মুশফিকের দ্বিতীয় দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি
মুশফিকুর রহিম ও মার্ক এডেয়ার দুজনের জন্যই আজ সকালটা ছিল অন্য রকম। উইকেট থেকে ছোট ছোট মুভমেন্ট পাচ্ছিলেন এই আইরিশ পেসার। তাঁকে বেশ কার্যকরই মনে হচ্ছিল তখন। মুমিনুল হকের উইকেটটাও পেয়েছেন তিনিই। কিন্তু খেলাটা যখন দ্বিতীয় সেশনে গড়াল, অন্য রকম পরিস্থিতির মধ্যেই পড়ে গেলেন এডেয়ার। বল পুরোনো, মুভমেন্ট নেই। সকালে যে লেংথ বলে ব্যাট ছোঁয়ানোর আগে ভাবতে হয়েছে, সেটিই তখন মারার বল।
এডেয়ারকে দিনের শুরুতে খেলেছেন মুশফিক। সুশৃঙ্খল ব্যাটিংয়ে সময়টা পার করেছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে খেলেছেন, আর স্টাম্পের বল ঠেকিয়েছেন। সেই মুশফিকই এডেয়ারের দ্বিতীয় স্পেলে দুটি কাভার ড্রাইভ মারলেন। একটি ৪১তম ওভারে, পরেরটি ৪৩তম ওভারে।
দুটি শটের কথা আলাদা করে বলার কারণ আছে। দিনের দ্বিতীয় সেশনে মিরপুরের উইকেট কেমন থাকে, ওই দুই শটই তার প্রমাণ। এডেয়ার মুভমেন্টের আশায় ফুল লেংথে করেছিলেন দুটি বল। বল একটুও এদিক-ওদিক হয়নি। সোজা ব্যাটের মাঝখানে লেগে বল খুঁজে নেয় বাউন্ডারির ঠিকানা। মুশফিক খেলছিলেন ৬৮ রানে। অমন পরিস্থিতি থেকে নিজের রানটাকে তিন অঙ্কে নিয়ে যাবেন মুশফিক, এটাই প্রত্যাশিত ছিল।
শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। মুশফিক টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৫৫তম ওভারে। সেই এডেয়ারের বলেই কিপার ও স্লিপের মাঝে বল ঠেলে ১৩৫ বলে পূর্ণ হয়েছে সেঞ্চুরি। ১৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল মুশফিকের ৭৫.৫৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। মুশফিকের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। আর দ্রুততম সেঞ্চুরি হয়ে আছে ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে করা ৮৮.৫৯ স্ট্রাইক রেটের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটিই।
সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটিও মুশফিক করেছেন এই মিরপুরেই। গত বছর মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৫ রানের অপরাজিত ছিলেন তিনি। সেঞ্চুরি করেছিলেন চট্টগ্রামে এর আগের টেস্টেও। এর পরের ৫ ইনিংসে মুশফিক থিতু হয়েছেন, কিন্তু আউট হয়ে গেছেন পঞ্চাশে না পৌঁছেই। আজ আর সেই ভুল করলেন না।
বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি
সকালের সেশনে ফিফটি করে সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন দ্বিতীয় সেশনে। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিক এখন যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক। দশম সেঞ্চুরি করে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই দুজনের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু মুমিনুল হকের। তা অবশ্য মাত্র একটিই বেশি।