টেস্ট খেলা নিয়ে অনলাইনে তর্কে জড়ালেন আর্চার
টেস্ট অভিষেকের দিনটা যেকোনো ক্রিকেটারকেই আবেগাপ্লুত করে। জফরা আর্চারও ব্যতিক্রম নন। কিন্তু ইংল্যান্ডের এই পেসার টেস্ট অভিষেকের দিনে ক্যারিয়ার–বিষয়ক আলোচনায় ‘ঝগড়া’ই বাঁধিয়ে দিয়েছেন এক সমর্থকের সঙ্গে। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে গোটা কথোপকথন মুছেও দিয়েছেন।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বিপুল প্রত্যাশা–জাগানো আর্চারের টেস্ট অভিষেক ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন তাঁর মাথায় ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরই মতো বার্বাডোজ থেকে উঠে আসা পেসার ক্রিস জর্ডান। আর্চারের টেস্ট ক্যাপ পরার ছবি দিয়ে আজ এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আর এই পোস্ট ঘিরেই এক ক্রিকেটপ্রেমীর সঙ্গে আর্চারের তর্ক–বিতর্ক জমে ওঠে।
ইসিবির পোস্টটি আর্চার রিটুইট করলে জর্জ স্মিথ নামের এক ব্যবহাকারী লেখেন, ‘প্রতিভাবান বোলার। কিন্তু কখনোই পাওয়া যায়নি। যে কারণে প্রতিভার অপচয় ঘটেছে। জানি না, এটা না বোঝার কী আছে। তুমি আরও সম্মানিত হতে, যদি পাওয়ার যোগ্য হতে।’ মন্তব্যটি ভালো লাগেনি আর্চারের। ইংল্যান্ডের হয়ে তিন সংস্করণে ৫৯ ম্যাচ খেলা এই পেসার লেখেন, ‘একটা অপচয় এবং সব সময়ই চোটাক্রান্ত।’ সঙ্গে থাম্বস আপ এবং হাসির ইমোজিও জুড়ে দেন। স্মিথও দমে যাবার পাত্র নন। তিনি আর্চার খোঁচা দিয়ে উত্তর দেন, ‘৫ বছরের ১৩ টেস্ট, কী অপচয়’। আর্চার পাল্টা প্রশ্নে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কয়টা ম্যাচ খেলেছেন?’
আর্চার কড়া ভাষায়ই জবাব দিয়েছেন ‘প্রতিভাবান বোলার’ বক্তব্যেরও। তিনি লেখেন, ‘আমার প্রতিভা নষ্ট হয়েছে কারণ আমার প্রতিভাই আমাকে আহত করেছে? আপনার মতো মানুষদের কোনো ধারণাই নেই যে আমার শরীর কেমন, এমনকি চোট এবং অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে কীভাবে খেলে থাকি। কিন্তু সম্মান শব্দটা উল্লেখ করুন। এটা মাথায় রাখুন। মাঠে থাকার জন্য আমি যা করতে পারি তা করব। আর সেটা যদি যথেষ্ট না হয়, আমি অবসর নিয়ে নেব।’ এর সঙ্গে হৃদয়ের ইমোজি জুড়ে দেন আর্চার। কিছুক্ষণ পর অবশ্য এই মন্তব্যগুলোর একটিও আর রাখেননি, ডিলিট করে দিয়েছেন।
আর্চারের পাঁচ বছর ক্যারিয়ারের বেশির ভাগই সময়ই কেটেছে মাঠের বাইরে। ২০২১ সালে পড়েছিলেন পিঠের চোটে, পরে ভোগেন আঙুলের চোটেও। এ বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ইংল্যান্ড দলে ফিরলেও এখনই তাঁকে টেস্টে খেলাচ্ছে না ইসিবি। যে কারণে ২১ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু টেস্ট সিরিজে তাঁকে রাখা হয়নি।