টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের জন্য খুব একটা ক্ষতির কারণ হতে পারেনি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা মিডল অর্ডারকে আবারও যথেষ্ট আগ্রাসী হতে দেয়নি। আরও ২০টি রান করার প্রয়োজন ছিল এমন উইকেটে। বোলাররা শেষ পর্যন্ত সে ঘাটতি বুঝতে দেয়নি।
তানজিদ হাসান ৮/১০
পছন্দের শটেই আউট। খুব বড় না হলেও তার ইতিবাচক ইনিংসেই শুরুর মোমেন্টাম এসেছে। সুযোগ ছিল দলকে আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার।
নাজমুল হোসেন ৪/১০
অধিনায়ক হিসেবে যদি খেলতেও হয়, ব্যাটিং পজিশনটা পরিবর্তন করা দরকার। অন্য কাউকে ওপরে আনা যায় কি না, সেটাও ভাবা যায়। অধিনায়ক হিসেবে ভালো করেছে।
লিটন দাস ৩.৫/১০
তৃতীয় ওভারে ১৮ রান আসার পর সুযোগ ছিল একটু সময় নিয়ে উইকেটটা বোঝার, একটু নির্ভার হয়ে জুটি গড়ে তোলার। উইকেটকিপিংয়ে দারুণ দুটি স্টাম্পিং।
সাকিব আল হাসান ৯.৫/১০
ব্যাটিংয়ে ফর্মহীনতার ব্যাপারটি সেভাবে বোঝাই যায়নি। অনেক চাপের মধ্যেও এত নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে প্রমাণ করল সে কোন মাপের খেলোয়াড়। বোলিংটাও নিয়ন্ত্রিত।
তাওহিদ হৃদয় ৩/১০
নেদারল্যান্ডস তাকে মূলত অফ সাইডে খেলিয়ে মানসিক চাপে ফেলতে চেয়েছে, সফলও হয়েছে কিছুটা। ভবিষ্যতেও হয়তো প্রতিপক্ষের এমন কৌশলের মুখোমুখি হতে হবে।
মাহমুদউল্লাহ ৮/১০
শুরুটা ধীরগতির করলেও পরে দ্রুত রান করেছে। একটা গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও পেয়েছে।
জাকের আলী ৭.৫/১০
কার্যকরী ক্যামিও ইনিংস। সাকিবের সঙ্গে শেষ ১৫ বলে তার ২৯ রানের জুটিটি বাংলাদেশকে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ এনে দিয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান ৮/১০
প্রতিপক্ষের দারুণ সমীহ আদায় করছে ধারাবাহিকভাবে। ৪ ওভারে ১২ রানে ১ উইকেট—বোলিং ফিগারই বলে দেয় জয়ে তার অবদান।
তানজিম হাসান ৭/১০
আবার মিতব্যয়ী। দিন দিন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে।
তাসকিন আহমেদ ৭/১০
আজও প্রথম ব্রেকথ্রুটা তার হাত ধরেই এল। পরে আরেকটি নিয়েছে।
রিশাদ হোসেন ৮.৫/১০
ম্যাচটা ঘুরিয়ে দেওয়ার নায়ক। শুরুতে চার-ছক্কা খেয়ে নিজেকে ধরে রাখা সহজ নয়, তা-ও আবার এমন ম্যাচে। ৩ উইকেট নিয়ে সেই কাজটাই করেছে।