রায়নার কাছে আগে ধোনি, পরে দেশ
মহেন্দ্র সিং ধোনির ঘোষণাটি এসেছিল আচমকা।
কোনো আভাষ ছাড়াই হুট করে ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ভারতের ক্রিকেট মহলকে চমকে দিয়ে আধা ঘণ্টা পরই আসে সুরেশ রায়নার টুইট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন এই অলরাউন্ডারও।
অনেকের ধারণা, ধোনি আর রায়না পরিকল্পনা করে একই দিন অবসরের ঘোষণা নিয়েছেন। কিন্তু আসলেই কি তা–ই? ভারত জাতীয় দলের পাশাপাশি দীর্ঘদিন একসঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলেছেন দুজন। ধোনির বয়স তত দিনে ৩৯ পার হয়ে গেছে, তাই তাঁর অবসরকে কেউ আগাম বলেনি। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন—৩৩ বছর বয়সে কেন জাতীয় দলকে বিদায় বললেন রায়না?
আড়াই বছর পর অবসর নিয়ে ওঠা সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন রায়না। যে জবাব তাঁর অবসর ঘোষণার মতোই অনেকের ভ্রু কুঁচকে দিচ্ছে। ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার নাকি ধোনির জন্যই খেলতেন।
স্পোর্টস তাককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ধোনির কিছুক্ষণ পরই অবসর ঘোষণার যোগসূত্র নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি আমরা। তাঁর সঙ্গে ভারত এবং চেন্নাইয়ে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। একে অন্যের প্রতি অনেক টান আমাদের। আমি প্রথমত ধোনির জন্য খেলতাম। এরপর দেশের জন্য। এটাই যোগসূত্র।’
ভারতের জার্সিতে রায়নার আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০০৫ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ওয়ানডেতেই। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২২৬টি ওয়ানডের পাশাপাশি ৭৮টি টি-টোয়েন্টি এবং ১৮টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র সেঞ্চুরিও রায়নারই (২০১০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০১)।
২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপজেতা ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন রায়না। এ ছাড়া চেন্নাইয়ে ধোনির অধিনায়কত্বে খেলে জিতেছেন চারটি আইপিএল শিরোপা। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ সালে। গত বছর নিলামে না থাকলেও কোনো দল তাঁকে কেনেনি। এরপর আইপিএল থেকেও অবসরের ঘোষণা দেন রায়না।