- স্বাগতম!
- টস
- বাংলাদেশ দল
- ভারতের দলে পাঁচ পরিবর্তন
- ৩.১ ওভারের মধ্যে নেই দুই ওপেনার
- নিস্প্রভ লিটন
- এনামুলকে দিয়ে টপ অর্ডার শেষ
- এবার পাঁচে মিরাজ
- শার্দূলের ওভারে মিরাজের দুই জীবন
- বদলি ফিল্ডার কোহলি
- মিরাজকে ‘মুক্তি’ দিলেন অক্ষর ও রোহিত
- বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এভাবে ভাবছে না কেন?
- এবার জীবন পেলেন সাকিব
- তিলকের ওভারে হৃদয়ের বুম, বুম
- আরেকটি ক্যাচের সুযোগ
- সাকিবের ফিফটি, অক্ষরের ওভারে ১৬
- ড্রিংকস মাঠে নেওয়া: কোহলি সংস্করণ
- ৩০ ওভার শেষে…
- সাকিব-হৃদয়ের আক্রমণ
- ১০০ রানের জুটি সাকিব ও হৃদয়ের
- ৮০ রানে বোল্ড সাকিব
- শামীম এলবিডব্লিউ
- মেহেদীর আগে নাসুম
- দ্য ‘লর্ড’ ও তাঁর শিকার
- হৃদয়ের ফিফটি
- শামির বলে হৃদয় আউট
- বাংলাদেশের ২০০
- শেষে এসে নাসুম ও মেহেদীর প্রতিরোধ
- ৪৪ রানে বোল্ড নাসুম
- বাংলাদেশ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিটি এ দুজনের
- বাংলাদেশ তুলল ২৬৫ রান
- রোহিত শর্মা (০) ক এনামুল ব তানজিম
- আশাজাগানিয়া প্রথম ওভার মোস্তাফিজের
- তানজিমের শিকার রোহিতের পর তিলক
- ভারতের মিডল অর্ডারের পরীক্ষা
- রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
- ১০ ওভারে ৪২/২
- তানজিমের টানা ৬
- সেঞ্চুরিয়নে ক্লাসেন-ঝড়
- ফিফটি জুটি
- রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মেহেদী
- গিলের ফিফটি
- মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ কিষান
- দ্বিতীয় রিভিউও হারাল বাংলাদেশ
- গিল ও সূর্যকুমারের জুটি
- সূর্যকুমারকে বোল্ড করলেন সাকিব
- জিততে পারবে বাংলাদেশ?
- গিল বনাম বাংলাদেশ?
- মোস্তাফিজে বোল্ড জাদেজা
- গিলের সেঞ্চুরি
- ৬০ বলে ৭৮
- সুযোগ
- ৪০-এর পরে স্পিন
- গিলকে থামালেন মেহেদী
- স্টাম্পিং মিস করলেন লিটন
- শেষ হাসি কার?
- মোস্তাফিজের ৪৭তম ওভার
- মেহেদীর ওভারে ১৪
- ৪ বলে মোস্তাফিজের ২ উইকেট, ৬ বলে দরকার ১২
- ৬ রানে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ
- বলছেন তানজিম
- ম্যাচসেরাও সাকিব
- বলছেন রোহিত
- সান্ত্বনা, সান্ত্বনা
স্বাগতম!
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। সুপার ফোরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
ভারত নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে উঠেছে ফাইনালে। ভারতের হয়ে আজ ওয়ানডে অভিষেক হবে তিলক ভার্মার।
টস
টস হেরে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ দল
একাদশ:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, এনামুল হক, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান।
বাংলাদেশের হয়ে আজ আন্তর্জাতিক অভিষেক হবে পেসার তানজিম হাসানের। গত বছর ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন এনামুলক হক। এই ভারতের বিপক্ষেই। ৯ মাস পর বাংলাদেশ দলে ফিরলেন এই ব্যাটসম্যান। ম্যাচের হিসাবে ২৮ ম্যাচ পর।
ভারতের দলে পাঁচ পরিবর্তন
টসের সময় দলে পাঁচটি পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ভারত দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, লোকেশ রাহুল, ইশান কিষান, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শার্দূল ঠাকুর, মোহাম্মদ শামি ও প্রসিধ কৃঞ্চা।
৩.১ ওভারের মধ্যে নেই দুই ওপেনার
প্রথম ওভারে তেমন কোনো মুভমেন্টের দেখা পাননি। পরের ওভারে দেখা গেল মোহাম্মদ শামির সিম মুভমেন্ট। তাতেই শেষ লিটন দাস। লেংথ থেকে সিমে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে লিটনকে মনে হয়েছে বিস্মিত। ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ইয়া বড় গ্যাপ, পা-ও নড়েনি সেভাবে। লিটন বোল্ড হয়েছেন। ওপেনিংয়ে ফিরে লিটন ফিরলেন শূন্যতেই। ২ বল খেলেছেন তিনি।
এর আগে শার্দূল ঠাকুরের পরপর দুই বলে দারুণ দুটি চেক শটে কাভার ও মিড অফের মাঝ দিয়ে দুটি চার মেরেছিলেন তানজিদ হাসান। অভিষেকে গোল্ডেন ডাকের দুঃস্মৃতি ভুলে শুরুটা ভালোই পেয়েছিলেন। কিন্তু শার্দূলের পরের ওভারে বোল্ড তিনিও। ক্রস সিম ডেলিভারি ছিল। যতটা ভেবেছিলেন, ততটা গতি ছিল না। পুল শটে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন তানজিদ।
৩.১ ওভার ইনিংসের মেয়াদ, নেই বাংলাদেশের দুই ওপেনার। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান।
নিস্প্রভ লিটন
