একটা সময় ছিল, শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশ পাত্তাই পেত না। সেই সময় পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। টি-টোয়েন্টির কথা ধরলে তো দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বশেষ ৩ ম্যাচের ২টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। পরিধিটা আরেকটু বাড়িয়ে সর্বশেষ ৬ ম্যাচে নিলে দুই দল সমানে সমান। তিনটি করে জয় দুই দলেরই। সেদিক বিবেচনায় বলাই যায়, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটা দ্বৈরথ তৈরি হয়েছে।
তা, এই দুই দল যখন কোনো টুর্নামেন্টের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে, খেলা শুরুর আগে তো উত্তেজনার রেণু উড়বেই! এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে আজ এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যে দল জিতবে, উঠে যাবে সুপার ফোরে। হারলেই পত্রপাঠ বিদায় নিতে হবে। এমন একটি ম্যাচের আগে কথার লড়াই তো হতেই পারে।
কথার লড়াইটা শুরু করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আফগানিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছেন? বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাস আছে?
এ প্রশ্নের উত্তরে শানাকা যা বলেছিলেন, তার মর্মার্থটা ছিল এ রকম, প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানিস্তানের চেয়ে সহজ দল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের খুব ভালো মানের বোলার নেই। সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজ ছাড়া বাংলাদেশে বলার মতো আর কোনো বোলার নেই।
কথাটা খুব একটা ভালো লাগেনি বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের। গতকাল দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমিতে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি এর উত্তরে বলেছেন, ‘আমি জানি না, শানাকা কেন এমন কথা বলেছে। আমি শুনেছি, সে বলেছে, বাংলাদেশের সাকিব আর মোস্তাফিজ ছাড়া বোলার নেই। আমি তো শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারই দেখি না। আমাদের তবু দুজন বোলার আছে। তাদের সাকিব আর মোস্তাফিজের মানেরও কোনো বোলার নেই।’
মাহমুদের সংবাদ সম্মেলনের এ অংশটার ভিডিও টুইট করেছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটবিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট ক্রিকওয়্যার। সেটি দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। নিজের টুইটারে ক্রিকওয়্যারের টুইটটি শেয়ার করেছেন তিনি। এরপর লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিজেদের মান দেখানোর সময় এটা। আর ব্যাটসম্যানদের সময় এসেছে এটা দেখানোর যে মাঠে তারা কেমন...।’