দয়ালান হেমলতা, রিচা ঘোষের সঙ্গে অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ঝোড়ো ইনিংসে বৃষ্টিবিঘ্নিত মেয়েদের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ১৪ ওভারে ১২২ রান তুলেছে ভারত। জয়ের জন্য ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২৫ রান। প্রথম ৩ ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ভারত।
সিলেটে গতকাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে একটু পরপর, আজ ম্যাচ শুরুর আগেও ছিল সেটি। বৃষ্টির পর ভেজা মাঠের কারণে ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ, তখন পর্যন্ত সেটি ২০ ওভারেরই ছিল। টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। সফরকারীদের ইনিংসের ৫.৫ ওভার পর আবার বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা, তাতে ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভারে।
টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছিলেন, বোলারদের এমন কন্ডিশনে সুযোগ করে দিতে চান তিনি। অন্যদিকে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত বলেছিলেন, ব্যাটারদের সুযোগ করে দিতে টসে জিতলে তিনি ব্যাটিং-ই নিতেন। অন্তত প্রথম ইনিংস পর হাসিটা চওড়া থাকার কথা হারমানপ্রীতেরই। বড় স্কোর গড়তে চেয়েছিলেন, দলকে সামনে থেকেই তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দ্বিতীয় ওভারে শরীফা খাতুনের বলে আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় শেফালি বর্মা ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন দয়ালান হেমলতা। মারেন ২টি করে চার ও ছক্কা। মারুফাকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারার পরের বলে অবশ্য ইনসুইং মিস করে হন এলবিডব্লু।
বৃষ্টি-বিরতির পর দ্রুত রান তোলার দিকেই মনযোগ দেন ভারত ব্যাটাররা। সেটি করতে গিয়েই বোল্ড হন সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা, নতুন বোলার রাবেয়া খানকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। রিচা ঘোষ ও হারমানপ্রীতের ২৮ বলে ৪৪ রানের জুটিতে গতি ধরে রাখে ভারত। ১৫ বলে ২৪ রান করে রাবেয়ার দ্বিতীয় শিকার রিচা, তিনি ক্যাচ তোলেন লং অফে।
শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে হারমানপ্রীত করেন ২৬ বলে ৩৯ রান। শেষ বলে সজীবন সাজনার উইকেটও নেন মারুফা। অভিষিক্ত ১৪ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ২ ওভারে ২০ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত নারী দল: ১৪ ওভারে ১২২/৬ (হারমানপ্রীত ৩৯, রিচা ২৪, হেমলতা ২২; মারুফা ২/২৪, রাবেয়া ২/২৮, শরীফা ১/২৯)