- টস
- হাসানের জায়গায় নাসুম
- কুলদীপ-শাহবাজের জায়গায় অক্ষর-উমরান
- ঘটনাবহুল ওভারে ফিরলেন এনামুল
- বোল্ড লিটন
- হাসপাতালে রোহিত
- উমরান ইজ হেয়ার
- ফিরলেন সাকিবও
- চলছে আউটের মিছিল
- ফিফটি জুটি
- মিরাজের ফিফটি
- ১০০ রানের জুটি
- এবার মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
- বাংলাদেশের ২০০
- থামলেন মাহমুদউল্লাহ
- মাহমুদউল্লাহ-মিরাজের ১৪৮ রানের জুটি সপ্তম উইকেটে এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ভারতের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ
- মিরাজের ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ
- মিরাজের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশ ২৭১/৭
- দুর্দান্ত মিরাজ, দারুণ অবস্থানে বাংলাদেশ
- আট বা এর নিচে নেমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস
- আট বছর পর ওপেনিংয়ে কোহলি
- ইবাদতের বলে বোল্ড কোহলি
- ধাওয়ানকে হারালো ভারত
- এবার সাকিবের উইকেট
- সতর্ক শ্রেয়াস-রাহুল
- ভারতকে জিততে গড়তে হবে নতুন রেকর্ড
- রাহুলকে ফেরালেন মিরাজ
- স্টাম্প ভেঙে দুই নো মিরাজের
- শ্রেয়াসের ফিফটি
- শ্রেয়াসকে থামালেন মিরাজ
- অক্ষরের ফিফটি
- ইবাদত পেলেন অক্ষরের উইকেট
- ভারতের ২০০
- শার্দুলকে ফেরালেন সাকিব, ব্যাটিংয়ে রোহিত শর্মা
- সাকিব ২/৩৯
- চাহারকে ফেরালেন ইবাদত
- ওভারশেষ না করে উঠে গেলেন মিরাজ
- মোস্তাফিজের মেডেন
- ৪৯তম ওভারে ২০ রান, রোহিতের দুই জীবন
- ৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
- নয়ে নামা রোহিত-শঙ্কা কাটিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
টস
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। গত ম্যাচে আগে ফিল্ডিং করলেও এবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। খেলা হচ্ছে নতুন উইকেটে।
হাসানের জায়গায় নাসুম
একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। পেসার হাসান মাহমুদের জায়গায় খেলানো হচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। ফলে দুই পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
কুলদীপ-শাহবাজের জায়গায় অক্ষর-উমরান
দুটি পরিবর্তন এনেছে ভারত। দলে এসেছেন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল ও ফাস্ট বোলার উমরান মালিক। তাঁদের জায়গা করে দিয়েছেন কুলদীপ সেন ও শাহবাজ আহমেদ।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর প্যাটেল, শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার, মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক।
আপনার মত দিন
ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গে এনামুল
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল এখন পর্যন্ত ১৪ ওয়ানডেতে ১৩.৫০ গড়ে ব্যাটিং করা নাজমুল হোসেনের দলে জায়গা নিয়ে। রাসেল ডমিঙ্গো যে যুক্তিগুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তার মধ্যে একটি ছিল ওপেনিংয়ে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন ধরে রাখার ব্যাপারে। তবে আজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে এসেছেন দুই ডানহাতি লিটন দাস ও এনামুল হক।
প্রথম ওভারে দীপক চাহার পেয়েছেন মুভমেন্টের দেখা। এসেছে একটি সিঙ্গেল।
ঘটনাবহুল ওভারে ফিরলেন এনামুল
মাঠের বড় পর্দায় বল ট্র্যাকিং দেখানোর আগেই হাঁটা দিলেন এনামুল। তাহলে কেন রিভিউটি নিয়েছিলেন, সে প্রশ্নটা বড় হয় আরও। ঘটনাবহুল ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন বাংলাদেশ ওপেনার।
মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম দুই বলে চার মেরেছিলেন এনামুল—ফ্লিক ও কাভার ড্রাইভে। পরের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন, তবে সহজ ক্যাচটি ফেলে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুধু ক্যাচ ফেলেননি, আঙুলে চোটও পেয়েছেন সেটি নিতে গিয়ে, সঙ্গে সঙ্গে উঠেই গেছেন। ঠিক পরের বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ভেতরের দিকে ঢুকছিল, এনামুলের ব্যাট সেটির নাগাল পায়নি। আম্পায়ার মাইকেল গফ এলবিডব্লিউ দিতে সময় নেননি। খোলা চোখে যেটিতে আউট মনে হচ্ছিল, এনামুল তাতেই করেছেন রিভিউ। তবে স্লো মোশন রিপ্লে দেখার পরই ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা দেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে দ্বিতীয় ওভারে, ১১ রানে।
