সেঞ্চুরি করার পর শুবমান গিল আউট হওয়ার সময় ভারত এগিয়ে ছিল ৪৩৩ রানে। এরপর ঋষভ পন্তের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত কাউকে না পাঠিয়ে ভারত পাঠাল বিরাট কোহলিকেই। চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে তিনি ব্যাটিং করলেন আরও ১২.১ ওভার।
কোহলি স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেওয়ার কাজটিই করছিলেন চেতেশ্বর পূজারাকে। যেন দ্রুত রান তোলার তেমন কোনো তাড়া ছিল না তাঁদের। পরে কুলদীপ যাদবও বললেন, ইনিংস ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চাননি তাঁরা।
ভারত ইনিংস ঘোষণা করবে, সেটি বোঝা যাচ্ছিল আগে থেকেই। পূজারা ফিফটির পর চালিয়ে খেলা শুরু করলেন, সে সময় কোহলি খেলছিলেন ধীরগতিতেই। প্রথম ইনিংসে ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা পূজারা তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পরই ইনিংস ঘোষণা করেন লোকেশ রাহুল। ততক্ষণে তাঁদের লিড ৫১২ রানের।
ম্যাচের আগে রাহুল ‘নিশ্চয়তা’ দিয়েছিলেন, ভারত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে। দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকটা সময়জুড়েই তাদের ব্যাটিং অবশ্য ছিল প্রথাগতই। শেষ পর্যন্ত ৪-এর ওপর রানরেটেই ব্যাটিং করেছে তারা। ইনিংস ঘোষণার ক্ষেত্রে ভারতের অপেক্ষা করার কারণ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কুলদীপ যাদব ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘আমাদের হাতে আরও দুই দিন আছে। টেস্টে অনেক সময় আছে। এখনো ১৮০ ওভার বাকি। এই ধরনের ক্রিকেটে অনেক সময়। আমাদের কোনো তাড়া ছিল না (ইনিংস ঘোষণার)। এর চেয়ে রান করে তাদের দেওয়াটা ভালো। এটা আমাদের বোলারদেরও সুযোগ দেয়, যখন আপনি ডিফেন্ড করবেন।’
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ভারত ভয় পেয়েছে কি না, এমন প্রসঙ্গে কুলদীপ বলেন, ‘কোনো দলকে অনুমান করা যায় না বোলিং বা ব্যাটিংয়ের সময়। ৪০০ রান কখনো কখনো সহজ মনে হয়। যদি কেউ থিতু হয়ে যায়, লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এমন না যে আমরা ভয় পেয়েছি। আমরা চা-বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করে তাদের ১৫-২০ ওভার দিতে চেয়েছি।’
তৃতীয় দিনের খেলা শেষেও ভারত অবশ্য এ টেস্টে পরিষ্কার ফেবারিট। কুলদীপ ৪০০ রানের কথা বলেছিলেন, তবে বাংলাদেশের এখনো প্রয়োজন ৪৭১ রান। অন্যদিকে প্রতিপক্ষকে অলআউট করার ক্ষেত্রে ভারতের হাতে থাকা ১৮০ ওভার তো যেকোনো পরিস্থিতিতেই যথেষ্ট। ভারতের বিপক্ষে এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি অবশ্য পুরোনো নয়। গত জুলাইয়ে তাদের দেওয়া ৩৭৮ রানের লক্ষ্য ৭৬.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ এ লক্ষ্যটা তাড়া করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে কুলদীপ বললেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তো এটি চাই না। তবে এটিই ক্রিকেট। খেলার ধরনই এমন। (বাংলাদেশের) কেউ যদি ৩০০ করে ফেলে, তাহলে অবশ্যই হয়তো...তবে আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের অলআউট করা যায়। আগামীকাল এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।’