অ্যাশেজে এখনই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন অ্যান্ডারসন, কারণ...
৩৮ ওভার বল করে ১০৯ রান খরচায় ১ উইকেট—এই ছিল এজবাস্টন টেস্টে জিমি অ্যান্ডারসনের বোলিং ফিগার।
সেই ম্যাচে অ্যান্ডারসনের দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে শেষ দিনের শেষ ঘণ্টায়। নবম উইকেট জুটিতে প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নরা ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লে ২ উইকেটে হারে ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের এই হারের পেছনে অন্যতম কারণ মনে করা হয় বোলারদের ছন্দহীনতা। এর মধ্যে অ্যান্ডারসনের ভোগান্তি ইংল্যান্ডের সমর্থকদের চোখে বেশি বিঁধেছে। শেষ সেশনে ম্যাচ যখন রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তির দিকে, তখন নতুন বল নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তবে অ্যান্ডারসনকে দিয়ে বোলিং করানো যাবে বলে তাঁর মনে হয়নি, বল দেনওনি।
এজবাস্টন টেস্টের তিন দিন পর অ্যান্ডারসন শোনালেন ব্যর্থতার কারণ। তবে যা নিয়ে ইংল্যান্ড সমর্থকেরা শঙ্কিত হতে পারেন, সেটি হচ্ছে সামনের ম্যাচেও একই ধরনের ব্যর্থতার আশঙ্কা জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। বলেছেন, এজবাস্টনের মতো পিচ সামনের ম্যাচগুলোতেও থাকলে তাঁর আর কিছু করার নেই। এখনই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
এজবাস্টন টেস্টে অ্যান্ডারসনের একমাত্র সাফল্য ছিল প্রথম ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারির উইকেট। যে উইকেটের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১০০তম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। একুশ শতকে ক্যারিয়ার শুরু করা বোলারদের মধ্যে অ্যান্ডারসন ছাড়া এমন কীর্তি আর কারও নেই। তবে ক্যারির উইকেটের আগে–পরে আর কিছু করতে পারেননি অ্যান্ডারসন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচও জেতেনি ইংল্যান্ড।
এজবাস্টন টেস্টের দুই দিন পর আজ টেলিগ্রাফে একটি কলাম লিখেছেন অ্যান্ডারসন। অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচটিতে ভালো খেলতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে অ্যান্ডারসন লিখেছেন, ‘জানি, এ সপ্তাহে আমি সেরা মানের ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাকে আরও ভালো করতে হবে, দলে অবদান রাখতে হবে। লর্ডসে আমি পুষিয়ে দিতে চাই।’
তবে কতটা পুষিয়ে দিতে পারবেন, এ নিয়ে অ্যান্ডারসনের নিজেরও শঙ্কা আছে, বিশেষ করে যদি এজবাস্টনের মতো একই পিচ থাকে লর্ডসে, ‘এটা লম্বা সিরিজ। আশা করি, কিছু পর্যায়ে আমি অবদান রাখতে পারব। তবে সব ম্যাচের পিচ যদি এ রকমই হয়, তাহলে অ্যাশেজ সিরিজে আমার ভালো করার আশা এখানেই শেষ।’
অ্যান্ডারসনের মতে, এজবাস্টনের পিচে বোলারদের জন্য তেমন কিছুই ছিল না। ব্যাটিং–বান্ধব উইকেটে নিজের দক্ষতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও সুবিধা আদায় করতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটে ৬৮৫ উইকেট শিকারের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই পেসার লিখেছেন, ‘উইকেটে সুইং ছিল না, রিভার্স সুইংও না। সিম মুভমেন্ট, বাউন্স বা পেস—কোনোটাই ছিল না। বছরের পর বছর ধরে আমি আমার স্কিল নিয়ে কাজ করেছি, যাতে যেকোনো কন্ডিশনে বোলিং করতে পারি। কিন্তু যত চেষ্টা করেছি, কাজ হয়নি। আমার মনে হয়েছে অসাধ্য লড়াইয়ে আছি।’