বোল্ড লিটন
বড়সড় ড্রাইভের চেষ্টায় নিজের বিপদ ডেকে আনলেন লিটন দাস। মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড বাংলাদেশ অধিনায়ক। শুরুতে একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন, এরপর আর সুবিধা করতে পারেননি। নাজমুলের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ২৮ রান। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৩৯ রানে। সিরাজের এটি দ্বিতীয় উইকেট।
প্রথম পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৪ রান।
হাসপাতালে রোহিত
দ্বিতীয় ওভারে এনামুল হকের ক্যাচ নিতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিসিসিআই জানিয়েছে, বৃদ্ধাঙ্গুলিতে স্ক্যান করাতে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। জানা গেছে, রোহিতকে নেওয়া হয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতালে।
উমরান ইজ হেয়ার
ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতির গোলাটা সামলাতে পারলেন না নাজমুল। মিরপুরে নিজের উপস্থিতি প্রথম ওভারেই সাকিব আল হাসানকে দুবার আঘাত করে জানান দিয়েছিলেন উমরান মালিক। এবার পেলেন সাফল্যও। দারুণ টাইমিংয়ে তিনটি চার মারা নাজমুলকে থামতে হলো এখানেই, ৩৫ বলে ২১ রান করে। ৫২ রান তুলতে তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
উমরান মালিকের বল আঘাত করেছিল সাকিবের হেলমেটে। ছুটে এসেছিলেন ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। সাকিব অবশ্য ঠিকঠাকই আছেন। এর আগে একটি বল ডাক করতে গিয়ে পাঁজরে আঘাত পেয়েছিলেন সাকিব।
ফিরলেন সাকিবও
ওয়াশিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছিলেন সাকিব। উইকেটের পেছনে আরেকটু হলেই সংঘর্ষ হয়ে যেত শিখর ধাওয়ান ও মোহাম্মদ সিরাজের। সেটি হয়নি, সাকিবকে ফিরতে হয়েছে ২০ বলে ৮ রান করে। ৬৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
চলছে আউটের মিছিল
সাকিব ফেরার পর ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম আর আফিফ হোসেনও। ওয়াশিংটন সুন্দরের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মুশফিক সামনে এসে ব্লক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বলটি তাঁর গ্লাভসে লেগে স্লিপে চলে যায় শিখর ধাওয়ানের কাছে। আম্পায়ার আউট দেননি, ভারত উইকেটটি পেয়েছে রিভিউ নিয়ে।
পরের বলেই ফিরলেন আফিফ হোসেন। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন এ বাঁহাতি। বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৬৯।
বাউন্ডারি মারলেন মেহেদী হাসান মিরাজ
ওয়াশিয়টন সুন্দরের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন মিরাজ। বেশ অনেকক্ষণ পর বাউন্ডারি পেল বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর বাউন্ডারি
মোহাম্মদ সিরাজের বলে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি মারলেন মাহমুদউল্লাহ। উমরান মালিক একটু ওপরের দিকে ছিলেন। তিনি বলের নাগাল পাননি। ২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৯৩।
এখন পর্যন্ত যে দৃশ্যটা নিয়মিত বাংলাদেশ ইনিংসে
মিরাজের ছক্কা
সুন্দরের গুডলেংথের বলে এগিয়ে এসে তুলে মেরেছেন মিরাজ, টাইমিং ছিল ভালোই। লং অনে শার্দুল ঠাকুর নাগাল পাননি। মিরাজের ব্যাটেই বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ছয়। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিরাজের জুটিতে উঠেছে ৪৬ রান। শেষ স্বীকৃত জুটিতে নিশ্চিতভাবেই অনেকটা পথ পাড়ি দিতে চাইবে বাংলাদেশ।
ফিফটি জুটি
মুশফিক ও আফিফ পরপর ২ বলে ফেরার পর খাদের কিনারে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ। দুজনের জুটি পেরিয়েছে ৫০ রান। ৩১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত মিরাজ, ৩৭ বলে ২৬ রানে ব্যাটীং করছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০ ওভার বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ১২৪ রান বাংলাদেশ। এখান থেকে কতদূর যেতে পারবে তারা?
