ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নগুলো স্বাভাবিকভাবেই হবে ম্যাচকেন্দ্রিক। আজ চট্টগ্রাম টেস্টপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও ম্যাচের খুঁটিনাটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু ধনাঞ্জয়া প্রশ্নের উত্তরগুলো এখনই দিতে চাইলেন না। ম্যাচ শেষ হওয়ার জন্য জমিয়ে রাখলেন। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ দল প্রসঙ্গে প্রায় সব প্রশ্নই এড়িয়ে গেলেন ধনাঞ্জয়া।
বাংলাদেশ দলে ফেরা সাকিব আল হাসান চট্টগ্রাম টেস্টে কেমন ভূমিকা রাখতে পারেন, এ প্রশ্নের উত্তরে ধনাঞ্জয়া বলেন, ‘এটা তো আমি এখন বলতে পারব না। ম্যাচের পরে বলতে পারব। ম্যাচের আগে পারব না।’ সাকিব ফেরায় বাংলাদেশ দলের স্পিন আক্রমণের শক্তিবৃদ্ধি নিয়েও ধনাঞ্জয়া একই উত্তর দিয়েছেন, ‘আগেই বললাম, ম্যাচের আগে বলতে পারব না।’
সাকিবকে নিয়ে লঙ্কানদের পরিকল্পনা জানতে চাইলে ধনাঞ্জয়া ছোট্ট করে বলেন, ‘আমি এখন বলতে পারব না (হাসি)।’ এরপর ধনাঞ্জয়ার কাছে সাকিবের ব্যাপারে কোনো প্রশ্নেরই উত্তর না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। ধনাঞ্জয়া উত্তরে বলেন, ‘আমার কী বলা উচিত? সে তো আমার দলের খেলোয়াড় নয়। আপনার বাংলাদেশ দলের অধিনায়ককে জিজ্ঞাসা করা উচিত (হাসি)।’
ধনাঞ্জয়া কাটা কাটা উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশ দল নিয়েও। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দল কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে, এমন এক প্রশ্নে ধনাঞ্জয়া বলেছেন, ‘ওরা যদি আক্রমণাত্মক হয়, আমরাও আক্রমণাত্মক হব। যদি শান্ত থাকে, তাহলে আমরাও শান্ত থাকব।’
এ তো গেল খেলার ধরনের কথা। যে উইকেটে খেলা হবে, সেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সেই উইকেট কেমন দেখলেন লঙ্কান অধিনায়ক? চট্টগ্রাম স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটিং–স্বর্গ। ধনাঞ্জয়া জানালেন, এবারও ব্যতিক্রম কিছু নয়, ‘উইকেট আমার কাছে ভালো লেগেছে। এখানে ব্যাটসম্যানরা সাহায্য পাবে।’ পরে অন্য প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘পরে যত সময় গড়াবে, তখন হয়তো স্পিন ধরবে।’
এ ধরনের উইকেটে শ্রীলঙ্কা দল কয়জন পেসার নিয়ে দল সাজাবে, তা নিয়ে আছে কৌতূহল। কাসুন রাজিতার চোটে সুযোগ পাওয়া আসিতা ফার্নান্ডো একাদশে থাকবেন তো? ধনাঞ্জয়া সরাসরি না বললেও দলের সমন্বয় নিয়ে একটা আভাস দিয়েছেন, ‘আমরা যদি তিন পেসার নিয়ে খেলি, তাহলে আসিতা নিশ্চয়ই খেলবে।’ ভালো উইকেটে নিজ দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছেও বড় রানের দাবি রেখে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক, ‘ওদের একটা ম্যাচই খারাপ গেছে। আমি নিশ্চিত ওরা ঘুরে দাঁড়াবে।’