সূর্যকুমারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিরিজে টিকে থাকল ভারত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে বেশ চাপে ছিল ভারত। আজ হারলে হাতছাড়া হতো সিরিজও, যা সমালোচনার মুখে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে আরও কোণঠাসা করে দিতে পারত। তবে আপাতত দলকে চাপ মুক্ত করলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২–০ ব্যবধানটাকে ২–১ করে সিরিজে ফিরল ভারত। টিকে থাকার লড়াইয়ে ভারতের জয় ৭ উইকেটে।

এদিন আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৪২ ও রভম্যান পাওয়েলের ৪০ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৫৯ রানের স্কোর গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে সূর্যকুমারের ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১৩ বল আগেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ভারত।

তাড়া করতে নেমে অভিষিক্ত যশ্বসী জয়সওয়ালকে প্রথম ওভারেই হারায় ভারত। এরপর এক প্রান্তে সূর্যকুমার ব্যাট হাতে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও, অন্য প্রান্তে ধুঁকতে হচ্ছিল শুভমন গিলকে। ১১ বলে ৬ রান করা গিলকে ফেরান আলজারি জোসেফ।

তবে গিলের বিদায় শাপেবর হয় ভারতের। নেমেই পরপর দুই চারে রানের খাতা খোলেন তিলক ভার্মা। সূর্যকুমার ও তিলকের এই জুটিতেই ৬ ওভারে ৬০ রান সংগ্রহ করে ভারত। ৮ম ওভারের প্রথম দুই বলে চার মেরে নিজের ফিফটি পূরণ করে নেন সূর্যকুমার। ২৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটিতে পৌঁছান এই ব্যাটসম্যান। এই দুজনের ব্যাটেই ১১তম ওভারে ১০০ রান পেরোয় ভারত।

দলীয় ১২১ রানে সূর্যকুমারের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। জোসেফের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১৮৮.৬৩ স্ট্রাইক রেটে আসে ৮৩ রান। তবে সূর্যকুমারের গড়ে দেওয়া ভিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। তিলক অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৪৯ রানে ও পান্ডিয়া করেন ১৫ বলে ২০ রান।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মন্থর ব্যাটিং করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও কাইল মায়ার্স। উইকেটে টিকে থাকলেও রান নেওয়ার গতি বাড়াতে পারছিলেন না তাঁরা। প্রথম ৩ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে মাত্র ১৯ রান। ৭ ওভারে এই জুটি ৫০–এ পৌঁছায়। দলীয় ৫৫ রানে অক্ষর প্যাটেলের বলে ২০ বলে ২৫ রান করা মায়ার্সের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। এরপর দলকে এগিয়ে নেন কিং ও জনসন চার্লস। কিন্তু রান তোলার গতি এই দুজনও বাড়াতে পারেননি।

দলীয় ৭৫ রানে চার্লসের (১২) বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। ১৪তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১০০ পার হয়। কুলদীপ যাদবের এক ওভারেই নিকোলাস পুরান (২০) ও কিং (৪২) ফিরে গেলে চাপে পড়ে উইন্ডিজ। তবে ব্যাট হাতে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেই চাপ কমানোর পাশাপাশি রানের গতিও বাড়ান রভম্যান পাওয়েল।

তাঁর ব্যাটিং–ঝড়েই শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দেড় শ পার হয়। শেষ ৫ ওভারে উইন্ডিজ করে ৫৩ রান। পাওয়েল অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করে। তবে উইন্ডিজের করা ১৫৯ রান পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি প্রতিপক্ষকে। সহজেই জিতে সিরিজে ব্যবধান কমিয়েছে ভারত।