মিরাজের ফিফটি
আরেকটি ম্যাচ, মিরাজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। এবার ফিফটি পেলেন তিনি। উমরান মালিকের বলে ফ্লিক করে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করলেন মিরাজ।
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোয় পেয়েছিলেন প্রথম ফিফটি। পরেরটি এসেছিল এ বছর, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৬ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খেলেছিলেন অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস।
১০০ রানের জুটি
মিরাজের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটি পেরিয়েছে ১০০। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ শত রানের জুটি। এর আগে আফিফের সঙ্গে একটি শত রানের জুটির অংশ ছিলেন মিরাজ, এ বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
এবার মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
মিরাজের পর ফিফটি পেলেন মাহমুদউল্লাহ। সিরাজের শর্ট বলে লেগ সাইডে খেলে নেওয়া সিঙ্গেলে ৫০-এ পৌঁছে গেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর এটি ২৭তম ফিফটি, সেঞ্চুরি আছে ৩টি।
গমগম করছে শেরেবাংলা
সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি
বাংলাদেশের ২০০
৪৫তম ওভারে ২০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ, দুজনই ব্যাটিং করছেন ৬৫ রানে।
সিরাজের ওভারে ১৪ রান
ফুলটসে নো, ফ্রি হিটে মিড অন দিয়ে চার। ১ বল পর লং অন ও মিডউইকেটের মাঝ দিয়ে আরেকটি চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ২১৭ রান, ২৫০-এর পথে ছুটছে তারা।
থামলেন মাহমুদউল্লাহ
মাহমুদউল্লাহকে ফেরাতে এমন দারুণ কিছুরই দরকার ছিল ভারতের, সেটি করে দেখালেন লোকেশ রাহুল। উমরানের বলে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। মিরাজের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটি থামল ১৪৮ রানেই, মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন ৯৬ বলে ৭৭ রান করে।
মাহমুদউল্লাহ-মিরাজের ১৪৮ রানের জুটি সপ্তম উইকেটে এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ভারতের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ
নাসুম!
প্রথমে নাসুমের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ডাইভ দিতে হয়েছিল মিরাজকে। তাতেই চোট পেয়েছিলেন, এরপর দ্বারস্থ হতে হয়েছে ফিজিওর।
হয়তো তার চেয়েও বড় খবর—নাসুমের ব্যাটিং! নেমেই উমরান মালিককে টেনে দুটি চার মেরেছিলেন জায়গা বানিয়ে। এবার সিরাজকে টেনে লং অফের ওপরে দিয়ে মারলেন ছক্কা! ৭ উইকেটে ২৪১ রান বাংলাদেশের, বাকি ২ ওভার।
ক্রিকেট!
গ্রিপটা তখন একটু নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল মিরাজের। এগিয়ে এলেন বিরাট কোহলি।
মিরাজের ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ
মিড অফ ও এক্সট্রা কাভারের মাঝ দিইয়ে, এরপর এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দুটি চার। প্রথম দুটি শটে দুর্দান্ত টাইমিং আর প্লেসমেন্ট। এরপর মিরাজ খেললেন উদ্ভাবনী এক শট। স্কুপ করতে গিয়েছিলেন, তাঁকে অনুসরণ করেছিলেন উমরান। মিরাজ এরপর করলেন রিভার্স স্কুপ। তাতে পেলেন ওভারের তৃতীয় চার। ওই শটেই ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংস হয়ে গেল মিরাজের, এর আগে তাঁর সর্বোচ্চ হিল অপরাজিত ৮১ রান। ১ ওভার বাকি থাকতে এখন ৮৫ রানে অপরাজিত তিনি, বাংলাদেশ তুলে ফেলেছে ৭ উইকেটে ২৫৫ রান।
মিরাজের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশ ২৭১/৭
৮৫ রান নিয়ে শেষ ওভার শুরু করেছিলেন মিরাজ। শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারলেন ছক্কা। নাকল বল ছিল, তবে টাইমিং করতে সমস্যা হয়নি কোনো। পরের বলটি ছিল ডট। এরপরের বলে মিরাজ যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন আরেকবার, বল পাঠালানের মিডউইকেটের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে। পরের বলে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছিলেন, বাউন্ডারি না হলেও পেয়েছেন ডাবলস। শেষ বলে ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিরাজ, শেষ বলে সিঙ্গেল নিলেন, এরপর মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে উদ্যাপন করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটিও মাত্র ৮৩ বলেই। উল্লাসে ফেটে পড়ল মিরপুরের গ্যালারি।
মেহেদী হাসান মিরাজ, টেক আ বাউ!
