টানা ১১ হার! বিশ্বের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এক আসরে টানা এত বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড নেই কোনো দলের। দুর্দান্ত ঢাকা প্রথমবার বিপিএলে খেলতে এসে এমন এক লজ্জার রেকর্ডেই নাম লিখিয়েছে। দলটির সমর্থকেরা অবশ্য ঢাকার খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন।
এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ তিনে আছেন ঢাকার দুই ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স রস ও মোহাম্মদ নাঈম। সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া বোলার তাদেরই শরীফুল ইসলাম। অস্ট্রেলিয়ার রস প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে এসে ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৫২ রান, গড় ৩৯.১১ ও স্ট্রাইক রেট ১৩৪।
নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ ম্যাচে ৩১০ রান। ২৫.৮৩ গড় ও ১১৯ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন এই বাঁহাতি। তবে ঢাকাকে প্রায় প্রতি ম্যাচেই আশার আলো দেখিয়েছেন দলটির পেসার শরীফুল। ১২ ম্যাচ খেলা শরীফুল আসর শেষ করেছেন ২২ উইকেট নিয়ে। বিপিএলের এক আসরে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন এই বাঁহাতি।
বল হাতে চূড়ান্ত আধিপত্য দেখিয়েও দলের এমন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবে হতাশ জাতীয় দলের এই বাঁহাতি পেসার। প্রথম আলোর সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ক্রিকেট দলগত খেলা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে যে বড় কিছু হয় না, তা তো আপনারা দেখলেনই। ব্যক্তিগতভাবে ভালো করেও কিন্তু আমরা সবার শেষে আছি। এটাই সবচেয়ে বড় উদাহরণ।’
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের সঙ্গে যদি আরও কয়েকজনের ছোট ছোট অবদান যোগ হতো, তাহলে ঢাকার ভাগ্য ভিন্ন হতে পারত, এমনই মনে করেন শরীফুল, ‘আমরা কেউ যদি সেরা পাঁচের তালিকায় না থাকতাম, সবাই ছোট ছোট অবদান রাখত আর আমরা ম্যাচ জিততাম। তাহলে কিন্তু অনেক ভালো কিছু হতো। দল হয়ে খেলার ওপর আসলেই কিছু নেই। একার পারফরম্যান্স থেকে দলগত পারফরম্যান্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
***শরীফুল ইসলামের পুরো সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকালের পত্রিকায়।