আদালতের রায়ে সৌরভ গাঙ্গুলীর জন্য সুখবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি পদে আরও তিন বছর থাকার পথ খুলে গেল সৌরভ গাঙ্গুলীর। চলতি মাসে তিন বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁর। সৌরভের মতো ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই সচিব পদে থাকতে পারবেন জয় শাহও। আজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে দুজনের আরও তিন বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জট খুলেছে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংস্কারে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত আরএম লোদা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দেশটির ক্রিকেট প্রশাসনে কেউ টানা ছয় বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
সৌরভ ও জয় বিসিসিআইয়ের সভাপতি ও সচিব হন ২০১৯ সালে। এর আগে চার বছর রাজ্য ক্রিকেটের (যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাট) সঙ্গে ছিলেন তাঁরা। ছয় বছর পর বাধ্যতামূলক বিরতির (কুলিং অফ) নির্দেশনা কার্যকর থাকলে ২০২১ সালে মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যায় সৌরভ–জয়ের।
সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে ২০২০ সালের এপ্রিলে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বোর্ডের সংবিধান সংশোধনের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। তবে করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় আবেদনটি দীর্ঘ সময় ঝুলে ছিল।
এরই মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে মেয়াদও পূর্ণ হয়ে যায় সৌরভ–জয়ের। আদালতের রায় এলে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হতে পারে—এমন শঙ্কা নিয়েই এক বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাঁরা।
তবে বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচুড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ আজ স্বস্তির খবর দিয়েছে সৌরভদের। নির্ধারিত সময় শেষে বাধ্যতামূলক বিরতির ধারায় সংশোধনী আনার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন প্রশাসক রাজ্য সংস্থায় ছয় বছরের পর বোর্ডেও ছয় বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন। বাধ্যতামূলক বিরতি কার্যকর হবে ১২ বছর পর। যার অর্থ, ২০১৯ সালে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়া সৌরভের ২০২৫ সাল পর্যন্ত একই দায়িত্বে থাকায় কোনো বাধা নেই।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফের তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পেতে রাজ্য সংস্থাগুলোর অনুমোদন লাগবে সৌরভ ও জয়ের। চলতি মাসের শেষ দিকে বিসিসিআইয়ের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষার কারণে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।