৩৬০ ডিগ্রিরও বেশি কিছু হতে যাচ্ছেন সূর্যকুমার, বলছেন ডি ভিলিয়ার্স
রাহুল দ্রাবিড় বলছেন ‘অবিশ্বাস্য’, শেন ওয়াটসনের চোখে ‘বিরল প্রতিভা’। প্রতিদিনই সূর্যকুমার যাদবের নামে যুক্ত হচ্ছে নতুন সব বিশেষণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেভাবে খেলে চলেছেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান, তাতে এমনটা অস্বাভাবিকও নয়।
এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ৭৫ গড়ে করেছেন ২২৫ রান। তবে রানের চেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন রান তোলার ধরনে। কন্ডিশন বা বোলার যেমনই হোক, প্রায় প্রতি বলে রান তোলার উপায় ঠিকই বের করে ফেলেন সূর্যকুমার।
ড্রাইভ, পুলের মতো ক্রিকেটের প্রথাগত সব শট তো আছেই, উদ্ভাবনী শটেরও অভাব নেই। উইকেটের চারপাশ দিয়ে খেলতে পারেন বলে রানও তুলতে পারেন নিয়মিতভাবে, যার প্রতিফলন তাঁর স্ট্রাইক রেটে। এবারের বিশ্বকাপে ১১৬ বল খেলেছেন, তাতে সূর্যকুমারের স্ট্রাইক রেট ১৯৩.৯৬!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩টি ইনিংসে পঞ্চাশ পার করেছেন সূর্যকুমার। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৫ বলে ৫১, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪০ বলে ৬৮ রানের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন ২৫ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬টি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন ৪টি, যার একটি ছিল প্রায় ষষ্ঠ স্টাম্পের লাইনে গিয়ে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা। ৩২ বছর বয়সী সূর্যকুমারের এই শট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সেরই মতো; উইকেটের চারপাশে খেলার সামর্থ্যের কারণে যাঁকে বলা হতো ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান।
ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যে থাকা ইরফান পাঠান এ কথাই মনে করিয়ে দেন সূর্যকুমারকে। ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তুলনার কথা শুনে সূর্যকুমার জবাব দেন বিনয়ের সুরে, ‘বিশ্বে ৩৬০ ডিগ্রি খেলোয়াড় একজনই আছে। আমি তার মতো খেলার চেষ্টা করি।’
ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের এ মন্তব্য চোখে পড়ে ডি ভিলিয়ার্সের। চার বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান সূর্যকুমারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে টুইট করেন, ‘তুমিও দ্রুতই সেদিকে (৩৬০ ডিগ্রি খেলোয়াড়) যাচ্ছ। এমনকি এর চেয়েও বেশি। আজ দারুণ খেলেছ।’