আত্মবিশ্বাস কেনার সুযোগ থাকলে অনেক টাকা খরচ করত ইংল্যান্ড
আত্মবিশ্বাস যদি কিনতে পাওয়া যেত, তাহলে ইংল্যান্ড এ মুহূর্তে এর পেছনে অনেক টাকা খরচ করত বলে মনে করেন ক্রিস ওকস। ভারতের কাছে লক্ষ্ণৌয়ে ১০০ রানে হারের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের, এরপর এমন মন্তব্য করেছেন এ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত নিজেদের সেরা ক্রিকেটের একটুও দেখাতে না পারার হতাশা তাঁদের জেঁকে ধরেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ড দলে ছিলেন ওকস। ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বিদায় নেওয়া টুর্নামেন্টটিকে ধরা হয় ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম বাজে বিশ্বকাপ। এরপর ওয়ানডে ক্রিকেটের খেলার ধরনই বদলে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখে ইংল্যান্ড, ২০১৯ সালে এসে জেতে শিরোপা। এবারও বড় উচ্চাশা নিয়েই ভারতে গিয়েছিল দলটি। তবে সে প্রত্যাশার কানাকড়িও মেটাতে পারেনি তারা। ইংল্যান্ডের কী হলো—এ মুহূর্তে বিশ্বকাপের অন্যতম আলোচিত প্রশ্ন এটি।
দলের অবস্থা বোঝাতে গিয়ে ওকস স্কাই স্পোর্টসকে বলেন, ‘আমরা যদি এ মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস কিনতে পারতাম, তাহলে অনেক অর্থ খরচ করতাম। এটা মেনে নেওয়া অনেক কঠিন, তা-ই না? যখন আপনার আত্মবিশ্বাস থাকবে না, আপনি বেপরোয়া শট খেলবেন অথবা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যা নিয়ে পরে আক্ষেপ হয়।’
তবে বাস্তবতাটা এমনই, ওকস মনে করেন সেটি, ‘কিন্তু এটিই তো শীর্ষ পর্যায়ের খেলা, তা-ই না? আপনি জানেন এ পর্যায়ে ভালো পারফর্ম করবেনই, এমন কোনো কথা নেই। বিশ্বকাপ জেতা অনেক কঠিন। ২০১৯ ও ২০২২ (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) সালে জিততে পেরে আমরা ভাগ্যবান ছিলাম। কিন্তু ভারতের কন্ডিশনে আপনাকে খেলার ছোটখাটো সব ব্যাপারই ঠিক করতে হবে। সবাই যদি (আলাদাভাবে) ভালো না করে, তাহলে সবাই মিলে এগোতে হয়। আমরা নিশ্চিতভাবে সেটিও করতে পারিনি।’
এবার ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স এমন, সেটি ২০১৫ সালের ওই আসরকেও হার মানাচ্ছে। ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এউইন মরগান বলেছেন, কেউ যদি তাঁকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলতেন যে টুর্নামেন্টের মাঝামাঝি এসে ইংল্যান্ডের এই দশা হবে, তাহলে তিনি সেটি হেসেই উড়িয়ে দিতেন।
২০১৫ সালের টুর্নামেন্টের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে ওকস বলেছেন, ‘২০১৫ বাজে ছিল। আমরা এমন একটা ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছিলাম, যেটি পুরোনো। ক্রিকেট যেভাবে এগোচ্ছিল, সেটির সঙ্গে মানানসই ছিল না সেটি। এবারের ব্যাপারটি অনেক আলাদা। তখন তো ওইভাবে খেলার মতো খেলোয়াড়ও ছিল না আমাদের। কিন্তু এখনকার ড্রেসিংরুমে আমার মনে হয় ওইভাবে খেলার মতো খেলোয়াড় আছে, সেটি অতীতেও আমরা দেখিয়েছি।’
কিন্তু সে খেলার আত্মবিশ্বাস তাই পাচ্ছেন না তাঁরা, ‘কিন্তু এই মুহূর্তে ম্যাচ জেতার মতো আত্মবিশ্বাস আমাদের ড্রেসিংরুমে নেই। আর ক্রিকেটে জিতলে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে, মোমেন্টাম গড়ে উঠবে। আর জেতার পর যে অনুভূতি, সেটি যদি বোতলে ভরে সঙ্গে নিতে পারেন, তাহলে আপনি ভিন্ন একটা দলকে সামনের সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে দেখবেন।’