দুর্দান্ত মিরাজ, দারুণ অবস্থানে বাংলাদেশ
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লিটন দাস। এক সময় বাংলাদেশ পরিণত হলো ৬৯ রানে ৬ উইকেটে। সেখান থেকেই ৫০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৭ উইকেটে ২৭১ রান!
মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৯৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। সপ্তম উইকেটে তিনি অংশ ছিলেন ১৪৮ রানের জুটির। তবে আবারও শিরোনামে একটিই নাম—মেহেদী হাসান মিরাজ। চাপের মুখে মিরাজ খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস, পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। পরিস্থিতি বিবেচনায় যেটি হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা এক ইনিংস। ৮৩ বলে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছক্কা।
আট বা এর নিচে নেমে এর আগে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পাননি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। এর আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটিও ছিল মিরাজের, অপরাজিত ৮১ রানের। আজ সেটিকে নিজেই ছাপিয়ে গেলেন তিনি।
এত নিচে নেমে ওয়ানডে ইতিহাসেই সেঞ্চুরি আছে আর মাত্র একটি। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের সিমি সিং।
শেষ ৫ ওভারে আজ বাংলাদেশ তুলেছে ৬৮ রান!
আট বা এর নিচে নেমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস
আট বছর পর ওপেনিংয়ে কোহলি
ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিরাজকে বোলিংয়ে এনেছেন লিটন। প্রথম বলেই ফ্লিক করে চার মেরেছেন বিরাট কোহলি। আঙুলে চোট পেয়ে উঠে যাওয়া রোহিত শর্মা উঠে গেছেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই, নামেননি আর। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে এসেছেন কোহলিই। ক্যারিয়ে এ নিয়ে অষ্টম বার ওয়ানডেতে ইনিংস ওপেন করতে এলেন তিনি। সর্বশেষ নেমেছিলেন ২০১৪ সালে, হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ইবাদতের বলে বোল্ড কোহলি
আরেকটু হলেই মাঠের বাইরে চলে যেতেন ইবাদত। উদ্যাপন করতে করতে প্রায় ড্রেসিংরুমের সামনে চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ পেসার! উইকেটটা বিরাট কোহলির, সেটিও বোল্ড! ইবাদতের উদ্যাপন তো অমন হবেই! শর্ট লেংথের বলটা পুল করতে গিয়ে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন কোহলি। সেটিও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই।
রিভিউ হারালো বাংলাদেশ
মোস্তাফিজুর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা ছেড়ে দিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান, তবে বল লেগেছিল প্যাডে। আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের দেওয়া নট আউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন লিটন, তবে লাভ হলো না। ইমপ্যাক্ট বিবেচনার বাইরে, তবে স্টাম্পে লাগার মতো যথেষ্ট মুভমেন্ট ছিল না মোস্তাফিজের বলে।
ধাওয়ানকে হারালো ভারত
মোস্তাফিজের স্লো বাউন্সারে ভড়কে গেলেন ধাওয়ান, ক্যাচ উঠল পয়েন্টে। নিলেন কে? মিরাজ! নিজের প্রথম ওভারে সফল মোস্তাফিজও, ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ভারত হারাল দ্বিতীয় উইকেট।
ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান
হার্শা ভোগলে বলছেন, এ দুটি ইনিংস বদলে দিতে পারে মিরাজের ক্যারিয়ার
এবার সাকিবের উইকেট
ইবাদত হোসেন, প্রথম ওভারে উইকেট।
মোস্তাফিজুর রহমান, প্রথম ওভারে উইকেট।
সাকিব আল হাসান, প্রথম ওভারে উইকেট।
এসেই ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফেরালেন সাকিব। লেগ সাইডে ঘুরেইয়ে খেলতে চেয়েছিলেন চারে আসা ওয়াশিংটন, তবে সাকিবের ধীরগতির বলে বোকা বনেছেন। সহজ ক্যাচ গেছে শর্ট মিডউইকেটে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটনের কাছে। ৩৯ রানে ভারত হারিয়েছে তৃতীয় উইকেট, মিরপুরে তাদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ।
সতর্ক শ্রেয়াস-রাহুল
৩৯ রানে ৩ উইকেট নেই, রোহিত শর্মা ব্যাটিংয়ে অনিশ্চিত। ভারতের এ ম্যাচে টিকে থাকার আশা অনেকটাই নির্ভর করছে লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ারের এ জুটির ওপর। এখন পর্যন্ত বেশ সতর্কই দুজন, ৭ ওভারে তাঁদের জুটিতে উঠেছে ২১ রান। ১৭ ওভারে ভারতের স্কোর ৬০ রান। প্রয়োজনীয় রান রেট ৬-এর ওপরে উঠে গেছে।
ভারতকে জিততে গড়তে হবে নতুন রেকর্ড
ভারত আজ তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ৩৯ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়ায় ৩৯ বা এর কম রানে ৩ বা এর বেশি উইকেট হারানোর পর এর আগে কখনোই জেতেনি ভারত। ইতিহাসই তাই বিপক্ষেই তাদের।
রাহুলকে ফেরালেন মিরাজ
এ মাঠটা মিরাজের, এ সিরিজটা মিরাজের। বাকি সবাই তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন যেন।
এবার বোলিংয়ে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দিলেন তিনি। নিচু হওয়া বলটা আড়াআড়ি খেলতে গিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল, তবে নাগাল পায়নি তাঁর ব্যাট। প্যাডে আঘাত করার পর রাহুল নিজেও জানতেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে। আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের আউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করারও দরকার মনে করেননি। ভারতকে আরেকটু ডোবালেন মিরাজ, ১৯তম ওভারে সফরকারীরা হারালো চতুর্থ উইকেট।
স্টাম্প ভেঙে দুই নো মিরাজের
ইংল্যান্ড পেসার স্টিভেন ফিনকে মনে করিয়ে ৩ বলের মধ্যে দুটি নো করলেন মিরাজ। স্টাম্পের বেশ কাছ থেকে বল করছিলেন, দুবার তাঁর পা লেগে ভেঙেছে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। এর মধ্যে প্রথম ফ্রি হিটে ওয়াশিংটন সুন্দর একটি সিঙ্গেল নিলেও পরেরটিতে চার মেরেছেন শ্রেয়াস।
ফিনের এক সময় এ অভ্যাস নিয়মিত ছিল, বল করতে গিয়ে ডেলিভারি স্ট্রাইডের মাঝে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙা। আইসিসি এরপর নিয়ম বদল করে, এখন বোলার বল করার সময় নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙলে সেটি নো।
শ্রেয়াসের ফিফটি
মোস্তাফিজের শর্ট বলে পুল করে সিঙ্গেল, শ্রেয়াসের ফিফটি হয়ে গেল তাতেই। ম্যাচের পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তবে শ্রেয়াস জানেন, এখনো সামনে দীর্ঘ পথ। ১১৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছে ভারত, যদিও এ সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৯৬ রান। শেষ ২৫ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ১৫৫ রান, বাকি ৪ উইকেট।
সেমিফাইনালে বাংলাদেশ?