এশিয়া কাপের শুরু থেকে দলের সঙ্গে ছিলেন না অসুস্থতার কারণে। সুপার ফোরে দলের সঙ্গে যোগ দেন লিটন, তাঁকে জায়গা করে দেয় নাজমুল হোসেনের চোট। তামিম ইকবালের পর লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে ওপেনিং নিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাকআপ হিসেবে এনামুল হককে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে খেলানো হয়নি। পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকেও।
লিটন দলে ফেরার পরও দুই ম্যাচ খেলেন তিন নম্বরে। ভালো শুরু পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। আজ অবশ্য নিজের পরিচিত ওপেনিংয়ে ফিরে শুরুটাই পেলেন না। ব্যাটিংয়ে এশিয়া কাপ লিটনের জন্য হয়ে থাকছে হতাশারই।
আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে—এ তিন দল বাদ দিলে লিটনের সর্বশেষ ওয়ানডে ফিফটিটি গত বছরের জুলাইয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
এনামুলকে দিয়ে টপ অর্ডার শেষ
প্রথম ৮ বলে ০।
নবম বলে পুল করে চার।
দশম বলে ডট।
১১তম বলে আবার শর্ট, এবার পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে ক্যাচ তুলে উইকেটকিপারের হাতে ধরা।
এনামুল হকের ফেরার গল্প এমনই। শার্দূল ঠাকুরের শর্ট বলের ফাঁদে সহজেই পা দিয়ে ফিরে গেলেন তিনে আসা এনামুল। কলম্বোয় বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে দীর্ঘ (সময়ের হিসাবে সেটি নাও হতে পারে অবশ্য) এক দিন!
এর আগে শার্দূল ও শামিকে দুটি চার মেরেছেন সাকিব। তবে খেলেছেন শরীর থেকে দূরে।
৬ ওভারশেষে বাংলাদেশ ২৯/৩।
এবার পাঁচে মিরাজ
মিরাজকে তাঁর নিয়মিত পজিশনে খেলানো হবেই না—বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট যেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন। অথবা তাঁকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মায়াটা ছাড়তে পারছে না তারা। আগের তিন ম্যাচে ওপেনিংয়ের পর এবার এ অলরাউন্ডারকে পাঠানো হয়েছে ৫ নম্বরে। কেন পাঠানো হয়েছে, সেটি অবশ্য প্রশ্ন। আজ অফিশিয়াল যে টিম শিট, সেখানে মিরাজ ছিলেন ৭ নম্বরেই।
ক্রিজে বাঁহাতি সাকিব আছেন। তাঁর সঙ্গে যদি একজন ডানহাতি দরকার পড়ত, এ পজিশনে যাঁর আসার কথা সেই তাওহিদ হৃদয়ই ছিলেন।
প্রথম ৭ বলে মিরাজ করেছেন ১ রান। ৭.৩ ওভারে ৩১/০।
শার্দূলের ওভারে মিরাজের দুই জীবন
মিরাজকে তাঁর দুর্দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন শার্দূল। সেটি নিতে পারলেন না তিলক বর্মা। ফুললেংথ থেকে ফ্লিক করেছিলেন মিরাজ। সরাসরি ক্যাচ গিয়েছিল মিডউইকেটে থাকা অভিষিক্ত তিলকের কাছে। তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া হাতে পড়েছিল ক্যাচটি, তিলক রাখতে পারেননি সেটি।
এবং মিরাজের আরেকটি জীবন। একই ওভারে। এবার স্লিপে ক্যাচ ফেলেছেন সূর্যকুমার যাদব। অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে জোরের ওপর পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন মিরাজ। দ্বিতীয় স্লিপে থাকা সূর্যকুমার একটু ঝুঁকে ছিলেন। মাথার ওপরে হাত নিয়ে অবশ্য বলের নাগাল পেয়েছিলেন ভালোভাবেই। রাখতে পারেননি।
৩ ও ৫ রানে দুটি জীবন মিরাজের। প্রথম ১৭ বলে তাঁর স্কোর ৭ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারশেষে বাংলাদেশে ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে। উইকেটের সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই বাড়তে পারত আরও। সেটি তো বলাই হলো ওপরে।
বদলি ফিল্ডার কোহলি
একটু আগে পানির বোতল বয়ে নিচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। গায়ে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের ওই আবরণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দৃশ্যটা খুব একটা পরিচিত নয়। এবার কোহলি নেমেছেন বদলি ফিল্ডার হিসেবে। উঠে গেছেন শার্দূল ঠাকুর। প্রথম ৫ ওভারে ৩১ রান দিয়েছেন শার্দূল, নিয়েছেন ২ উইকেট। উইকেটের সংখ্যা বেশি হতে পারত স্বাভাবিকভাবেই, যদি ফিল্ডাররা সহায়তা করতেন।
এর মধ্যে প্রসিধ কৃষ্ণাকে ড্রাইভ করে মিড অফের পাশ দিয়ে চার মেরেছেন মিরাজ। সাকিবের সঙ্গে তাঁর জুটি ৩০ রানের, বাংলাদেশকে একটু টেনে তোলার চেষ্টা।
১৩ ওভারে ৫৮/৩।
মিরাজকে ‘মুক্তি’ দিলেন অক্ষর ও রোহিত
পাঁচে আসা মিরাজ স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। এর আগে এক ওভারে দুবার জীবন পেয়েছিলেন। তাঁকে মুক্তি দিলেন অক্ষর প্যাটেল, এবং অবশ্যই রোহিত শর্মা। নিজের প্রথম ওভারে এসেই উইকেটের দেখা পেলেন অক্ষর। মিরাজ বাঁহাতি এ স্পিনারের বলে খোঁচা দিয়েছেন, স্লিপে অধিনায়ক রোহিত নিজে ভুল করেননি এবার। বরং ডানদিকে ঝুঁকে বেশ ভালো ক্যাচই নিয়েছেন তিনি। ২৮ বলে ১৩ রান করে থেমেছেন মিরাজ। ৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এভাবে ভাবছে না কেন?
