ডমিঙ্গো এবার দক্ষিণ আফ্রিকান ক্লাবের কোচ
বাংলাদেশ দলের কোচের চাকরি ছেড়েছিলেন গত ডিসেম্বরে। এরপর কিছুদিন নেদারল্যান্ডসে কাজ করলেও সেটা ছিল খণ্ডকালীন। প্রায় ছয় মাস পর আবারও প্রধান কোচের দায়িত্বে ফিরছেন রাসেল ডমিঙ্গো। ৪৮ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকান জোহানেসবার্গের ডিপি ওয়ার্ল্ড লায়ন্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। দলটি দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে চার দিনের ম্যাচ ও সীমিত ওভার ক্রিকেটে অংশ নিয়ে থাকে।
লায়ন্সের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে ফিরতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। ভালো লাগছে যে আমি আবার ঘরে ফিরতে পেরেছি।’ ৪৮ বছর বয়সী ডমিঙ্গো লায়ন্সের সঙ্গে কাজ শুরু করবেন ১ জুলাই থেকে।
ডমিঙ্গোর কোচিং ক্যারিয়ারের শুরু ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব–১৯ দলের সঙ্গে। এরপর তিনি ওয়ারিয়র্সের কোচের দায়িত্ব নেন। ডমিঙ্গোর সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ট্রফি জেতে ওয়ারিয়র্স। ২০১২ সালে টি–টোয়েন্টি সংস্করণ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে কাজ শুরু করেন ডমিঙ্গো। পরের বছর দায়িত্ব পান তিন সংস্করণেই।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের চাকরি নেন ডমিঙ্গো। প্রথমে চুক্তি ছিল দুই বছরের, যা পরে ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে অবনতি ও দলের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমালোচনার জেরে ২০২২ সালের শেষ দিকে তিনি পদত্যাগ করেন।
তাঁর অধীনে ২২ টেস্ট খেলে ১৭টিতেই হারে বাংলাদেশ, জেতে মাত্র ৩টিতে। ৫৯ টি–টোয়েন্টিতে জয় ছিল ২৩টি, হার ৩৫টিতে। তবে এক দিনের ক্রিকেটে সাফল্যের হারই ছিল বেশি—৩০ ম্যাচের ২১টিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর নেদারল্যান্ডের কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছিলেন ডমিঙ্গো। কাজ করেন দলটির জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ দেশের ক্রিকেট পরিমণ্ডলেই ফিরলেন।
ডমিঙ্গোকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে লায়ন্স ক্রিকেটের সিইও লিফ–রাইট বলেন, ‘রাসেলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি আমাদের দলের সংস্কৃতিকে ধারণ করবেন এবং সিংহের গর্জন উচ্চকিত রাখাটা নিশ্চিত করবেন।’