যান্ডের মেয়েদেরকেই হারায় নিগার সুলতানার দল।
রোমাঞ্চকর ম্যাচটি জিততে জিততে হেরে গিয়েছিল থাই মেয়েরা। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয় থাইল্যান্ডের।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের এসব গল্পের কারণে আজ নারী এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল। কিন্তু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে বাংলাদেশের ৯ উইকেটের দাপুটে জয়ের পর ছবিটা পাল্টে গেছে।
দুই দলের মধ্যে তুলনাটা যে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানার পছন্দ হচ্ছে না, সেটি বোঝা গেল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। তাঁর স্পষ্ট যুক্তি, ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের দাপট দেখিয়েই জেতা উচিত।’
ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৮২ রানে অলআউট হয় থাইল্যান্ড। এই লক্ষ্য ১২তম ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। উদ্বোধনী ম্যাচে এমন দাপুটে জয়ে বাংলাদেশ যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিল, এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারাই।
নিগার বলছিলেন, ‘একটা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুরো টুর্নামেন্টে আপনি কি করতে যাচ্ছেন, সেটা প্রথম ম্যাচেই বোঝা যায়। দলও আত্মবিশ্বাস অনুভব করে।’
বাংলাদেশের আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে মনেও হয়নি যে দল ৮২ রান তাড়া করছে। শামিমা সুলতানার আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ বুঝি ২০০ রানের পেছনে ছুটছে!
বাংলাদেশের এমন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণটা বোঝা গেল নিগারের কথায়, ‘ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে ব্যবহার করার পরিকল্পনাটা সব সময়ই থাকে। শামীমা আপু অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। পাশাপাশি পিংকি খুব ভালো সাপোর্ট দিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু এটাই চাই। বিষয়টা হচ্ছে আমরা যদি আগে ব্যাট করতাম, তাহলেও কিন্তু আমাদের এই ধাঁচেই ব্যাট করতে হতো। যখন আমরা ১০ ওভারে আশির কাছাকাছি রান করতে পারব, তখন বাকি ১০ ওভারে আমরা আরও ভালো সংগ্রহ পেতে পারি। পরের খেলাতে এটা আমাদের কাজে লাগবে।’
তবে বাংলাদেশের জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছে স্পিনাররা। নিগারের কথায় রুমানা-সালমাদের প্রশংসাও ঝরল, ‘বোলাররা কিন্তু সব সময় ভালো করে। এটা আমাদের শক্তির জায়গা। ব্যাটাররাও পাশাপাশি খুব ভালো করছে দলের জন্য। আমরা তাদের এক শর নিচে রাখতে চেয়েছিলাম। আমরা পাওয়ারপ্লেতে কোনো বাউন্ডারিই মারতে দেইনি তাদের। সেদিক থেকে বোলাররা দারুণ করেছে বলতেই হয়।’