পাওয়ার হিটিংয়ের সূত্র জানালেন মঈন
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই বাংলাদেশে আসছেন মঈন আলী। বাংলাদেশ সফর করেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়েও। বিপিএলেও এখন নিয়মিত। প্রথম খেলেছেন ২০১৩ সালে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে। গত তিন বছর আছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে।
ইংলিশ ক্রিকেটারদের বাংলাদেশের অপরিচিত কন্ডিশনে নিয়মিত খেলার একটা সুবিধা আছে। এ ধরনের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা সহজ হয়ে যায় তখন। বাংলাদেশে নিয়মিত খেলার সুযোগ পেয়ে সেই সুবিধা পেয়েছেন মঈনও।
আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আউটারে কুমিল্লার অনুশীলন শেষে মঈন বললন, ‘বাংলাদেশে আসতে সব সময়ই ভালো লাগে। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে আসছি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও বাংলাদেশ সফর করেছি। কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে এখানে খেলা খুবই কঠিন। তবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলেই হলো। এখানকার ক্রিকেট একটু ভিন্ন ধাঁচের। তরুণদের এই কন্ডিশনে খেলতে আসা উচিত, সেটা তাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনবে। কারণ, বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলা খুবই কঠিন।’
মঈনের অবশ্য কঠিন কন্ডিশনেও বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সুখ্যাতি আছে। আর তাঁর অফ স্পিন তো বরাবরই বাংলাদেশের কন্ডিশনে কার্যকরী। কিন্তু কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনেও পাওয়ার হিটিং কীভাবে করেন মঈন? ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার বললেন, ‘কারও শক্তি বেশি, কেউ খেলে টেকনিক দিয়ে। কখনোবা টাইমিংটা কাজে লাগে। আসলে নির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই। যেটাই হোক, আপনাকে ছক্কা হাঁকানোর প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। আপনার টেকনিক ভিন্ন হতেই পারে, তবে প্র্যাকটিস করতে হবে।’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরেও বেশি বেশি অনুশীলনের কথাই বললেন মঈন, ‘শুধু অনুশীলন। খুব ছোটবেলা থেকে অনুশীলন করি, তখন থেকেই বড় ছক্কা মারার চেষ্টা করতাম। আরও অনেক কিছু চেষ্টা করতাম। শুধু টেকনিক নয়, অনুশীলনও করতে হয়।’
প্রায় মঈনের কৌশলেই পাওয়ার হিটিং করেন বাংলাদেশের তাওহিদ হৃদয়। মঈনের প্রশংসায় ভাসলেন তিনি, ‘হৃদয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। গতবার ওর বিপক্ষে খেলেছি। সেবার বেশি রান না করলেও বুঝতে পেরেছিলাম সে ভালো ক্রিকেটার। খুব বড়সড় মানুষ নয়, কিন্তু অনেক মারতে পারে। সেটা অবশ্যই ভালো টাইমিং এবং টেকনিকের কারণে।’
কুমিল্লার স্পিনারদের মধ্যে তানভীরের নাম আলাদা করে বললেন মঈন, ‘তানভীর অনেক বছর ধরেই ভালো করছে। আমি কুমিল্লার হয়ে যখন খেলা শুরু করেছি, তখন থেকেই ওকে দেখছি।’ আলিস আল ইসলাম এবং রিশাদ হোসেনেরও ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার, ‘আমি তাকে একবারই দেখেছি, স্কিলফুল বোলার। তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। লেগ স্পিনারও (রিশাদ) খুব ভালো। আশা করছি তারা অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। দলে একজন রহস্য স্পিনার থাকার অনেক সুবিধা, আর বাংলাদেশ তো একজন লেগ স্পিনারের জন্য মুখিয়ে আছেই। তবে তাদের আরও সময় দিতে হবে।’