২০৮ রান করেও ওয়েড-গ্রিনদের কাছে ভারতের হার
২০৯ রানের লক্ষ্যটাকে বেশ বড়ই বলতে হয়। তবে মোহালিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ভারতের এই লক্ষ্যও অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারল না। শুরুতে ক্যামেরন গ্রিন এবং শেষ দিকে ম্যাথু ওয়েডের ঝড়ে হেরেই গেল ভারত। এশিয়া কাপের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হলো রোহিত শর্মার দল। গ্রিনের ৩০ বলে ৬১, ওয়েডের ২১ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৪ বল ও ৪ উইকেট বাকি রেখেই।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ায় ১৮তম ওভারে ওয়েডের ফিরতি ক্যাচ হার্শাল প্যাটেল হাতছাড়া না করলে ফলটা ভিন্নও হতে পারত। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন ওয়েড। আর গ্রিন ও ওয়েডের দারুণ ব্যাটিংয়ের কাছে ম্লান হয়ে গেছে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩০ বলে ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটিও।
রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে ঝোড়ো শুরু এনে দেন অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্রিন। ৩.৩ ওভারে দলীয় ৩৯ রানে ফিঞ্চের বিদায়ে ভাঙে জুটি। অক্ষর প্যাটেলের বলে ফেরার আগে ১৩ বলে ২২ রান করেন ফিঞ্চ। তবে অস্ট্রেলিয়ার রানের পারদকে ঊর্ধ্বগামী রাখেন গ্রিন ও স্টিভেন স্মিথ। ১০ম ওভারেই দলের রান এক শ পার করান এ দুজন। দলীয় ১০৯ রানে গ্রিনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩০ বলে ৬১ রান করা গ্রিনকেও ফেরান অক্ষর।
সঙ্গী হারিয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি স্মিথও। ২৪ বলে ৩৫ রান করা স্মিথকে ফেরান উমেশ যাদব। একই ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলেন উমেশ যাদব। মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুই ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই ক্যাচের আবেদনে শুরুতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়েই এ দুজনকে ফেরায় ভারত। জশ ইংলিসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০ বলে ১৭ রান করা ইংলিসকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান অক্ষর। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ১৪৫। শেষ ১৮ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। তবে এই সমীকরণ সহজেই মিলিয়ে দেন ওয়েড–টিম ডেভিডের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আলোচিত অভিষেকের দিনে ডেভিড ১৮ রান করেন ১৪ বলে।
মোহালিতে এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ৩৫ রানের মধ্যে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। দলীয় ২১ রানের মাথায় রোহিতকে ফেরান জশ হ্যাজলউড। এশিয়া কাপ দিয়ে ছন্দে ফেরা কোহলি আজ ফেরেন উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই। নাথান এলিস প্রথম ওভারেই গ্রিনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি (২)। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে অবশ্য পথ হারায়নি ভারত।
দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব। ৪২ বলে ৬৮ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এ দুজন। ১২তম ওভারে ১০০ রানের কোটা পার করে ভারত। সেই ওভারেই অবশ্য রাহুলের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন রাহুল। দলীয় ১২৬ রানে ফিরে যান সূর্যকুমারও। ২৫ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান।
এর মধ্যে উইকেটে এসে এক প্রান্তে ঝড় তোলেন পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন এ অলরাউন্ডার। ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করা পান্ডিয়া অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। এলিস ৩ উইকেট নেন ৩০ রান দিয়ে, শেষ ৮ ওভারে ভারত তোলে ১০৫ রান। তবে গ্রিনের পর ওয়েডের ঝড়ে যথেষ্ট হয়নি সেটি।