মিরপুরে স্পিন লড়াইয়ের দ্বিতীয় পর্ব
চার ইনিংসে ৩২ উইকেট স্পিনারদের, ২টি রানআউট। পেসাররা ভাগে পেয়েছেন ৬টি উইকেট। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় সিলেটে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্টে স্পিনারদের কতটা দাপট ছিল। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্ট নিয়েও একই পূর্বাভাস। স্পিন দাপটই দেখার কথা টেস্টজুড়ে।
নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক টিম সাউদি বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? টেস্ট ক্রিকেটে এ সময়ের সেরা পেসারদের একজন সাউদি। টেস্টে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকের পথে এগোতে থাকা সাউদি (৩৭২ উইকেট) নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে কিংবদন্তিতুল্য। তাঁকেও বাংলাদেশের কন্ডিশনের স্পিন বাস্তবতা মানতে হচ্ছে।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাউদির বলা কথায় আছে সে আভাস, ‘এই কন্ডিশনে স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে, এটাই প্রত্যাশিত। প্রথম টেস্টে তা–ই হয়েছে। এখানেও তা–ই হওয়ার কথা। তবে এটা ঠিক, কাইল (জেমিসন) সিলেটে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছে। এই কন্ডিশনে তাকেও বেশ ভয়ংকর মনে হয়েছে। তবে এখানে সব সময়ই লড়াইটা হবে স্পিনের। এটাই প্রত্যাশিত। দ্বিতীয় টেস্টেও তা–ই হবে হয়তো।’
উইকেট স্পিনারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই সাউদির। সিলেটের উইকেটকে ভালো উইকেটই বলছে নিউজিল্যান্ড, ‘যেমন ভেবেছিলাম, উইকেট তেমনই ছিল। ভালো উইকেট ছিল।’ মিরপুরেও একই ধরনের উইকেটের প্রত্যাশা কিউইদের, ‘ভিন্ন উইকেট অবশ্যই। তবে আমরা স্পিন–সহায়ক উইকেটই হবে ধরে নিচ্ছি।’
এ ধরনের কন্ডিশনে বোলিং কৌশল কেমন হওয়া উচিত সেটাও বলেছেন সাউদি, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি আগের ম্যাচ নিয়ে। আমাদের লম্বা সময় ধারাবাহিকভাবে জুটি বেঁধে বোলিং করতে হবে। বোলিং জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
আর ব্যাটিং? এ ধরনের কন্ডিশনে তাইজুল-মিরাজ-নাঈমের স্পিন কীভাবে সামলাবেন কিউইরা? সাউদির মুখেই শুনুন, ‘আমাদের কয়েকজন এ ধরনের কন্ডিশনে খেলেনি। এখানে একেকজনের খেলার ধরন একেক রকম। কেইনকে তো আমরা দেখলামই, সে দারুণ ছিল। সে তুলনায় ড্যারেল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের খেলার ধরন ভিন্ন। এখানে সফল হওয়ার উপায় হচ্ছে নিজের সামর্থ্যে আস্থা রাখা এবং সেটা লম্বা সময় ধরে রাখা।’