এ ম্যাচের আগে প্রথম আলোতে লেখা কলামে সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন জানিয়েছিলেন তাঁর চাওয়ার কথা।
‘নাজমুল যখন চোটে পড়েন, তখন ধারণা করেছিলাম, সাকিব নিজেই তিনে এসে হাল ধরবেন। কিন্তু যেকোনো কারণেই তিনি তা করেননি। আজ অধিনায়কের কাছে এই পরিবর্তনটা দেখতে চাইব। তাওহিদ হৃদয়কে চারে দেখতে চাইব। যেহেতু লোয়ার অর্ডারে মুশফিক নেই, পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বর পজিশন আফিফ, শামীম ও মিরাজরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন। তাহলে এই ক্রিকেটাররা নিজেদের আরও একবার প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। এক ধাপ ওপরে খেলতে পারলে ব্যাটিংয়ের যথেষ্ট সময়ও পাবেন। যা এই ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করবে।
‘এনামুল হকের নামটাও এখানে চলে আসবে। তবে তিনি দলের ১৮তম ক্রিকেটার, এটা মাথায় রাখতে হবে। যদি তিনি বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ ভাবনায় না থাকেন, তাহলে এনামুলকে এই মুহূর্তে না খেলানোই শ্রেয়।’
তবে টিম ম্যানেজমেন্ট এভাবে যে ভাবেনি, সেটি এখন জানা কথাই। কিন্তু কেন বাংলাদেশ দল এভাবে ভাবছে না, বা অন্যভাবে ভাবছে—প্রশ্ন সেটিই।
এবার জীবন পেলেন সাকিব
এবার পড়ল সাকিব আল হাসানের ক্যাচ। ২৮ রানে ব্যাটিং করছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভারতের আজকের ফিল্ডিংয়ে যে অবস্থা, তাতে এটি যেন বিস্মিত হওয়ার মতো ঘটনা নয়। তবে সাকিব জীবন পেয়েছেন তিলক বর্মার বোলিংয়ে। হ্যাঁ, বোলিংয়ে এসেছেন অভিষিক্ত তিলক। এর আগে ৭ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১২ বল করেছেন তিনি। ২৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করেছিলেন ২৩০ বল।
সেই তিনিই সাকিবকে বাধ্য করেছিলেন খোঁচা দিতে। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল ছিল সেটি। তবে লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে জায়গা হয়নি সে বলের। ভারত উইকেটকিপারের বুকে গিয়ে আঘাত করার পর মাটিতে পড়েছে সেটি।
পরের ওভার সাকিব অক্ষর প্যাটেলকে সুইপ করে চার মেরেছেন। তাতে অবশ্য সহায়তা করেছেন ডিপ মিডউইকেটে থাকা সূর্যকুমার।
২০ ওভার শেষ বাংলাদেশ ইনিংসে। ৭৮ রানে ৪ উইকেট, স্কোর এমন। কলম্বোয় বাংলাদেশের ইনিংস কোনদিকে এগোচ্ছে, সেটি ধারণা করে নিতে পারেন আপনি। অবশ্য এখনো একটা বড় জুটি বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরাতে পারে। সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিং করছেন তাওহিদ হৃদয়।
তিলকের ওভারে হৃদয়ের বুম, বুম
তিলক বর্মাকে দিয়ে চতুর্থ ওভার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তবে পঞ্চম ওভারে হয়ত আর তাঁকে আনবেন না রোহিত। সেটির কারণ হতে পারেন তাওহিদ হৃদয়ের। তিলকের চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে দুটি ছক্কা মেরেছেন হৃদয়। প্রথমটি ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অনের ওপর দিয়ে। পরের বলেও উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এলেও তাতে রান পাননি হৃদয়। কিন্তু এর পরের বলে আবার সামনে এসে ছক্কা মেরেছেন হৃদয়। শেষটি এসেছে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে। প্রথম ২৬ বলে হৃদয় করেছিলেন ৮ রান। এখন ৩০ বলে ২১ রান তাঁর।
বাংলাদেশ ২৩ ওভারে ৯৭/৪।
আরেকটি ক্যাচের সুযোগ
তিলকের ওপর চড়াও হওয়ার পর অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন হৃদয়। কিন্তু সেখানে থাকা রোহিত আগেই নিজের ডানদিকে সরে গিয়েছিলেন একটু। বল গেছে তাঁর বাঁ দিক দিয়ে। হাত বাড়িয়েও নাগাল পাননি সেটির। শুরুতে অবস্থান না বদলালে ক্যাচটি পেতে পারতেন।
অনুমিতভাবেই তিলককে সরিয়ে রোহিত ২৫তম ওভারে এনেছেন রবীন্দ্র জাদেজাকে। এলবিডব্লিউর আবেদন হয়েছিল সাকিবের বিপক্ষে। আম্পায়ার আউট দেননি। আলোচনার পর রিভিউ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বল ট্র্যাকিং পরে দেখিয়েছে, ইমপ্যাক্ট ও উইকেটে হতো আম্পায়ার্স কল। চতুর্থ বলে কাট করে চার মেরেছেন সাকিব। পরের বলে স্কুপ করে খেলা শটে নিয়েছেন ডাবলস। জাদেজার প্রথম ওভারে এসেছে ৭ রান। সাকিব পেরিয়েছেন ৪০। আগের ওভারেই ১০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের মাঝপথে বাংলাদেশের স্কোর ১০৮/৪।
সাকিবের ফিফটি, অক্ষরের ওভারে ১৬
ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে ওয়াইড লং ওনের ওপর দিয়ে ছক্কা। অক্ষর প্যাটেলের বলে মারা এ শটে ফিফটি হয়ে গেল সাকিবের। বাংলাদেশ অধিনায়কের লেগেছে ৬৫ বল। ১ বল পর মিডউইকেট দিয়ে সাকিব ছক্কা মেরেছেন আরেকটি। অক্ষরের ওভারে এসেছে ১৬ রান!
অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই বেশ চাপে থাকার কথা সাকিবের। সেখান থেকেই দারুণ একটি ইনিংস খেলছেন তিনি। তবে কাজ যে আরও বাকি, সেটি জানার কথা তাঁর।
হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানে।
ড্রিংকস মাঠে নেওয়া: কোহলি সংস্করণ
৩০ ওভার শেষে…
৪৪/৩, ১-১০ ওভার
৩৪/১, ১১-২০ ওভার
৫৯/০, ২১-৩০ ওভার
প্রথম পাওয়ারপ্লেতে উইকেট পড়ে যাওয়াতে প্রত্যাশামতো রান আসেনি। পরের পাওয়ারপ্লের প্রথম ১০ ওভার গেছে সে চাপ সামাল দিতেই, সঙ্গে আবার পড়েছে আরেকটি উইকেট। তবে সর্বশেষ ১০ ওভারে বেশ ভালোভাবেই এগিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব ও হৃদয়ের জুটি অবিচ্ছিন্ন। বড় ইনিংসের পথে এগোচ্ছেন সাকিব, ভালো সঙ্গ দিচ্ছেন হৃদয়। ৪০ ওভার পর্যন্ত বৃত্তের বাইরে থাকবেন ৪ জন ফিল্ডার, শেষ ১০ ওভারে সে সংখ্যা বাড়বে একজন। ফলে রানের গতি বাড়ানোর ভালো একটি সুযোগ এখনই।
৩০ ওভারে ১৩৭/৪।
সাকিব-হৃদয়ের আক্রমণ
রবীন্দ্র জাদেজাকে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরেছিলেন সাকিব। শার্দূল ঠাকুরের পরের ওভারে টানা দুটি চার হৃদয়ের। বাংলাদেশের স্কোরকার্ড এখন ভালোই দেখাচ্ছে।
১০০ রানের জুটি সাকিব ও হৃদয়ের
১০০ রানের জুটি হয়ে গেল সাকিব ও হৃদয়ের। পঞ্চম উইকেটে এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় শত রানের জুটি। এর আগে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন সাকিব ও মুশফিক।
৮০ রানে বোল্ড সাকিব
তানজিদ হাসান—ইনসাইড-এজে বোল্ড।
সাকিব আল হাসান—ইনসাইড-এজে বোল্ড।
দুই বাঁহাতিকে প্রায় একইভাবে বোল্ড করলেন শার্দূল ঠাকুর। ক্রস সিমে করা বলটা ওঠেনি সেভাবে। ব্যাট বাড়িয়ে নিজের বিপদটাও ডেকে এনেছেন সাকিব, আউট হয়েছেন ড্রিংকস বিরতির পরপরই। সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না বাংলাদেশ অধিনায়কের। ৮০ রানেই থেমেছেন তিনি। হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর পঞ্চম উইকেট জুটিতে উঠেছে ১১৫ বলে ১০১ রান।
শামীম এলবিডব্লিউ
সাকিবের জায়গায় এসেছিলেন আরেক বাঁহাতি শামীম। ফিরেও গেলেন তিনি। জাদেজাকে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন। কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল লাগত মিডল স্টাম্পে। পরপর ২ ওভারে ২ উইকে হারিয়ে আবার চাপে বাংলাদেশ।
মেহেদীর আগে নাসুম
মিরাজকে পাঠানো হয়েছিল তাওহিদ হৃদয়ের আগে। এবার বাংলাদেশ নাসুম আহমেদকে পাঠিয়েছে মেহেদী হাসানের আগে।
৩৫ ওভারে ১৬২/৬।
দ্য ‘লর্ড’ ও তাঁর শিকার
হৃদয়ের ফিফটি
২০, ০ ও ২—এশিয়া কাপের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না হৃদয়ের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এরপর বাংলাদেশকে দারুণ এক জয় এনে দিতে ধরেছিলেন ৮২ রানের ইনিংসে। আজ ভারতের বিপক্ষে পেলেন আরেকটি ফিফটি। সেটিও বেশ চাপের মুখে ব্যাটিং করে। ওয়ানডেতে ১৩তম ইনিংসে পঞ্চম ফিফটি এটি হৃদয়ের।
৪০ ওভারে ১৮৮/৬।
শামির বলে হৃদয় আউট
অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ফিরতি স্পেলে মোহাম্মদ শামিকে দেখেশুনে খেলবেন, মনে হচ্ছিল এমন। ওভারও আছে যথেষ্ট। কিন্তু পরের বলে শর্ট লেংথে পেয়ে পুল করতে গেলেন হৃদয়। যেভাবে চেয়েছিলেন, শট সেভাবে হয়নি। বেশ ওপরে উঠলেও কাঙ্ক্ষিত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারেনি সেটি। ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন। ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস শেষ এখানেই। ৫০ ওভারের আগে অলআউট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরেকটু জোরালভাবে চোখ রাঙাচ্ছে এখন বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের ২০০
আজ মেহেদীর আগে পাঠানো হয়েছে নাসুমকে। শুরুর দিকের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের চেয়েও বেশ স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছে তাঁকে। জাদেজাকে সর্বশেষ চার মারলেন, বাংলাদেশ পেরোল ২০০। জাদেজার করা ৪৩তম ওভারের শেষ বলে আবার চার মেরেছেন মেহেদীও। ৪৩ ওভারশেষে বাংলাদেশ ২১০/৭।
