বিধ্বংসী শামিকে সামলেও দিল্লির জয়

ম্যাচ জিতে দিল্লির উল্লাসবিসিসিআই

পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দলের সঙ্গে তলানিতে থাকা দলের লড়াই। সেই লড়াইয়ে বল হাতে বিধ্বংসী শীর্ষে থাকা দল গুজরাট টাইটানসের পেসার মোহাম্মদ শামি। আর তাতেই মাত্র ১৩০ রানে আটকে গেল তলানির দল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু কে জানত, এটুকু সম্বল নিয়েই গুজরাটকে ১২৫ রানে আটকে দেবেন দিল্লির বোলাররা! ৫ রানে ম্যাচ জিতে গেল দিল্লি। ৯ ম্যাচ খেলে এটা দিল্লির মাত্র তৃতীয় জয়। অন্যদিকে হেরেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে গুজরাট, ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ওদের পয়েন্ট ১২।

আরও পড়ুন


শুরুটা খুবই বাজে ছিল দিল্লির। ৫ ওভারের মধ্যে ২৩ রানে ৫ উইকেট নেই। এর মধ্যে শুধু অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার রানআউট, বাকি চার ব্যাটসম্যানই গুজরাট টাইটানসের পেসার মোহাম্মদ শামির শিকার। ওই অবস্থা থেকে শেষ পর্যন্ত যে দিল্লি পুরো ২০ ওভার খেলল, আর মাত্র ৩টা উইকেট গেল ওদের এবং রান ১৩০ হলো, সেটা তো দারুণ প্রত্যাবর্তনই।

৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট মোহাম্মদ শামির
বিসিসিআই


শামি পরে আর উইকেট পাননি, তবে ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১১। তাঁর ৪টা ওভার আসলে শেষ হয়ে গিয়েছিল ইনিংসের অষ্টম ওভারেই। এরপর আসলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পায় দিল্লি, মনোযোগ দেয় ইনিংস মেরামতের কাজে।

আরও পড়ুন

সে কাজে বড় ভূমিকা নেওয়া আমান হাকিম খানকে সঙ্গ দিয়েছেন দুই ‘প্যাটেল’—অক্ষর ও রিপাল। হাকিম অক্ষরকে নিয়ে গড়েছেন ৫৪ বলে ৫০ রানের জুটি, পরে রিয়ালের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটিটা মাত্র ২৭ বলে। তখন কে জানত, এ দুই জুটিতেই দিল্লি জেতার মতো রান পেয়ে যাবে!

তাড়া করতে নামা গুজরাটের ইনিংসেও শুরুতেই ব্যাটিং–ধস! ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় সপ্তম ওভারের মধ্যে। তবে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন। সঙ্গী হিসেবে পান অভিনব মনোহরকে। এ দুজনের ৬৩ বলে ৬২ রানের জুটিটা ম্যাচে রাখে গুজরাটকে। ৩৩ বলে ২৬ রান করে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মনোহর ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন রাহুল তেভাতিয়া। ম্যাচের হিসাব পাল্টে যায় তখনই।

৭ বলে ২০ রান করেন তেভাতিয়া
বিসিসিআই


শেষ দুই ওভারে গুজরাটের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৩ রান। তবে ১৯তম ওভারে আনরিখ নরকিয়াকে পরপর তিন ছক্কা মেরে ম্যাচটা হাতের নাগালে নিয়ে আসেন তেভাতিয়া। ওই ওভারে আসে ২১ রান। শেষ ওভারে দরকার গুজরাটের দরকার ছিল ১২ রান। তবে প্রচণ্ড চাপেও ঈশান্ত শর্মা নিজের স্নায়ু ধরে রাখেন। প্রথম চার বলে মাত্র ৩ রান দেওয়ার পর চতুর্থ বলে ৭ বলে ২০ রান করা তেভাতিয়াকে ফেরান। পঞ্চম বলে ২ রান নেওয়া রশিদ খান শেষ বলে নেন ১ রান। ৬ উইকেটে ১২৫ রানেই থেমে যায় গুজরাট, পান্ডিয়া অপরাজিত থেকে যান ৫৩ বলে ৫৯ রান করে।

দিল্লির হয়ে ২টি করে উইকেট খলিল আহমেদ ও ঈশান্ত শর্মার। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন গুজরাটের পেসার শামি।

আরও পড়ুন