২০২০ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৮টি ওয়ানডে খেলে ২০টি জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৮টিতে। ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজটি বাদ দিলে নয়টির মধ্যে জিতেছে সাতটিতেই। পরের বছর হতে যাওয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাংলাদেশকে দেখছেন গত বছর সিএমজের বর্ষসেরা তরুণ ক্রিকেট সাংবাদিক ম্যাট রোলার।
শ্রেয়াসকে থামালেন মিরাজ
চুপ হয়ে ছিল শেরেবাংলা। সেটিই গর্জে উঠল। শ্রেয়াস আইয়ারকে ফেরালেন… মিরাজ! এ ওভারেই একটি ছয় মেরেছিলেন শ্রেয়াস, আবার তুলে মারতে গিয়েছিলেন ক্রিজের একটু বাইরে এসে। তবে যেভাবে চেয়েছিলেন, টাইমিংটা সেভাবে হয়নি। ডিপ মিডউইকেটে ভুল করেননি আফিফ হোসেন। শ্রেয়াস থেমেছেন ৮২ রান করেই। ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ১০১ বলে ১০৭ রান।
অক্ষরের ফিফটি
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছিলেন না, ফিরেই ফিফটির দেখা পেলেন অক্ষর প্যাটেল। ৫০ বলেই মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন তিনি। শ্রেয়াস ফেরার পর দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে, পারবেন তিনি?
ইবাদত পেলেন অক্ষরের উইকেট
শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেলের জুটি চোখ রাঙাচ্ছিল বাংলাদেশকে। মিরাজ শ্রেয়াসকে ফিরিয়েছিলেন, এবার ইবাদতের বলে ক্যাচ দিলেন অক্ষর। শর্ট লেংথের বলে আগেভাগেই শট খেলে ফেলে কাভারে ক্যাচ তুলেছেন অক্ষর, ৫৬ বলে ৫৬ রান করে।
আগের ওভারে মেডেন করেছিলেন সাকিব। ইবাদত এসে দিলেন ব্রেকথ্রু।
ভারত ১৮৯/৬, ৩৮.২ ওভার।
ভারতের ২০০
৪২তম ওভারের চতুর্থ বলে মোস্তাফিজকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন দীপক চাহার। সে শটে ২০০ পেরিয়ে গেছে ভারত। শেষ ৪৮ বলে ভারতের প্রয়োজন ৬৮ রান।
শার্দুলকে ফেরালেন সাকিব, ব্যাটিংয়ে রোহিত শর্মা
সাকিবকে সামনে এসে খেলতে গিয়ে টার্ন আর বাউন্স—দুটিতেই পরাস্ত হলেন শার্দুল ঠাকুর। পৃথিবীর সব সময় নিয়ে স্টাম্পিং করেছেন মুশফিকুর রহিম। এবং, ব্যাটিংয়ে এসেছেন রোহিত শর্মা। ৪৪ বলে ভারতের প্রয়োজন ৬৫ রান।
ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলে চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন রোহিত। ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ব্যান্ডেজ আছে তাঁর।
২৩৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম এত নিচে নামলেন ভারত অধিনায়ক।
সাকিব ২/৩৯
৪৫তম ওভারে নিজের শেষটি করলেন সাকিব।
নাসুমের ওভার আগেই শেষ। ইবাদতের বাকি ১টি, মোস্তাফিজ করতে পারবেন ২ ওভার। মানে বাকি ২ ওভার মিরাজ ও/বা মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে করাতে হবে লিটনকে।
চাহারকে ফেরালেন ইবাদত
রোহিত চোটগ্রস্ত আঙুল নিয়ে বড় শট খেলার মতো অবস্থায় আপাতত নেই বলেই মনে হচ্ছে। সে চেষ্টা করতে হতো দীপক চাহারকেই। তা করতে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন চাহার, ইবাদতের শর্ট বলে মিডউইকেটে। অষ্টম উইকেট হারিয়েছে ভারত।
ইবাদতের ৪ বলে রোহিত তুলেছেন ১৬ রান। মিডউইকেট দিয়ে পুল করে দুটি ছক্কার পর কাভার ড্রাইভে মেরেছেন চার। ২৪ বলে ভারতের প্রয়োজন ৪১ রান।
ওভারশেষ না করে উঠে গেলেন মিরাজ
২ বল করে উঠে গেলেন মিরাজ। হাঁটুতে চোট পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ের সময় ডাইভ দিতে গিয়ে ডান হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন, তবে এবার সেটি বাঁ হাঁটুতে। ওভার শেষ করতে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ।
