সৌম্য বললেন, ‘কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল, আমি বলব ফাইনাল’
শুধু সেমিফাইনাল নয়, ব্যক্তিগত লক্ষ্য আরও বড়—ফাইনাল খেলা, এমন বলেছেন সৌম্য সরকার। ২০২৪ সালটা স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
আইসিসির বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জন বলতে গেলে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য অর্জনের খাতা একেবারেই সাদামাটা। কোনো আসরে দুটির বেশি ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে সৌম্যর স্বপ্নটা বড়ই। বিসিবির ভিডিও সিরিজ ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’তে সৌম্য বলেছেন, ‘আমি তো সব সময় উঁচুতে দেখি, স্বপ্ন বড় দেখি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তা। আমি সব সময় স্বপ্ন বড় দেখতে পছন্দ করি। তো আমার লক্ষ্য—কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল, আমি বলব, “না, ফাইনাল খেলতেই যাব।” ফলের কথা তো পরে আসবে। মাঠের খেলার ওপর ফল নির্ভর করবে। তবে স্বপ্ন বড় দেখাটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
২০১৫ সালে ক্যারিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন সৌম্য, যেটি ছিল ওয়ানডে সংস্করণে। টি-টোয়েন্টিতে এবার তিনি খেলতে যাচ্ছেন চতুর্থ বিশ্বকাপ। তবে রোমাঞ্চটা ঠিক ৯ বছর আগের মতোই আছে তাঁর, ‘যেকোনো বিশ্বকাপই একটা গর্বের বিষয়। ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলা আমাদের সবারই স্বপ্ন। ২০১৫ সালে যেভাবে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলাম, এবারও সেই একই রোমাঞ্চ কাজ করবে।’
সৌম্য মুগ্ধ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে নিয়েও। তিনি বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে যেভাবে ওকে মাঠের মধ্যে দেখেছিলাম, আমি মুগ্ধ। সে দলকে সব সময় একত্র রাখছে। আমি আশা করব, বিশ্বকাপে সব কিছু একত্রিত করে একটা ভালো দল হিসেবে সবার সামনে আনতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা। আশা করব, অধিনায়কত্বের মধ্য দিয়ে সে বাংলাদেশকে নতুন কিছু একটা উপহার দেবে।’
সব মিলিয়ে ভালো একটি টুর্নামেন্টের আশার কথাই শুনিয়েছেন তিনি, ‘শান্ত (নাজমুল) নতুন অধিনায়ক। অভিজ্ঞ সাকিব (আল হাসান) ভাই, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাইয়েরা আছেন। আমরা যারা অনেক দিন ধরে খেলছি, তারাও আছি। সবকিছু মিলে যদি সবার অভিজ্ঞতাটা এক জায়গায় করতে পারি এবং তাদের কাছ থেকে নিয়ে মিলিতভাবে ভালো খেলতে পারি, একটা ভালো টুর্নামেন্ট আমরা উপহার দিতে পারব।’
দর্শকদের প্রতি একটা বার্তাও দিয়েছেন সৌম্য, ‘খেলায় তো উত্থান-পতন থাকে, ভালো-খারাপ থাকে, হার-জিত থাকে। তো সবকিছু মিলিতভাবে তারা তাদের দিক থেকে যেন উৎসব হিসেবে নেয় এবং আমরা তো ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং এর ভেতর থেকেই তারা যেন সুখটা খুঁজে নিতে পারে।’