গেইলের গায়ে এখনো জার্সি ফিট হয়, হতে পারেন ইমপ্যাক্ট বদলিও
আইপিএল ক্যারিয়ারে তিনটি দলের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই ক্রিস গেইলের সম্পর্কটা বেশি গাঢ়। বেঙ্গালুরু সতীর্থদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন গেইল।
গত পরশু রাতে লিগ পর্বে দলটির শেষ ম্যাচ তো মাঠে বসেই দেখেছেন। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি ২৭ রানে জিতে আইপিএলের প্লে-অফ পর্বে উঠেছে বেঙ্গালুরু।
ম্যাচ শেষে কোহলি-ডু প্লেসি-কার্তিকদের অভিনন্দন জানাতে বেঙ্গালুরুর ড্রেসিংরুমে গিয়েছেন গেইল। আর ম্যাচ শুরুর আগে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছে বেঙ্গালুরু। আমুদে জীবনযাপনে অভ্যস্ত গেইল সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও বেশ রসিকতা করেছেন। বলেছেন, বেঙ্গালুরুর প্রয়োজনে খেলতে নেমে যেতে পারেন।
‘ইউনিভার্স বস’ গেইলকে শেষবার আইপিএলে খেলতে দেখা গেছে ২০২১ সালে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ইমপ্যাক্ট সাবের আবির্ভাব হয়েছে ২০২৩ সালে। দলগুলো চাইলে ম্যাচের ভেতরে একজন খেলোয়াড় বদলি করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ের সময় একজন ব্যাটসম্যানকে ইমপ্যাক্ট সাব করতে দেখা যায়। এই নিয়মের কারণে একজন খেলোয়াড় ফিল্ডিং, ব্যাটিং, বোলিং—সবই ভালো মানের হওয়া আবশ্যক নয়। ব্যাটিং ভালো করলেই ম্যাচ খেলা যায়।
গেইল ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে ব্যাটিংয়ে তাঁর উপযোগিতা বোঝাতে চেয়েছেন মজায় মজায়, ‘আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, (বেঙ্গালুরুর) জার্সিটা এখনো গায়ে ফিট হয়। যদি তাদের অতিরিক্ত খেলোয়াড় দরকার পড়ে, তাহলে আমি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে যেতে পারি। এত সমর্থক দেখে দারুণ লাগল। আমি চিরকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ভক্ত হয়ে থাকব।’
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় ৬৬ বলে ১৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন গেইল, যা এখনো স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে। এ ছাড়া এ মাঠে আরও কয়েকটি চোখধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন গেইল।
দীর্ঘদিন পর স্মৃতিবিজড়িত মাঠে ফিরতে পেরে আনন্দিত ৪৪ বছর বয়সী ক্যারিবীয় তারকা, ‘এখানে আমার অনেক মজার স্মৃতি আছে। ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন সমর্থকদের দেখতে পারা দারুণ ব্যাপার। আমার কাছে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আসতে পারা বিশেষ ব্যাপার।’
গেইলের আশা, বেঙ্গালুরু সমর্থকদের তাঁর মতো করেই কেউ না কেউ বিনোদন দিয়ে যাবে, ‘একটা বিষয় লক্ষ করলাম, স্টেডিয়ামে নতুন ছাদ বসানো হয়েছে। জানি আমি ছাদের কিছু ক্ষতি করেছি। আমার আশা, কেউ সেটা অব্যাহত রাখবে এবং ইউনিভার্স বসের মতোই বিনোদনদায়ী করে তুলবে। ক্রিকেট খেলার জন্য এটাই সেরা জায়গা। আমি যখন খেলতে নামতাম, লোম দাঁড়িয়ে যেত। এখানে আমার ক্যারিয়ার গড়তে সমর্থকেরা বড় ভূমিকা রেখেছেন।’