শেষে এসে নাসুম ও মেহেদীর প্রতিরোধ
নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন এখনো। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ওয়ানডেতে নাসুমের এর আগে সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস। এ বাঁহাতি ৪৭তম ওভার শেষে অপরাজিত আছেন ৪৪ বলে ৪৪ রানে। মেহেদী ব্যাটিং করছেন ১৪ বলে ১৮ রানে। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রানে। ৪৭তম ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে তুলেছে ২৩৭ রান।
৪৪ রানে বোল্ড নাসুম
নাসুমের চোখেমুখে হতাশাটা স্পষ্ট। ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন, তবে সে লেংথে ছিল না ঠিক বলটি। ইনসাইড-এজে লেগে মাটিতে পড়ার পর গিয়ে লেগ স্টাম্পে আঘাত করেছে প্রসিধ কৃষ্ণার বলটি। ৪৫ রানেই শেষ হলো নাসুমের লড়াই। ৪৪ রানেই থামল মেহেদীর সঙ্গে তাঁর অষ্টম উইকেট জুটি।
বাংলাদেশ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিটি এ দুজনের
বাংলাদেশ তুলল ২৬৫ রান
৪২তম ওভারে হৃদয় সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারবে কি না—বড় প্রশ্ন ছিল সেটিই। তখনো ২০০ পেরোয়নি তারা।
এরপর আবির্ভাব হলো ‘অপ্রত্যাশিত’ এক জুটির। নাসুম আহমেদ হয়ে উঠলেন ব্যাটসম্যান, মেহেদী হাসানের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠল ৪৫ রান। নাসুমের ৪৫ বলে ৪৪, মেহেদীর , তানজিমের ৮ বলে ১৪—আট, নয় ও দশ নম্বর ব্যাটসম্যানের অবদানে বাংলাদেশ গেল ২৬৫ রান পর্যন্ত।
ভারতকে থামানোর জন্য সেটি যে অনেক বড় স্কোর, তা হয়ত নয়। তবে নিশ্চিতভাবেই বোলারদের লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিয়েছেন কার্যত বোলাররাই!
ইনিংস রিপোর্ট
আরও একটি ইনিংস, আরও একবার ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। দ্বিতীয় সারির ভারতের বিপক্ষেও আজ আগে ব্যাট করতে নেমে ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে সাকিব আল হাসান (৮০) ও তাওহিদ হৃদয়ের (৫৪) জোড়া ফিফটি দলের রানটাকে দুই শ’র কাছাকাছি নিয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের মতো স্কোর এসেছে আসলে লোয়ার অর্ডারের সৌজন্যে। নাসুম আহমেদ (৪৪), শেখ মেহেদী হাসান (২৯) ও অভিষিক্ত তানজিম হাসানের (১৪) ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ তুলেছে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শার্দূল ঠাকুর।
রোহিত শর্মা (০) ক এনামুল ব তানজিম
তানজিম হাসানের স্বপ্নের শুরু! বলাই যায়।
প্রথম ৩ বলে ২টি ওয়াইড দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অভিষিক্ত পেসার। নিজের বৈধ দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই পেয়ে গেলেন উইকেট, সেটিও আবার রোহিত শর্মার। লেংথ বলে শরীর থেকে দূরে ব্যাট নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রোহিত। কাভারে এনামুল হকের হাতে ক্যাচ গেছে সরাসরি। ২৬৫ রানের সম্বল নিয়ে যেমন শুরু দরকার ছিল, বাংলাদেশকে সেটিই এনে দিলেন তানজিম।
আশাজাগানিয়া প্রথম ওভার মোস্তাফিজের
নিজের প্রথম ওভারে তিলক ও গিল—দুই ব্যাটসম্যানকেই অস্বস্তিতে ফেলেছেন মোস্তাফিজুর। ওভার শেষে হয়েছে গিলের মারা টানা দুটি চারে। কিন্তু শেষ চারটিতে উঠেছিল ক্যাচ, যেটি গেছে শূন্য দ্বিতীয়/তৃতীয় স্লিপ দিয়ে। এ ম্যাচ দিয়েই দলে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর। তাসকিনরা নেই বলে নতুন বলও তাঁর কাছেই।
ভারত ২ ওভারে ১০/১।
তানজিমের শিকার রোহিতের পর তিলক
২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল—তানজিমের বলে আউট তিলক।
২০২৩ সালে এশিয়া কাপ—তানজিমের বলে আউট তিলক।
এর আগে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দেখা হয়েছিল দুজনের। সর্বশেষ দেখায় তিলককে আউট করেছিলেন তানজিম। সেবারও তিনেই নেমেছিলেন তিলক। আজ দুজনেরই সিনিয়র পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক একই ম্যাচে। এরপর একে অন্যের মুখোমুখি। এখানেও জয়ী তানজিমই!
