ওয়ানডেতে শরীফুলের সেরা বোলিং
শরীফুল ইসলাম বোধ হয় এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিলেন! ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খরচ করেছিলেন ৮৩ রান। এরপর সেই সিরিজের শেষ ম্যাচ ও আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগই মেলেনি।
সুযোগ পেলেন এমন এক ম্যাচে, যে ম্যাচের জয়–পরাজয় সিরিজে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এমন এক ম্যাচকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন এই তরুণ পেসার। ওয়ানডেতে নিজের সেরা বোলিংটা আজই করেছেন শরীফুল, নিয়েছেন ২১ রানে ৪ উইকেট। এ নিয়ে তৃতীয়বার ৪ উইকেট পেলেন এই বাঁহাতি।
শুধু উইকেট দিয়েই অবশ্য শরীফুলের আজকের বোলিংকে বর্ণনা করা যাবে না। কারণ, যেভাবে শর্ট লেংথ, গুড লেংথে ধারাবাহিকভাবে বল করে আফগান ব্যাটসম্যানদের বোকা বানিয়েছেন, তাতে বাড়তি প্রশংসা পেতেই পারেন এই বাঁহাতি।
প্রথম উইকেটটার কথাই ধরা যাক। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরানকে অনেকটা ফাঁদে ফেলেই আউট করেন শরীফুল।
প্রথম ওভার থেকেই শরীফুল ওভার দ্য উইকেট থেকে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বের করে নিচ্ছিলেন বল। সে ফাঁদেই পা দিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম। আগের ম্যাচে ২৫৬ রান করা আফগান উদ্বোধনী জুটি আজ ভাঙে ৩ রানে, তৃতীয় ওভারেই। এরপর ক্রিজে আসা রহমত শাহ শরীফুলের ওই ওভারেই আউট। শরীফুলের ব্যাক অফ লেংথের ডেলিভারিতে উইকেটকিপার মুশফিকের কাছে ক্যাচ দেন রহমত।
ওয়ানডেতে শরীফুলের সেরা বোলিং:
মোহাম্মদ নবীকেও ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। নবী ফিরেছেন তাঁর ভেতরের দিকে ঢোকা বলে। এই উইকেট নিয়েই আফগানদের বড় সংগ্রহ গড়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন শরীফুল। শরীফুলের পরের উইকেট শর্ট বলে। আবদুল রেহমান পুল করেছিলেন, ডিপ স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে ধরা পড়েন।
৯ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল। পুরো ১০ ওভার বল করতে পারলে কে জানে হয়তো বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েও যেতে পারতেন। পায়ে একটু অস্বস্তি বোধ করায় একবার বল হাতে নিয়েও ওভার শুরু না করে মাঠের বাইরে চলে যান শরীফুল। অল্প সময় পর ফিরে এলেও আবার বল হাতে পাওয়ার আগেই অলআউট আফগানরা।