চার সেঞ্চুরির আশা করেছিলেন সিডন্স
কন্ডিশন ছিল ব্যাটিং–সহায়ক। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বোলিংকেও মনে হচ্ছিল নির্বিষ। এই দুই মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের কাছে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের প্রত্যাশাও ছিল বেশি। এতটাই যে তিনি মনে করেন, আজ বাংলাদেশ দলের চারজন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। আসলে কী হয়েছে? সেঞ্চুরি করেছেন শুধুই মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ অবশ্য মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন এগিয়ে থেকেই শেষ করেছে। ১২৮ রানে পিছিয়ে থাকা আইরিশদের ৪ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশ দল এখন জয়ের স্বপ্নই দেখছে। তবে সিডন্সের প্রত্যাশা ছিল আরও নিখুঁত পারফরম্যান্স। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই আক্ষেপের কথাই বলে গেলেন সিডন্স।
সিডন্সের যুক্তি, ‘আজ অনেক আক্রমণাত্মক খেলেছি। কিছু বাজে বলও পেয়েছি। ছেলেরাও বাজে বলের সুবিধা নিয়েছে। যে কারণে রানও এসেছে দ্রুত। আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, তাতে আমি খুশি। চার ক্রিকেটার, এক সেঞ্চুরি, হয়তো চারজনেরই সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। মিরাজের সঙ্গে যদি কেউ টিকে থাকত, তাহলে হয়তো হতো। শেষ সেশনে ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছি। এটাই হয়তো দিনের সবচেয়ে বাজে দিক। লিটন ও সাকিবও সেঞ্চুরি পেতে পারত।’
মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৬ রান। এ ছাড়া সেঞ্চুরির খুব কাছে এসে আউট হয়েছেন সাকিব। করেছেন ৮৭ রান। লিটন হাফ সেঞ্চুরিও পাননি। তবে তাঁর ৪১ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি পূর্বাভাস দিয়েছিল বড় কিছুর। দুজনই আউট হয়েছেন মেরে খেলার চেষ্টায়। মিরাজ অবশ্য মুশফিকের মতোই রয়েসয়ে খেলছিলেন। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তাঁর ইনিংস দীর্ঘ হয়নি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের রানটাও ৪০০–এর ওপর যেতে পারত বলে মনে করেন সিডন্স। অন্তত দুজন সেঞ্চুরি করলেই যা হয়ে যেত, ‘আরও তিনজন সেঞ্চুরি করতে পারত, অন্তত দুইজন। সাকিব ও লিটনের উচিত ছিল ম্যাচটাকে ছিনিয়ে নেওয়া। তবে দিন শেষে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট নিয়েছি, এটা আমাদের ভালো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।’
বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকের প্রশংসা তো করবেনই। তা করলেনও সিডন্স, ‘সে দারুণ খেলেছে। শুরুতে আমরা কিছুটা বিপদে ছিলাম। মুশি সাধারণত বিপদেই ভালো করে। এক প্রান্ত ধরে রাখে, বড় রান করে। যখন প্রয়োজন মনে করেছে, আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও করেছে। বাজে বল মারতে ছাড়েনি। বল ছাড়ার ক্ষেত্রে খুবই নিয়ন্ত্রিত ছিল, ডিফেন্স ভালো ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের এটাই দরকার।’
তবে ‘দিনের সেরা ব্যাটসম্যান’–এর খেতাবটা সাকিবকেই দিয়েছেন সিডন্স। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও সেটা সিডন্সের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না, ‘সে দ্রুত রান করেছে। কিন্তু বাতাসে বল মারেনি। তাকে দিনের সেরা ব্যাটসম্যান বলতে হবে। আমরা দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েছি, কিন্তু সে এক প্রান্ত ধরে রেখেছে। বড় জুটি গড়ে আমাদের দারুণ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।’