তিলক বর্মা বলটি বেরিয়ে যাবেন বলে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আগেরটিতেও তাই করেছিলেন। কিন্তু এবার তানজিমের বলটি ঢুকেছে ভেতরের দিকে। আঘাত করেছে অফ স্টাম্পের চূড়ায়। অভিষেকের প্রথম ২ ওভারে ২ উইকেট তানজিমের। রোহিতের পর ফেরালেন তিলককে। ভারত চাপে।
ভারতের মিডল অর্ডারের পরীক্ষা
বিরাট কোহলি নেই। হার্দিক পান্ডিয়াও তাই। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর ভারত আজ বিশ্রাম দিয়েছে পাঁচ জনকে। কোহলি-পান্ডিয়াদের অনুপস্থিতিতে ভারতের মিডল অর্ডারের একটা পরীক্ষাই হতে যাচ্ছে আজ। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে তারা।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
সসাকিব রিভিউটা নিলেন একেবারে শেষ মূহুর্তে গিয়ে। তবে কাজে এল না সেটির। লোকেশ রাহুলকে পরাস্ত করেছিলেন তানজিম। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি মিস করে যেত স্টাম্প। সপ্তম ওভারে প্রথম রিভিউটি হারিয়েছে বাংলাদেশ।
৭ ওভারে ২৭/২
১০ ওভারে ৪২/২
প্রথম স্পিনার হিসেবে নাসুমকে এনেছিলেন সাকিব। এরপর তাঁকে সরিয়ে নিজেই এসেছেন। নাসুম প্রথম ওভারে দিয়েছেন ১১ রান, সাকিব ৪। ২ উইকেট হারানোর পর সতর্ক গিল ও রাহুল।
ছবির শিল্পী ও ছবি
তানজিমের টানা ৬
রোহিত শর্মার পর তিলক বর্মার উইকেট, লোকেশ রাহুলকেও ফিরিয়েছিলেন প্রায়। তানজিম ছন্দে ছিলেন দারুণ। তাঁকে দিয়ে টানা ৬ ওভার বোলিং করানোর পর সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব। এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ভারত তুলেছে ৫৫ রান, রাহুল ও গিলের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানে।
সেঞ্চুরিয়নে ক্লাসেন-ঝড়
ওদিকে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরিয়নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে করেছে ৪১৬ রান। হাইনরিখ ক্লাসেন খেলেছেন ৮৩ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার ও ক্লাসেনের জুটিতে উঠেছে ৯৪ বলে ২২২ রান! মানে ওভারপ্রতি ১৪.৪৭ হারে রান তুলেছেন দুজন। ওয়ানডে ইতিহাসে কমপক্ষে ২০০ রান উঠেছে, এমন জুটিতে ওভারপ্রতি সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এটিই। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল জস বাটলার ও এউইন মরগানের ১০.০৩ (২০৪ রান)।
এ ঝড়ের কবলে পড়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান খরচের রেকর্ড ছুঁয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। ১০ ওভারে তিনি দিয়েছেন ১১৩ রান। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিক লুইস দিয়েছেন ১১৩ রান।
ফিফটি জুটি
১৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর থেকেই সতর্ক রাহুল ও গিল। শুরুর চাপ অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন তাঁরা। দুজনের জুটিতে ৫০ রানও উঠে গেছে। ১৬ ওভারশেষে দলীয় স্কোর ৭৩। গিল এগোচ্ছেন ফিফটির পথে।
রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মেহেদী
আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন মেহেদী হাসান। তাঁর বলে ক্যাচ তুলেছেন লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল এ জুটি ভাঙা। মেহেদী করলেন সেটিই। রাহুল থেমেছেন ৩৯ বলে ১৯ রানে। গিলকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন, নিজে গতি বাড়াতে গিয়ে ধরা পড়লেন মিডউইকেটে।
গিলের ফিফটি
আগের ওভারে রাহুলকে ফিরিয়েছিলেন মেহেদী। তাঁকেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ওয়াইড লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারলেন গিল। ফিফটিতেও পৌঁছে গেলেন। ৬১ বল খেলেছেন ফিফটি করতে। ২০ ওভারশেষে ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৮৯ রান।
মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ কিষান
মিরাজকে রিভার্স সুইপের অপশন বেছে নিয়েছিলেন কিষান। ব্যর্থ হলো সেটি। আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ এলবিডব্লিউ দেন, সেটি রিভিউও করেন কিষান। তবে বল ট্র্যাকিং দেখানোর আগেই হাঁটা ধরেন কিষান। ফেরার অপশন খুঁজে পাননি আর। ১০০ রান তোলার আগেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত।
দ্বিতীয় রিভিউও হারাল বাংলাদেশ
প্যাডল সুইপের মতো করতে গিয়েছিলেন সূর্যকুমার, অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে। খোলা চোখেই বোঝা যাচ্ছিল, বল সূর্যকুমারের পায়ে আঘাত করেছে অফ স্টাম্প লাইনের বাইরে। বল ট্র্যাকিং নিশ্চিত করেছে সেটি। ফলে একমাত্র অক্ষত রিভিউটিও হারাল বাংলাদেশ।
২৫ ওভারশেষে ৪ উইকেটে ১০৫ রান ভারতের।
গিল ও সূর্যকুমারের জুটি
সুযোগ দিয়েছিলেন গিল। তবে কঠিন সুযোগ।
নাসুমের পেসে পরাস্ত হয়ে ধোঁকা খেয়েছিলেন গিল। লেগ সাইডে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠেছিল কাভারের দিকে। পেছন দিকে বেশ খানিকটা ছুটেও সেটির নাগাল পাননি সাকিব।
কিষানকে ফিরিয়ে আশা পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সূর্যকুমার ও গিলের জুটি আবার হতাশ করছে তাদের। এ ম্যাচে রান ও বলের পার্থক্য সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি এখন পর্যন্ত। পার্থক্য গড়ে দেওয়ার কথা উইকেটের সংখ্যাই।
গিল ও সূর্যকুমারের জুটিতে উঠেছে ৪৩ রান। ৩২ ওভারশেষে ভারত তুলেছে ১৩৭ রান।
সূর্যকুমারকে বোল্ড করলেন সাকিব
উইকেটটা খুব করে দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেটি এনে দিলেন সাকিব নিজেই। বোল্ড করেছেন সূর্যকুমারকে।
শুরু থেকেই সুইপের দিকে মনযোগ ছিল সূর্যকুমারের, বেশ বড় স্ট্রাইড নিয়েও সেটির চেষ্টা করছিলেন। সুইপ করতে গিয়ে নাগাল পাননি এবার। ৩৪ বলে ২৬ রান করে থেমেছেন তিনি। ওয়ানডেতে এখনো পায়ের নিচে ঠিক মাটি খুঁজে পাননি। এ ম্যাচ ভালো একটা সুযোগ ছিল ভারতের বিশ্বকাপ দলে থাকা সূর্যকুমারের। সেটি কাজে লাগাতে পারলেন না।
এ উইকেট নিয়ে আবার লড়াইয়ে ফিরল বাংলাদেশ। ৩২.৪ ওভারে ১৩৯/৫।
জিততে পারবে বাংলাদেশ?