১৮ বলে ভারতের প্রয়োজন ৪০ রান।
মোস্তাফিজের মেডেন
মোস্তাফিজের ছয়টি বল, ছয়টি স্লোয়ার, ছয়টি ডট। শেষ বলে গিয়ে সিঙ্গেল নিতে পারতেন হয়তো সিরাজ, তবে রোহিত তাতে আগ্রহ দেখাননি।
রোহিত অথবা নয়—ভারতের সমীকরণটা বেশ সরল। ১২ বল, ৪০ রান।
৪৯তম ওভারে ২০ রান, রোহিতের দুই জীবন
প্রথম বলে মিডউইকেট দিয়ে ছয়, পরের বলে ওয়াইডসহ ৪ রান। মাহমুদউল্লাহর ১ বলেই এসেছিল ৯ রান। দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলেছিলেন রোহিত, ফাইন লেগে বেশ খানিকটা সময় পেলেও নিতে পারেননি ইবাদত। পরের বলে রোহিত আবার মিডউইকেট দিয়ে মেরেছেন ছয়। চতুর্থ বলে ডাবলস নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রেখেছেন রোহিত, লং অন থেকে থ্রো গেছে স্ট্রাইক প্রান্তে। এরপর আবার ক্যাচ তুলেছিলেন রোহিত, এনামুল ফেলে দিয়েছেন সহজ ক্যাচটি। শেষ বলে সিরাজকে বোল্ড করেছেন মাহমুদউল্লাহ, তবে ভারতের দিক থেকে তাতে হয়তো খুব বেশি কিছু যায় আসে না।
মোস্তাফিজের শেষ ৬ বলে ভারতের (রোহিতের) দরকার ২০ রান।
৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
প্রথম বলে ডট। পরেরটি অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে, ব্যাট চালিয়ে আউটসাইড-এজ থেকে চার পেয়েছেন রোহিত। পরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে আসে আরেকটি চার। চতুর্থ বলে ডট, শেষ ২ বলে তাই রোহিতের প্রয়োজন ছিল ২ ছক্কা। পঞ্চম বলে টেনে সাইটস্ক্রিন বরাবর ছয়, সেটিতে ফিফটি হয়ে গেছে রোহিতের, মাত্র ২৭ বলেই। শেষ বলটি ছিল ফুললেংথে, রোহিত মিস করে গেছেন সেটি। বাংলাদেশ জিতেছে ৫ রানে, ১ ম্যাচ বাকি থাকতে জিতেছে সিরিজও।
নয়ে নামা রোহিত-শঙ্কা কাটিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
রোহিত যখন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নয়ে নামেন, ৪৪ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬৫ রান। ম্যাচের শুরুতেই আঙুলের চোটে মাঠ ছেড়ে যাওয়া সেই রোহিতই বাংলাদেশের জয়টা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন প্রায়। মোস্তাফিজ ৪৮তম ওভার মেডেন করার পর পরের ১১ বলে আসে ৩৪ রান। তবে ভারতকে দুর্দান্ত এক জয় শেষ পর্যন্ত এনে দিতে পারেননি রোহিত। যে ম্যাচ বাংলাদেশ জিততে পারত হয়তো আরও আগেই, সেটিই তারা জিতেছে শেষ বলে এসে।
মিরপুরে তাই দেখা গেছে আরেকটি রোমাঞ্চ। ৬ উইকেটে ৬৯ রান থেকে মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাঁর রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশ যায় ২৭১ রান পর্যন্ত। এরপর রোহিতহীন ভারত চাপে পড়ে শুরুতেই। মাঝে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেলের ১০৭ রানের জুটি ম্যাচে রেখেছিল তাদের, যদিও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাওয়া ব্রেকথ্রুতে বাংলাদেশ ম্যাচ ফেরে ভালোভাবে। এরপরই লড়াইটা হয়ে দাঁড়ায় রোহিতের সঙ্গে বাংলাদেশের। শুরুতে চোটের কারণে একেবারেই সুবিধা করতে পারছেন না মনে হলেও ইবাদতের বলে দুটি ছক্কায় যেন জেগে ওঠেন রোহিত। তাঁকে অবশ্য সহায়তা করেছে পিচ্ছিল ফিল্ডিং-ও। ৪৯তম ওভারেই তিনি বেঁচে যান দুবার।
এ জয়ে ভারতের বিপক্ষে টানা দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে সর্বশেষ সিরিজটিও জিতেছিল তারা। আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে।