২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে ডোনাল্ড–গিবসনের সঙ্গে স্থানীয় কোচদেরও কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম

বাংলাদেশের সিরিজ জয়এএফপি

দেশের ক্রিকেটে লেখা হয়েছে নতুন ইতিহাস। যে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে কখনো টেস্টে জেতেনি বাংলাদেশ, সেই পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে ধবলধোলাই করেছে, যা দেশের বাইরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। আর ঘরের মাঠে টেস্টে পাকিস্তান দ্বিতীয়বার ধবলধোলাই হওয়ার লজ্জা পেল।

এমন এক সফরের পর স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় থেকে কোচিং স্টাফ—সবাই ভাসছেন প্রশংসায়। বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকা ওপেনার তামিম ইকবাল এই সাফল্যের পেছনে স্থানীয় কোচদের কৃতিত্বটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। পেসারদের এমন দারুণ পারফরম্যান্সে কৃতিত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক দুই পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসনকে।

ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে পুরো সিরিজের বিশ্লেষণ করেছেন তামিম। সেখানেই উঠে এসেছে স্থানীয় কোচ ও বাংলাদেশের সাবেক দুই কোচের প্রসঙ্গ। পাকিস্তান সফরের আগে ক্রিকেটাররা সিলেট ও চট্টগ্রামে দীর্ঘ আড়াই মাসের টাইগার্স ক্যাম্প করেন।

২৫ মে থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পটি পরিচালনা করেছিলেন স্থানীয় কোচরা। এই ক্যাম্পে ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজসহ টেস্ট দলের অনেক সদস্য।

বাংলাদেশের পেসারদের সঙ্গে অ্যালান ডোনাল্ড
ছবি: প্রথম আলো

সে কারণে স্থানীয় কোচদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম, ‘বড় কোনো জয়ের পর অনেক সময় মানুষ ছোট বিষয়গুলো ভুলে যায়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটাররা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত ছিল, তখন টেস্ট দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার টাইগার্সের অধীনে অনুশীলন করেছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে মুশফিক, মুমিনুল, মেহেদীরা ছিল। এক থেকে দেড় মাসের এই ক্যাম্প হয়েছে স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে, তাঁদেরও অনেক কৃতিত্ব আছে। এটার অনেক বড় ভূমিকা ছিল।’

পাকিস্তান সফরে নিজেদের আলাদা করে চিনিয়েছেন বাংলাদেশ পেসাররা। এক টেস্টে খেলা শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ থেকে নাহিদ রানা—সবাই নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তো পাকিস্তানের সব কটি উইকেটই নেন পেসাররা।

পেসারদের এমন সাফল্যে তামিম সাবেক দুই পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন, ‘এটা (রাওয়ালপিন্ডি) এমন একটা উইকেট ছিল, যেখানে আগে অনেক রান উঠেছে, পাকিস্তান পেসাররা যতটুকু সুবিধা আদায় করতে পেরেছে, তার চেয়ে বাংলাদেশের পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়েছে। এটা নিয়ে পেসারদের গর্ব করা উচিত। যাঁরা আগে কোচ ছিলেন, তাঁদের কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। এই পেস বোলিং ইউনিটকে এত দূরে নিয়ে আসতে অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসন কঠোর পরিশ্রম করেছেন।’

আরও পড়ুন

২০২২ সালের মার্চে অ্যালান ডোনাল্ডকে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সময়ে জাতীয় দলের পেস বোলিং বিভাগের দারুণ উন্নতিও চোখে পড়ে। তিনি দায়িত্ব ছাড়েন ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। ডোনাল্ডের আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচিং ছিলেন ওটিস গিবসন। বাংলাদেশ দলের বর্তমান বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস এই দলের সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আছেন।

গতি দিয়ে চমকে দিয়েছেন নাহিদ রানা
এএফপি

পেসারদের সাফল্যে তামিম যোগ করেছেন, ‘বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের জন্য এটা অনেক বড় কিছু। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বলে আসছি, পেসাররা ভালো করছে। তাসকিন উইকেট পায়নি, তবে ওর কিন্তু লাইন–লেংথ নিখুঁত ছিল। প্রথম টেস্টের পর আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না, নাহিদ রানা খেলবে কি খেলবে না। শরীফুল চোটে না পড়লে হয়তো আমরা দ্বিতীয় টেস্টে নাহিদ রানাকে দেখতে পেতাম না। ওর নির্ভেজাল গতি পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলেছে। অন্যদিকে হাসান নিজের সীমাবদ্ধতা জানত। ও অন্য কিছু চেষ্টা করেনি, লাইন টু লাইন বোলিং করেছে, তাতে ফলও পেয়েছে।’

আরও পড়ুন