গিল বনাম বাংলাদেশ?
ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ লম্বা। মালগাড়ির মতো। এ নিয়ে সংশয় নেই। আট নম্বরে অক্ষর প্যাটেলের পর নয় নম্বরে আসার কথা শার্দূল ঠাকুরের। তবে শুবমান গিলের উইকেট গড়ে দিতে পারে পার্থক্য। এ উইকেটে স্পিন লড়াইয়ে আছে ভালোভাবেই। তবে গিল থিতু হয়েছেন। ৩৬তম ওভারে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মিরাজকে মেরেছেন দুটি ছক্কা। রানআউটের একটা আবেদন হয়েছিল, তাতে অক্ষতই আছেন তিনি। আর বাংলাদেশের হুমকিটা আরও বড় করে তুলছেন ৯৩ রানে অপরাজিত ভারত ওপেনার।
মোস্তাফিজে বোল্ড জাদেজা
মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ফিরে যেতে হলো জাদেজাকে। বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন, মিস করে গেছেন পুরোপুরি। মোস্তাফিজের শর্ট অব আ লেংথে করা গতিময় বলে জাদেজা হারিয়েছেন মিডল স্ট্যাম্প। ফিরেই সফল বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার, পড়ল ভারতের ষষ্ঠ উইকেট। গিলকে অপর প্রান্তে রেখে ফিরলেন আরেকজন।
৩৭.৪ ওভারে ১৭০/৬
গিলের সেঞ্চুরি
মোস্তাফিজের পর সাকিব ফিরিয়েছেন তানজিমকে। তাঁড় বলেই ডাবলস নিয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন গিল। ভারতের জয়ের সবচেয়ে বড় আশা হয়ে আছেন তিনি, তাঁকে থামানোর উপায় এখনো খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। এমনকি একাধিকবার রানআউটের মতো সুযোগ এলেও সময়মতোই ক্রিজে পৌঁছে গেছেন। সুযোগ পেলে শটও খেলছেন, সেঞ্চুরির পরই যেমন ডিপ এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরেছেন, সেটির পর পুল করে মেরেছেন আরেকটি। ৬৬ বলে ভারতের দরকার ৮৩ রান। বাংলাদেশের দরকার উইকেট—গিলেরটি।
৬০ বলে ৭৮
শেষ ১০ ওভারে ম্যাচ। ৪০ বলে দরকার ৭৮ রান, বাকি ৪ উইকেট। গিল অপরাজিত ১১০ রান।
সুযোগ
৩০ গজের বৃত্তের ভেতর থেক ছুটেছিলেন তাওহিদ হৃদয়, বাইরে থেকে এনামুল হক। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের তোলা ক্যাচটি পড়ল দুজনের মধ্যে। সাকিবের শেষ ওভারে তাঁকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন।
বোলিং শেষ করলেন সাকিব। ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৭১ দরকার ৫৪ বলে।
৪০-এর পরে স্পিন
৪৩তম ওভারে নাসুম ফিরে দিয়েছেন ৪ রান। তৃতীয় পাওয়ারপ্লেতে আবার স্পিনারদের নিয়ে এসেছেন সাকিব। ৪২ বলে দরকার ৬৪ রান। আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াই কলম্বোয়।
গিলকে থামালেন মেহেদী
এ উইকেটটির খোঁজেই ছিল বাংলাদেশ। সেটি এনে দিলেন মেহেদী হাসান।
ঠিক আগের বলেই ইনিংসের সবচেয়ে লম্বা ছক্কাটি মেরেছিলেন লেগ সাইডে। এবার মেহেদীর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে টেনে মারতে গিয়ে লং অফে হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েছেন। তার আগে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস—১৩৩ বলে ১২১ রান।
কার্যত ভারতকে এতক্ষণ লড়াইয়ে রেখেছিলেন তিনিই। শুধু লড়াইয়ে রেখেছিলেন, তা নয়। ম্যাচটাও বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্রিজে এখন ভারতের শেষ স্বীকৃত জুটি।
স্টাম্পিং মিস করলেন লিটন
বলটা লিটন দাস ঠিকঠাক নিতে পারলে স্টাম্পিং হতেন অক্ষর প্যাটেল। নাসুমের বলে ডাউন দ্য লেগে সেটি নিতে পারেননি বাংলাদেশের উইকেটকিপার। দেখে মনে হয়েছে, লিটন বলটি ঠিকঠাক দেখতেই পাননি। নাসুমের আগের বলে ছক্কাও মেরেছেন অক্ষর। বেঁচে যাওয়ার পর লো ফুলটসে মেরেছেন আরেকটি চার। ১২ বলের ওভারের পর ভারতের এখন দরকার ৩০ বলে ৪৪ রান।
শেষ হাসি কার?
মোস্তাফিজের ৪৭তম ওভার
১৮ বলে প্রয়োজন ৩১ রান।
মেহেদীর ওভারে ১৪
স্লিঙ্গিং অ্যাকশন, পেসের বৈচিত্র—প্রথম ৪ বলে দুর্দান্ত ছিলেন মেহেদী, দিয়েছিলেন মাত্র চারটি সিঙ্গেল। কিন্তু পঞ্চম বলে ফুললেংথ থেকে টেনে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে চার মেরেছেন অক্ষর। সে চারের পর সাকিবকে তাঁর সঙ্গে এসে কথাও বলতে দেখা গেছে। তাতে কাজ হয়নি কোনো। শেষ বলে অক্ষর একই অঞ্চল দিয়ে তুলে মেরেছেন, এবার ছক্কা। প্রথম ৪ বলশেষে ব্যাকফুটে ছিল ভারত। এখন ১২ বলে দরকার ১৭ রান। বাকি আগের মতোই ৩ উইকেট।
৪ বলে মোস্তাফিজের ২ উইকেট, ৬ বলে দরকার ১২
৪৯তম ওভারের প্রথম বল। মোস্তাফিজকে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা মিরাজের হাতে ধরা পড়েছেন শার্দূল ঠাকুর। রিপ্লে দেখে কোনো সংশয়ই ছিল না, যদিও অন ফিল্ডের আম্পায়াররা শুরুতে নিশ্চিত ছিলেন না। আর মিরাজ যে সেখানে ছিলেন, সেটিও যেন ভুলে গিয়েছিলেন শার্দূল।
কিন্তু স্ট্রাইক ফিরে পেয়ে তৃতীয় বলে ফুলটস পেয়ে কাভার দিয়ে চার মেরেছেন অক্ষর। চতুর্থ বলে ছিল স্লোয়ার, তাতে আর টাইমিং করতে পারেননি অক্ষর। তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। লং অফ থেকে ছুটে এসে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম।
শেষ ২ বলে রান নিতে পারেননি প্রসিধ কৃষ্ণা। ৬ বলে দরকার ১২ রান।
৬ রানে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ
শর্ট বল, স্লোয়ার, স্লোয়ার, স্লোয়ারে চার, ইয়র্কারে ১ (রানআউট)—প্রায় ‘পারফেক্ট’ শেষ ওভার করলেন তানজিম হাসান। আর তাতেই এল ৬ রানের জয়। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় জয়। প্রথমটি এসেছিল ২০১২ সালে মিরপুরে। দেশের বাইরেও ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়।
এশিয়া কাপে দেখা গেল আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াই, যেটি গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত। তবে লম্বা একটা সময় তাদের লড়াইয়ে রেখেছিলেন শুবমান গিল। তাঁর উইকেটের পর অবশ্য ব্যাকফুটে থাকা ভারতকে এগিয়ে নিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। শেষের আগের ওভারেও বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ বের করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে বোলাররা যেমন আজ বাংলাদেশের হয়ে দারুণ করেছেন, বোলিংয়ে নিজেদের কাজটিও করেছেন দারুণভাবে। সাকিবও তাঁর বোলারদের ব্যবহার করেছেন দারুণভাবে। তাসকিন, হাসান মাহমুদরা ছাড়াও বাংলাদেশের এ জয় আত্মবিশ্বাস জোগানোর কথা বোলারদের। আর বাজে একটি এশিয়া কাপের শেষে ভারতকে হারানো বাংলাদেশের জন্য হতে পারে সান্ত্বনার চেয়েও বেশি কিছু।
বলছেন তানজিম
রোহিত ভাইয়েরটি ছিল স্বপ্নের উইকেট। লম্বা স্পেলের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।
ম্যাচসেরাও সাকিব
যারা বেশি খেলেনি, তাদের সুযোগ দিতে চেয়েছি। গত কয়েক ম্যাচে দেখেছি, স্পিনাররা কাজে আসতে পারে। আজ আগে যাওয়াতে নিজে থিতু হওয়ার সময় পেয়েছি। ভালো ব্যাটিং করেছি। শুরুতে চ্যালেঞ্জিং ছিল, কিন্তু পরে একটু সহজ হয়ে এসেছিল। তবে স্পিন খেলা কঠিন ছিল।
বলছেন রোহিত
বাংলাদেশ বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।
সান্ত্বনা, সান্ত্বনা
ফাইনালের দৌড় থেকে বাংলাদেশ ছিটকে পড়েছিল আগেই। ভারতের বিপক্ষে এ জয় তাই সান্ত্বনারই। আরেকটি সান্ত্বনাও আছে। সুপার ফোরে তিনে থেকে এশিয়া কাপ শেষ করল বাংলাদেশ। এ জয়ে পাকিস্তানকে টপকে গেছে তারা। দুই দলেরই সমান ২ পয়েন্ট করে। তবে এ ম্যাচে জয়ের পর পাকিস্তানের (-১.২৮৩) চেয়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ (-০.৪৬৩)।