পরের সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকেই আসতে বলবেন নুরুল
দল জিতেছে, তবে সে জয়ে সাকিব আল হাসানের সরাসরি অবদান নেই বললেই চলে। চোখের সমস্যার কারণে ব্যাটিং থেকে তো পুরোপুরিই দূরে আছেন। কিন্তু আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসানের সংবাদ সম্মেলনে বেশির ভাগ প্রশ্নই হলো সাকিবকেন্দ্রিক। তাতে কিছুটা যেন বিরক্তই মনে হলো নুরুলকে।
তার চোখে যে সমস্যাটা হচ্ছে, ওটার আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। ইনশা আল্লাহ টুর্নামেন্টের শেষ দিকে সাকিব ভাইকে আমরা পুরোদমে ব্যাটিংয়ে দেখতে পাব।
তবে বিরক্তিটা সেভাবে না প্রকাশ করে তিনি শুধু এটুকুই বললেন, ‘আমার মনে হয়, পরের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব ভাইকে আমি অনুরোধ করব তিনিই যেন আসেন। কারণ, আপনাদের অনেক প্রশ্ন আছে, সেগুলোর উত্তর যেন তিনি দিতে পারেন।’
সাকিবকে ঘিরে কৌতূহল থাকাটাই স্বাভাবিক। চোখের সমস্যার কারণে তিনি মূলত বোলারের ভূমিকায়ই খেলছেন রংপুরের হয়ে। আজও রংপুর রাইডার্সের ইনিংসে তাঁকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তবে বোলিংটা করেছেন। আজ ৪ ওভারে ৪১ রানে নিয়েছেন ১টি উইকেটও। কুমিল্লার বিপক্ষে ৮ রানে জেতা ম্যাচে তিনিই অবশ্য রংপুরের সবচেয়ে খরুচে বোলার। কুমিল্লার ইনিংসের শেষ ওভারেই দিয়েছেন ২০ রান, আর ৯ রান হলে ম্যাচটা জিতে যেত কুমিল্লাই।
সাকিব আপাতত শুধু বোলিং করলেও ব্যাটিং থেকে সাময়িক এই বিরতিতে তাঁর অলরাউন্ডার পরিচয় মুছে যাবে না স্বাভাবিক। নুরুলও বললেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, সাকিব ভাই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। তিনি এখনো অলরাউন্ডার। চোখের সমস্যার কারণে হয়তো একটু ভুগছেন। তবে আমার মনে হয়, আমাদের দলের জন্য তাঁর মাঠে উপস্থিত থাকাটাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
আজ ম্যাচের অবস্থা একটু অন্য রকম হলে সাকিবকে টপ অর্ডারেও দেখা যেতে পারত। প্যাড, হেলমেট পরে শুরুর দিকেই ডাগআউটে এসেছিলেন তিনি। তবে সে ক্ষেত্রে সাকিবের দায়িত্ব হতো ক্রিজে টিকে থেকে জুটি গড়ার কাজে সহায়তা করা। মাঝের ওভারে ফজলে রাব্বি ও শামীম হোসেন টিকে যাওয়ায় তার আর দরকার হয়নি বলে জানিয়েছেন নুরুল, ‘দলের পরিকল্পনা ছিল, যদি দ্রুত উইকেট পড়ে যায়, তাহলে হয়তো সাকিব ভাই নামতেন ব্যাটিংয়ে। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের জন্যই পরিকল্পনাটা করা হয়েছিল।’
সব ঠিক থাকলে আপাতত শুধু বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ সাকিবকে পুরোদমে ব্যাটিংয়ে ফিরতে দেখা যাবে বিপিএলের শেষাংশে। রংপুর অধিনায়ক নুরুল সেটা জানিয়ে বললেন, ‘সাকিব ভাই অনুশীলন করছেন। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও নিজে নিজে ব্যাটিং অনুশীলন করছেন। সেখান থেকে আত্মবিশ্বাসটা পাচ্ছেন। তার চোখে যে সমস্যাটা হচ্ছে, ওটার আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। ইনশা আল্লাহ টুর্নামেন্টের শেষ দিকে সাকিব ভাইকে আমরা পুরোদমে ব্যাটিংয়ে দেখতে পাব।’